ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হোক লক্ষ্য

প্রকাশিত: ০৪:১৬ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় এটিকে স্বপ্ন মনে হলেও এখন সেটি বাস্তবতা। সত্যি বলতে কি, প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। একবিংশ শতাব্দী প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের শতক। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অংশও হয়ে গেছে প্রযুক্তিনির্ভরতা।

আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক সবক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে। বিশেষ করে দেশে তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের জীবনযাত্রা পাল্টে ফেলছে। শিক্ষিত তরুণরা এখন আর চাকরির মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে আত্মকর্মসংস্থান করার দিকেই ঝুঁকছে। পাহাড়সম বেকারত্বের এদেশে নিঃসন্দেহে এটি এক ইতিবাচক উদ্যোগ। সৃজনশীল এসব তরুণদেরকে প্রযুক্তিগত ধারণা দিতে দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে হচ্ছে বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন। গতকাল ৯ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘বিপিও সামিট-২০১৫’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বেশ কিছু আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘বাংলাদেশ খুব শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সবচেয়ে বেশি উপার্জন খাত হবে তথ্যপ্রযুক্তি। যা পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে ।’এটা নিঃসন্দেহে আশার দিক। এ জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগুনোর কোনো বিকল্প নেই।

প্রযুক্তি এসে পাল্টে দিচ্ছে সবকিছু। মানুষের চিন্তা-চেতনা ধ্যান ধারণায় যেমন পরিবর্তন আসছে তেমনি বদলে যাচ্ছে কর্মক্ষেত্র। উদ্ভব হচ্ছে নতুন নতুন পেশার। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করতেই পারলেই কেবল আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ সম্ভব হবে। এ জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিবান্ধব একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। হাইটেক পার্কসহ এ সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে দ্রুততার সাথে। আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে আটকে থাকলে মুখ থুবড়ে পড়বে সবকিছু। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের যে স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে সেটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। দক্ষ জনশক্তি যদি আমরা রপ্তানি করতে পারি সেক্ষেত্রেও একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এসব বিবেচনায় প্রযুক্তিখাতের যথাযথ উন্নতিকল্পে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন