ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কালবৈশাখী

‘আকাশজুড়ে শুনিনু ঐ বাজে’

জাফর ওয়াজেদ | প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

‘যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি ধাই’ হ্যাঁ, ধেয়েই আসেন তিনি। সাথে বজ্র বিদ্যুৎ আর শক্তিমত্ততার তাবৎ উল্লম্ফন প্রকটিত হয়। ভ্রুকুটিতে তার শ্যেন দৃষ্টি হাসে- যেন নিমিষে মিলিয়ে দেবেন সবকিছু। তিনি কালবৈশাখী, আদর করে যাকে ডাকে কালবৈশাখী। এই কাল যেন কালো হয়ে আসে এই চরাচরের আকাশজুড়ে। ‘আকাশজুড়ে শুনিনু ঐ বাজে’- শুধু বাজা নয়, বিকট শব্দে বেজে ওঠেন বজ্র- চমকায় বিদ্যুৎ।

যেন তিনি ‘মহাপ্রলয়ের নটরাজ’, ‘আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস...আমি এলোকেশে ঝড় অকাল বৈশাখীর-।’ ঝড় তো নয়, সে এক তাণ্ডব। মাতোয়ারা হয়ে রাজ্যপাট ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার সেকি প্রলয় নৃত্য তার সর্বাঙ্গে। বসন্তের মাতাল সমীরণ যে কখন কালবৈশাখীর প্রলয় নৃত্য হয়ে ধরার চিত্ত উতল করে, তার হদিস মেলে না। কালবৈশাখী হবে কখন কোথায়, তার কোনো আগাম জানান সে দেয় না।

বিদায়ী ১৪২৯ সালের চৈত্রে কালবৈশাখীর তেমন আনাগোনা শুরু হয়নি। এর আগের বছরও ঝড়ো হাওয়ার মাতম দেখা যায়নি। কালবৈশাখী যেন কোথায় উধাও ছিল। এবার শেষ চৈত্রেই কালবৈশাখী তার তৎপরতা নামে মাত্র শুরু করেছে। তবে প্রচণ্ড দাবদাহে নতুন বছর গরমের কখন যে সবেগে সবল জানান দেবে- তার কোনো পূর্বাভাস নেই।

এমনিতেই ধ্বংসের বারতা নিয়ে আসে গ্রীষ্মের ঝড়ঝঞ্জার কালবৈশাখী। আর কালবৈশাখীই তো বাংলার প্রথম ঋতু- গ্রীষ্মের বৈশিষ্ট্য। নতুনের আবাহন নিয়ে আসা বৈশাখের রুদ্র-ঝড়ে ঝড়ে যায় কত শত প্রাণ, হানি ঘটে কত শত সম্পদের। শস্যহানি, বৃক্ষ উৎপাটন- সবই তার নখদন্তের এখতিয়ারে। কালবৈশাখী খুব বেশি লন্ডভন্ড, খুব বেশি ধ্বংস, খুব বেশি প্রাণ বায়ু নির্গত করার বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব নিয়েই আসে। ক্রুদ্ধ চাহনি তার, মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে রোষানলে, যে কিছু যে কাউকেও। ‘আনন্দে আতঙ্কে নিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া/ মত্ত হাহা রবে/ ঝঞ্জার মঞ্জির বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর/ নৃত্য হোক তবে।’ এই নৃত্য মানে ঝড়ের মাতম, উন্মাদনার নান্দীপাঠ।

চৈত্র শেষে এবং বৈশাখে স্বল্প পরিসরে স্বল্প সময়ব্যাপী বজ্র বিদ্যুৎসহ এক ধরনের ঝড় প্রায়শই আঘাত হেনে থাকে। যাকে স্থায়ীভাবে বলা হয় কালবৈশাখী। অতিমাত্রায় যা হচ্ছে আঞ্চলিক ঝড়। এই ঝড় সাধারণত উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইতে থাকে। তবে অন্যান্য দিক থেকে এর আগমন হতে পারে। কালবৈশাখীকে ঘূর্ণিঝড় অভিহিত করা হয়- বায়ুপ্রবাহ ঘূর্ণায়মান হয় বলে। তবে আবহাওয়া বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় তা ঘূর্ণিঝড় নয়।

কালবৈশাখী যদিও টর্নেডোর মতো ঝড় নয়, কিন্তু কখনো তা টর্নেডোতে পরিণত হতে পারে। এমনটা ঘটেছিল বিশ শতকের ২৭ এপ্রিল, ৯৩ বছর আগে চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে। এই ঝড় যেমন হঠাৎ করে আবির্ভূত হয়, তেমনি ২-৩ ঘণ্টা পর হঠাৎ করেই অন্তর্হিত হয়। এই ঝড়ের গতি সাধারণত ৪০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। প্রস্থে ৪৮০ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ঝড় তার গতিপথে ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার অবধি অগ্রসর হয়।

এই স্বল্পস্থায়ী জীবনচক্রে তার যে উন্মাদনা, সর্বত্র ভয়ঙ্করের ছাপ রেখে যায়। এই ঝড়ের গতির সঙ্গে পাল্লা দেয় সাধ্য কার। কালবৈশাখী কখন এবং কবে হবে সে সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। বৈশাখের আগুনে ঝলসিত কোনো কোনো বিকেলে শুরু হয় কালবৈশাখীর আয়োজন। যেন ‘মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস... আমি এলোকেশে ঝড় অকাল বৈশাখীর’।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এই ঝড় প্রধানত বিকেল থেকে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত এবং পূর্বাঞ্চলে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টার মধ্যে প্রধানত আঘাত হানে। অনেক সময় দুপুরের পর থেকেই উত্তর-পশ্চিমের আকাশ কালো হতে শুরু করে। অনেক ঘটা করে আয়োজন হয় তাণ্ডব নৃত্যনাট্যের। তখন কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে আকাশ। ছড়িয়ে পড়ে গুমোট ভাব। স্তব্ধ হয়ে আসে বাতাস।

স্তব্ধতার এক সীমায় পৌঁছে থমকে যায় পৃথিবী, আর শুরু হয় বাতাসের ঝাপটা; ঘূর্ণি বাতাস। শুরু হয় রণসাজ। বজ্র বিদ্যুৎ চিরে ফেলে যেন পৃথিবীকে। নৃত্যের তাণ্ডবতায় প্রকৃতিও হয়ে পড়ে নৃত্যরত। কালবৈশাখী পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে বেশি আঘাত হানে। পূর্বাঞ্চলে সংঘটিত ঝড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও তুলনামূলভাবে অনেক বেশি।

কালবৈশাখী কবে আসবে, সে জানান না দিলেও চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ-জ্যেষ্ঠের মধ্যে স্বরূপে আবির্ভূত হয়। পহেলা বৈশাখে কালবৈশাখীর তাণ্ডবনৃত্য অতীতে অনেক মিলেছে। খরা, গুমোটভাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কালবৈশাখীর ঝড়ও যেন ত্রিমাত্রিক ঢঙ্গে নৃত্য করে জোরেশোরে। ‘পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস/ রাঙাইছে আঁখি-বিদ্যুৎ বিদীর্ণ শূন্যে; ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায়/ উৎকণ্ঠিত পাখি।’ রুদ্র তণ্ডবে কাঁপে প্রকৃতি। আর এই কাঁপিয়ে তোলা, এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তোলাই কালবৈশাখীর মূলকাজ। সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেওয়ার মধ্যে যে এক অদ্ভূতুড়ে আনন্দ, কালবৈশাখী তা সর্বাঙ্গে উপভোগ করে।

বাঙালির নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ শুরু হয় প্রকৃতির রুদ্র নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে, সব ভেঙে চুরমার করে দিয়ে যেন। কিন্তু এই ধ্বংংসের মাঝে, ক্ষতির মাঝেও আবার নতুন করে জাগার প্রেরণা সঞ্চার হয়। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশে কালবৈশাখীর কোনো পরিসংখ্যান মেলে না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এই ধরনের ঝড় দেশের সর্বত্রই হরহামেশা হয়। তবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর তীব্রতা সব চেয়ে বেশি।

মাঝে মাঝে এই ঝড় এত প্রবল হয় যে, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে এবং সহায় সম্পদ ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়। অন্যদিকে ঝড়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারণে শস্যের ক্ষতি এবং পশু-পাখির প্রাণহানিও ঘটে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির জীবনে প্রকৃতির সঙ্গে পাড়ি দিয়ে কালবৈশাখী আসে তার নিজস্ব ঘরানার নিজস্ব নাচের মুদ্রা নিয়ে। তার যে উন্মাদনা, সর্বত্র ভয়ঙ্কর ছাপ রেখে যায়।

বাংলাদেশে সংঘটিত কালবৈশাখী দক্ষিণ দিক থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু প্রবাহ এবং পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত মহাদেশীয় শুষ্ক ও শীতল বায়ুপ্রবাহ বায়ুমণ্ডলের দুই থেকে তিন কিলোমিটার উচ্চতায় মিলিত হয়ে ধ্বংস চালায়। গোড়াতে এই দুটো ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জ পরস্পর বিপরীত দিকে অবস্থান করে, ফলে বায়ু পুঞ্জদ্বয়ের সীমান্তে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তী সময়ে উষ্ণ বায়ুপুঞ্জের কিছুটা অংশ শীতল বায়ুপুঞ্জের মধ্যে সামান্য প্রবেশ করে। তবে কিছু সময় পরেই উষ্ণ বায়ু হালকা হাওয়ার কারণে শীতল বায়ুপুঞ্জের উপরে উঠে যায়। শীতল বায়ুপুঞ্জের উপরিস্থিত এই উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু রাশি ঝড়ো-মেঘে পরিণত হয়। এবং এই মেঘ থেকেই পরবর্তী সময়ে বজ্র বিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। অবশ্য বায়ুর আর্দ্রতা নিঃশেষিত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঝড়ের অবসান ঘটে।

বৈশাখে একদিকে খরতাপে আকাশ, মাটি, বৃক্ষ, পোড়ে। আগুনের উত্তাপ বাতাসে প্রবাহিত হতে থাকে। উষ্ণতার ভেতর প্রচণ্ড রোদের ভেতর তবু কণ্ঠে সুর ওঠে, “আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে।’ বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা। তখন একাকার লোকাচার, ধর্মাচার। উত্তপ্ত বায়ুমণ্ডল। পদে পদে তার অস্থিরতা। উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ। উত্তপ্ত সমুদ্র বুক। প্রখর তাপ, সীমাহীন শুষ্কতা নিয়ে মাটির ক্রন্দন, হাহাকার, বুকফাটা আর্তনাদ ওঠে। আর যখন আসে ঝড় বৃষ্টি, গুমোট ভাব কেটে যায়, কিন্তু সাথে সাথে লন্ডভন্ড হয় অন্য সব। কেবলই ধ্বংস আর লয়।

তারপর আবার নতুন করে জেগে ওঠা। ধ্বংসের ভেতর থেকে জেগে ওঠে নতুন প্রাণ সত্তা। কালবৈশাখী ঝড়ের বৃষ্টিপাত সাধারণ ২৫ মিলিমিটারের বেশি হয় না। তবে ব্যতিক্রমও আছে। অতীত রেকর্ডে দেখা গেছে, পূর্বাঞ্চলে ১৮৯৭, ১৯০৬ ও ১৯৩৬ সালে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫২৫, ৩৪০ ও ৩৪৫ মিলিমিটার।

বাংলার ভূ-প্রকৃতিকে কাঁপিয়ে আসে বৈশাখ। বাঙালির নববর্ষের প্রথম মাস। ষড়ঋতুর চাকায় একপাক ঘুরে আবার সে আসে। তবে তার আগমন ঘটে জানান দিয়ে। উগ্র স্বভাব নিয়ে সে হানা দেয়। হানাদার তুল্য বটে। বাঙালির জীবনে বৈশাখ আসে প্রাচীনকাল থেকেই চৈত্রের দাবদাহ আর প্রচণ্ডতাকে সাথে নিয়ে। আসে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষের আকুতি আছে, কিন্তু উপায় খুঁজে না পাওয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ মেনে নিতে হয়।

মেনে নিতে হয় প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা। কারণ মানুষ নিজেও প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির সব কিছুর প্রভাব তাই এড়াতে পারে না। কারণ প্রকৃতিতেই তার বেড়ে ওঠা। দিনপঞ্জি তার চলার পথ নিশানা। কালবৈশাখী ঝড়ে মাতমে অসহায় মানুষ। সাজানো সংসার, ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদিপশু, গাছপালাসহ প্রায় সবকিছুই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মনোবল হারানো মানুষ তখন উপায়ন্তর। খড়কুটো আঁকড়ে বেঁচে থাকার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলে। দিশেহারা হয়ে পড়ে মানুষ।

ঝড়ের দিনের করণীয় সম্পর্কে চৌদ্দশ বছরেরও আগে পথ দেখিয়েছেন শান্তি ও মানবতার পথ প্রদর্শক নবি হজরত মুহম্মদ (সা.)। নিজের অনুসারীদের অবস্থার কথা অনুধাবন করে সে যুগেই ঝড়ের সময় সতর্কতা এবং ঝড়-পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপের নমুনা বাতলে দিয়েছিলেন। আরবের মরুভূমিতে যখনই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করতো তখনই নবীজী (সা.) দৌড়ে মসজিদে চলে যেতেন। ঝড়ো বাতাস না থামা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতেন। মসজিদে বসে শয়তানের অনিষ্ট এবং ক্ষতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করতেন।

তিনি সাহাবাদের ঝড়ের সময় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসজিদে অবস্থানের কথা বলতেন। উৎসাহ দিতেন অস্থির না হয়ে মনোবল শক্ত করার জন্য। ঝড়ের দিনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া পাঠের বিষয়টি হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যা হচ্ছে নবীজীর (সা.) ঝড়ের সময়ে করা আমল। ঝড় পরবর্তীকালে তিনি বাস্তবধর্মী কর্মসূচি নিতেন। অসহায়, গরিব, দুখী মানুষদের সাহায্য সহায়তা করা ছিল নবিজীর (সা.) জীবনের অভিন্ন অংশ।

তিনি অপরের ব্যথা-বেদনা, যন্ত্রণা এবং দুঃখ দুর্দশা ও কষ্টকে নিজের কষ্ট, দুঃখ হিসেবেই দেখতেন। ঝড় পরবর্তী সময়ে তিনি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খোঁজখবর নিতে বাড়ি বাড়ি যেতেন এবং যথাসাধ্য তাদের সাহায্য করতেন। চাঁদা তুলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার ইতিহাসও নবির (সা.) জীবনীতে মেলে। ঝড় প্রতিরোধের কর্মসূচি হিসেবে নবিজী (সা.) বৃক্ষরোপণ আন্দোলন হাতে নিয়েছিলেন এবং সাহাবাদের এ ব্যাপারে প্রচুর উৎসাহ প্রদান করতেন।

হজরত মুহম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যদি কিয়ামতের আগমন সম্পর্কে নিশ্চিত হও এবং তোমার হাতে একটি গাছের চারা থাকে তবে তুমি চারাটি রোপণ করো।’ ঝড়-প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গাছপালার ভূমিকা ও অবদান গুরুত্ববহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে প্রাকৃতিক পরিবেশকে সচল রাখা অবশ্য কর্তব্য।

এবারের বৈশাখ সে আবাহন জানায় যেন।

লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও মহাপরিচালক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

এইচআর/ফারুক/জিকেএস

আরও পড়ুন