গণমানুষের কল্যাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এ দেশের মাটি, মানুষের অস্তিত্বে মিশে আছে যার নাম। দীর্ঘ পথচলায় একদিকে আন্দোলন-সংগ্রাম অন্যদিকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির হৃদস্পদনে। বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে এদেশের সকল মহৎ অর্জনের সাথে জড়িয়ে আাছে ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক সংগঠনটি।
আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধশত বছর অতিক্রম হওয়ার পরও দেশ ও দেশের জনগণের কাছে দলটির আবেদন একটুও কমেনি; বরং জনগণের অধিকার আদায়, তাদের ভাগ্যন্নয়নে আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা দিনকে দিন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা তিন মেয়াদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসুরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী দেশ পরিচালনা, তার মানবিক ও উন্নয়নমুখি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলার মানুষ শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষ কিছু পায়। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাসের অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা ও সাধারণ জনগণের কাছে দলটির কদর বেড়েছে বহু গুণে। তাই আওয়ামী লীগ আজ পরিণত হয়েছে জনগণের আবেগ, ভালোবাসা আর হৃদয়ের সংগঠনে।
প্রকৃতপক্ষে, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সমকক্ষ বা সমান দাবিদার কোনো রাজনৈতিক দল এই মূহুর্তে বাংলাদেশে নেই । এক কথায় আন্দোলন-সংগ্রাম ও জনকল্যাণে পরিক্ষিত আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দল এখনও সৃষ্টি হয়নি।। দেশ পরিচালনাতেও আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নাই। এক কথায় বলতে গেলে আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।
তাইতো এদেশের মেহনতি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে মুখে ‘যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।' যতদিন আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে থাকবে দেশ, উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ '। সঠিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব, অন্য কোনো দলের পক্ষে নয়। এই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি দেশবাসীর এত ভালোবাসা, এত আবেগ।
দেশের যত বড় বড় অর্জন রয়েছে তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি বড় অর্জন রয়েছে। এক. মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দান ও স্বাধীনতা অর্জন।
দুই. দেশে সংবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও দেশকে খাদ্য, বাসস্থান, কৃষি উৎপাদন, যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পরিচালিত করা।
তিন. যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মূল্যবোধ ও চেতনাকে ধারণ করা এবং বাস্তবায়ন করা। যেমন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে একটি শোষণ-বৈষম্যহীন সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা, মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সামরিক শাসনকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দিয়ে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে রুখে দাঁড়ানো এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
আশ্চর্যজনকভাবে হলেও সত্যি, এই তিনটি বড় অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে । তাই এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়, সাফল্যের বিবেচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারে কাছে আর কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। এই দিন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভ্রান্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সৃষ্টি। অতঃপর বাঙালি জাতির উপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, চরম অবহেলা ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্ম লাভ করে আওয়ামী লীগ।
জন্মলগ্নে এই সংগঠনের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনে অবস্থিত ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন’ প্রাঙ্গণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী মুসলিম লীগের প্রগতিশীল কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির প্রথম কমিটিতে মাওলানা ভাসানী সভাপতি ও শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলে থাকা অবস্থায় যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে ভাষা আন্দোলন সূচিত হয় ১৯৫২ সালে তা গণজাগরণে পরিণত হয়। অব্যাহত রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার তরুণ সংগ্রামী নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে কারান্তরালে থেকেও ভাষা আন্দোলনে প্রেরণাদাতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। তারপরও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশে প্রদেশে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চিত করে এক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ।
আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিন ‘শহীদ দিবস’। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। মাত্র ২০ মাসের রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে চরম খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার যে সফলতা অর্জন করে তাতে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বহু গুণ বেড়ে যায়। সে সময় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে জনগণের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিটি পদে পদে রয়েছে আওয়ামী লীগের অবদান। আইয়ুব খানের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে নিতে নিবেদিত ঠিক তখনই বাংলাদের রাজনীতির আকাশে নেমে আসে কালো মেঘ। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডেরর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার নানানুখী ষড়যন্ত্র চলে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে মুছে ফেলার সব ধরনের ষড়যন্ত্র করে খুনি চক্র। আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মীদের ওপর নেমে আসে অত্যাচারের স্টিম রোলার।
সকল ষড়যন্ত্র, অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করে ঘুরে দাঁড়াবার আপ্রাণ চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তের মধ্য দিয়ে নতুন জাগরণের সৃষ্টি হয় দলটির তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এরপর আর থেমে থাকা নয়।বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’;। সামরিক ও স্বৈরাচার সরকার হটাতে এবং দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল নেতৃত্ব দান, ১৯৯১ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান অর্জন করা, ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে দীর্ঘ ২১ বছর পর পুনরায় সরকার গঠন করা, ২০০১ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান অর্জন করা এবং এ সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনে মূল নেতৃত্ব দেওয়া, ২০০৯ সাল, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে একটনা তিন বার সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। ২১ ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, সমুদ্রসীমা জয়, ছিট মহল সমস্যার সমাধান, স্যাটলাইটের নিজস্ব মালিকানা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ বহু মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীকরণসহ সুদূর প্রসারী সাহসী নেতৃত্বদানে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে শেখ হাসিনা আজ অন্যতম।
শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় আনতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত সকল কর্মসূচি আজ দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ বিরোধী দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে যারা মেনে নিতে পারেনি, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বাংলাদেশের বিরূদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল সেই পরাশক্তির সহায়তায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সাথে নিয়ে অগণতান্ত্রিক পথে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি। তাদের সেই দিবাস্বপ্ন ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাঙালির আশা ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাতে আবারও আস্থা রাখতে চায় এ দেশের মানুষ। তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে গণমানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: সহসভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।
এইচআর/জিকেএস