ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

উৎসবমুখর হোক ইউপি নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:১০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হল। এই প্রথম দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের প্রান্তিক পর্যায়ের এই পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। ফলে এবারের নির্বাচন আসছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। একারণে তফসিল ঘোষণার জন্য এক ধরনের অপেক্ষাই ছিল। এখন সুষ্ঠুভাবে সবকিছু সম্পন্ন করাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।  

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ, মোট ছয় ধাপে ৪ হাজার ২৭৯ ইউনিয়নে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের আয়োজন হবে এবার। প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভোট হবে ২২ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ ৭১০টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে। প্রথম দফায় ২২ মার্চের নির্বাচনে অংশ নিতে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে ২ মার্চ।

এর আগে প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হয়। এবার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শুধু চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন হবে। সদস্য প্রার্থীরা স্বতন্দ্র বা নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করবেন।

এতদিন নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হলেও কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব তাতে থাকতোই। বিশেষ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বেশিরভাগই স্থানীয় পর্যায়ের কোনো না কোনো দলের নেতাকর্মী। এছাড়া ভোটাররাও অনেকটা দলীয়ভাবে বিভক্ত। এই অবস্থায় দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়াটাই সঙ্গত। এতে তৃণমূল পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিকাশের একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া দলীয় প্রার্থীরা একটি সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে থাকায় সার্বিকভাবে নির্বাচনে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। তবে কোনোভাবেই যেন ইউনিয়ন পরিষদ দলীয় আখড়ায় পরিণত না হয় সেটি দেখতে। আর যোগ্য প্রার্থীরা যাতে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রার্থী মনোনয়নে দায়িত্বশীল হতে হবে। ভোটারদের এ ব্যাপারে সতর্কতার বিকল্প নেই।

ভোট আমাদের দেশে একটি উৎসব। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে সেই উৎসবে অংশ নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আসলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, স্থানীয় প্রশাসন, ভোটার ও সমর্থকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, সুষ্ঠু অবাধ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক-এটিই কাম্য।

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন