ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম বদলে দিন

আনিস আলমগীর | প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৬ মে ২০২১

পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ানো, সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পে হাঁটার পথ, গাড়ি রাখার স্থান ও রেস্তোরাঁ বানাতে বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ছে। কিছু গাছ এরই মধ্যে কাটা হয়ে গেছে, আর কাটার জন্য কিছু গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এর প্রতিবাদে ৫ মে ২০২১ বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন ফটকে নোঙর বাংলাদশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট, গ্রিন প্ল্যানেটের উদ্যোগে একদল তরুণ শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতারা মানববন্ধন করেছে। তারা বলেছে, উন্নয়নের নামে এই মহামারির মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০ বছর বয়সী শতাধিক গাছ রাতারাতি কেটে ফেলেছে গণপূর্ত বিভাগ।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওই দিনই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (৩য় পর্যায়) মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজ কাজ চলমান রয়েছে। এতে কিছু গাছ কর্তন করা হলেও প্রায় এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সকল কার্যক্রমের বিষয়ে খণ্ডিত তথ্য প্রচারিত হওয়ায় অনেকের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

উন্নয়নের প্রয়োজনে গাছ কাটা না কাটার বিতর্ক চলমান রয়েছে সারাবিশ্বে। তবে বেশির ভাগ থেকে গাছকে যথাসম্ভব না কেটে এর মধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ঢাকার অক্সিজেন বলতে রমনা আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেটা যদি অপরিকল্পিত এবং বিনা প্রয়োজনে কাটা হয় তাহলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে এই শহরে। নতুন গাছের চারা সেটার বিকল্প হবে না।

শুধু গাছ কাটা নয়, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আমরা আসলে স্বাধীনতার পরপরও অনুধাবন করিনি। সরাসরি বললে আমাদের স্বাধীনতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত মাঠটির নতুন নামকরণ করাও ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। ঘোড়দৌড়ের মাঠ বা রেসকোর্স ময়দান বললে এ প্রজন্মের লোকদের চিনতে কষ্ট হবে। কারণ তারা এই ময়দানকে চেনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হিসেবে। অনেকে জানে না, এটি আগে রমনা রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত ছিল। একসময় ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ সৈন্যদের সামরিক ক্লাব এখানে প্রতিষ্ঠিত ছিল। পরবর্তীতে এই মাঠটিকে রমনা রেসকোর্স এবং তারপর রমনা জিমখানা হিসেবে ডাকা হতো।

আমি এর নামকরণের বিরোধিতা করে করে ২০১৬ সালের অক্টোবরে একটি কলাম লিখেছিলাম। তার আগেও অনেকদিন ভেবেছি এই ময়দানটি নিয়ে কিছু লিখব কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে লেখাটা বৃথা মনে করেছি। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। তাদের কাছে এটি পেশ করা যায়। কারণ তারাই কথা শোনার যথাযথ কর্তৃপক্ষ। প্রবীণরা সবাই জানেন, আগে এ ময়দানে ঘোড়াদৌড়ের বাজি হতো। ঘোড়াদৌড়ের বাজি নাকি একরকম জুয়া খেলা। ধর্মমতে জুয়া হারাম। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় গেলে মদ-জুয়া বন্ধ করে দেবেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন তিনি মদ-জুয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন ঘোড়দৌড়ও বন্ধ হয়ে যায়। মাঠটি পরিত্যক্ত হয়।

বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছানুসারে সিটি করপোরেশন (তখন পৌরসভা) তাতে উদ্যান সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেয় এবং তা এখন পরিপূর্ণ উদ্যান। বঙ্গবন্ধু এ উদ্যানের নামকরণ করেছিলেন সোহারাওয়ার্দী উদ্যান। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ প্রিমিয়ার এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির দীক্ষাগুরু। বঙ্গবন্ধুর স্কুলজীবন থেকে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে পরিচয়। ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধু যখন লেখাপড়া করছিলেন তখন তিনি সোহরাওয়ার্দীর সাহচার্যে থেকেই রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তিনি ঘোড়দৌড়ের মাঠের নামকরণ করলেন ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’। কিন্তু বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে এ ময়দানটার একটা ঐতিহাসিক সংযোগ বিবেচনায় এনে ময়দানটার নামকরণ পুনর্বিন্যাস করলে ভুল হবে বলে মনে হয় না। পুননামকরণ শুনে সোহরাওয়ার্দীর প্রতি কোনো অশ্রদ্ধার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি ভাববেন না। আমি বিস্তারিত বলছি।

অনেকেই জানেন, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ‘কায়দে আজম’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। গান্ধীজি তার এক চিঠিতে জিন্নাহকে ‘কায়দে আজম’ সম্বোধন করেছেন। আর গান্ধীকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাও তার এক চিঠিতে মহাত্মা সম্বোধন করে। চিত্তরঞ্জন দাসকে কংগ্রেস অধিবেশনে এক বক্তা ‘দেশবন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এ সবই ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ে, যদিওবা উপাধিগুলো তাদের নামের পূর্বে ব্যবহার হতে হতে সর্বজনীনভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিনিধিত্বকারী ময়দানে উপস্থিত ১০/১২ লাখ লোক। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের পর এ ময়দানে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। ওই সভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বসম্মতিক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে উপাধি প্রদানের ঘটনাটা হচ্ছে এ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রথম ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কনস্টিটিউশন অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছিল। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্কসের (এলএফও) অধীন। কারণ তখন দেশে কোনো শাসনতন্ত্র বলবৎ ছিল না। কথা ছিল নির্বাচিত সংসদ শাসনতন্ত্র রচনা করবে এবং শাসনতন্ত্র রচনার দায়িত্ব সম্পাদনের পর ওই শাসনতন্ত্রের অধীন ওই সংসদ জাতীয় সংসদ হিসেবে পরবর্তী পাঁচ বছর বহাল থাকবে। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল সরকার গঠন করবে।

ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ার পর পাকিস্তানিচক্র ষড়যন্ত্র শুরু করে। সংসদে মোট আসন ছিল তিনশ। আওয়ামী লীগ আসন পেয়েছিল ১৬০ আসন। জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি পেয়েছিল ৭৮ আসন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন প্রথমে ডেকেছিল কিন্তু ষড়যন্ত্রের নীলনকশা অনুসারে অধিবেশন বন্ধ করে দেয়। তখন বাংলাদেশে ব্যাপক আন্দোলন আরম্ভ হয় এবং বহুলোক হতাহত হন।

৭ মার্চ ঘোড়দৌড়ের মাঠে বঙ্গবন্ধু জনসভা আহ্বান করেন। ওই জনসভায় ১০/১২ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর তার ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ জনসভায় তিনি তার অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার গাইডলাইনও জাতির কাছে পেশ করেছিলেন। এই ঘটনাটি এই ময়দানের দ্বিতীয় ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত্রে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সে রাতেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যায় এবং বাংলাদেশে মিলিটারি অপারেশন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশের বিদ্রোহী মানুষ, পুলিশ, বিডিআর আর বাঙালি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর পাকিস্তান বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল মিয়াজী আত্মসমর্পণ করেছিলেন এ ঘোড়দৌড়ের মাঠেই। এটি এই ময়দানের তৃতীয় ঐতিহাসিক ঘটনা।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পরাধীনতার পাপ মোচনের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হওয়া অবধারিত ছিল। দীর্ঘ দশ মাস তিনি পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন। তার ফাঁসির আদেশও হয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তিনি বেঁচেছিলেন এবং ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। বাঙালি জাতির এ মহান বীরকে সেদিন জাতির পক্ষ থেকে বীরোচিত সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছিল এ ঘোড়দৌড়ের মাঠেই। এটা চতুর্থ ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাতে পাকিস্তানিরা মিলিটারি অপারেশন আরম্ভ করেছিল বাংলাদেশে। তখন পাকিস্তানি মিলেটারির অত্যাচারে এক কোটি বাঙালি বাস্তুত্যাগী হয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল। ভারত দীর্ঘ নয় মাস এক কোটি লোককে শুধু আশ্রয় দিয়েছিল তা নয় তাদের খাওয়ারও ব্যবস্থা করেছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়েছিল। চূড়ান্ত যুদ্ধে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধও করেছিল।

আসলে মুক্তিবাহিনী আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়েছিল। মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর এ অভিযানের সময় ১৪ হাজার ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারায়। মূলত মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত রক্তস্রোতের ওপর দিয়েই বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই মহীয়সী নেত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সুদীর্ঘ সময় যুদ্ধ করতে হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ মহিয়সী নেত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছিল এ ঘোড়দৌড়ের মাঠেই। এটা এই মাঠের সর্বশেষ ঐতিহাসিক ঘটনা।

তাহলে দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের সবকিছুই আবর্তিত হয়েছে এ ময়দানকে কেন্দ্র করে। সুতরাং এ ঘোড়দৌড়ের মাঠটার নাম ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যদিওবা ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। এ ময়দানের সব ঘটনাই ঐতিহাসিক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে আবর্তিত। ইতিহাস তা সংরক্ষণের দায়িত্ব নেবে। তবুও ময়দানটার নাম ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ হলে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হতো। আমার নাম পাল্টানোর প্রস্তাবটা ইতিহাসের অবলুপ্তি নয়, ইতিহাসের সফস্টিকেশান।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকেও অবমাননা করা যাবে না। তিনিও আমাদের জাতীয় নেতা সুতরাং রমনা পার্কের নাম তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হিসেবে নামকরণ করা যেতে পারে। তার নামের চেয়ে বড় কিছুও করা যেতে পারে। জেনারেল নিয়াজী যে স্থানে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সে স্থানে একটা মনুমেন্ট তৈরি করে নাম দেয়া যেতে পারে ‘বাংলাদেশ মনুমেন্ট’। এখন যে গ্লাস টাওয়ার করা হয়েছে সেটাকে যদি এর বিকল্প ভাবা হয় নতুন মনুমেন্টও প্রয়োজন নেই। তবে সবকিছু মিলে এখনও ময়দানটি পরিকল্পিত ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে না। ১৯৪০ সালে ২৩ মার্চ লাহোরের যে স্থানে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল সেখানে ‘পাকিস্তান মনুমেন্ট’ তৈরি করে ইতিহাসের যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তারা।

গবেষক ছাড়া সাধারণ মানুষ জাদুঘরেও যায় না, আর্কাইভেও যায় না- তাই সাধারণ মানুষের জন্য দৃশ্যমান স্মৃতিস্তম্ভ প্রয়োজন এবং তা থেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ অনুপ্রেরণা লাভ করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কিছু স্থাপনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু ‘শিখা চিরন্তন’ ছাড়া অন্যসব স্থাপনা উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের মতো। সাধারণ মানুষ তার কিছুই বোঝে না। ‘শিখা চিরন্তন’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটা ছিল খুবই স্মরণীয়।

স্বাধীনতার ২৫ বছর উদযাপনে এই উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববরেণ্য নেতা নেলসন মেন্ডেলা, ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাত, তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল উপস্থিত ছিলেন। আশাকরি সরকার রেসকোর্স ময়দানকে ঘিরে স্বাধীনতার স্মৃতিগুলোকে দৃশ্যমান করবে এবং এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ করবে। সেই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায়ও সচেষ্ট হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত। [email protected]

এইচআর/এএসএম