প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা ও জনগণের সচেতনতা
৪ এপ্রিল(২০২১) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) নবনির্মিত বহুতলবিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের মানুষ যাতে নিজেদের আরও সুরক্ষিত করে সেজন্য তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাই, সকলকে একযোগে কাজ করার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর আগে ১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে জনগণের সহায়তা চেয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিয়েশাদির অনুষ্ঠান না করা, জনসমাগম যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, পর্যটনে না যাওয়া, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করা এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও কিছুদিন ধরে হঠাৎ দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে হয়তো মনে করছে, যেহেতু টিকা নিয়েছেন, আর কিছু হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা বন্ধ হয়েছে। যত বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যারা পর্যটনে গেছে, সেখানেও আক্রান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতিমধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১৮ দফার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার ধীরে ধীরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চেষ্টা করছে। সে জন্য জনগণের সহায়তা দরকার। সেই সঙ্গে সব সময় মাস্ক পরা, গরম পানির ভাপ নেওয়া ও নাকে শর্ষের তেল দেওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সূত্র ধরে বলা যায়, বাংলাদেশে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম পর্যন্ত প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে বেশি সংখ্যক মানুষ এবং ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ঘটছে বেশি।৪ এপ্রিল(২০২১) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৩৭,৩৬৪, এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫,৫২,৪৮২ জন।বিশ্বের পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ।সব মিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। মারা গেছে ২৯ লাখের বেশি।সুস্থ হয়ে উঠেছে ১০,৬১,৮৩,৭০৮।
আমাদের মতই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতের অবস্থা আরো নাজুক। ৪ এপ্রিল সেখানে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।এর আগে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র একদিনে ১ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর সাক্ষি হয়েছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতে একদিনে ৯৮ হাজার ৭৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। মহামারি শুরু হওয়ার পর এটাই এ গড়ের সর্বোচ্চ উল্লম্ফন।পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার সরকারও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।ইতোমধ্যে ইতালিতে ৩ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। ফ্রান্সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধ হয়েছে।
এদিক দিয়ে ৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন যথার্থ বলেই মনে করা হচ্ছে।এখন দরকার জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা।
সংক্রমণ মোকাবিলায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা(৩ এপ্রিল) দেওয়ার পর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ৪ এপ্রিল হাজারো মানুষ বাসে, লঞ্চে ও ট্রেনে ঢাকা ছেড়েছে। টার্মিনালে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পরের
পরিস্থিতিকে।ওই ছুটি ৬৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।কিন্তু সেসময় মানুষের অসচেতন আচরণ দেখা গিয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে গ্রামে ফেরার দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম।
এক বছর পর সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আবারও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার কিন্তু জনগণের ইচ্ছা নেই বিধিবিধান মানার।কারণ ৪ এপ্রিল খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিউমার্কেট এবং বসুন্ধরা শপিং মলের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এর মধ্যে নিউমার্কেট এলাকায় দুই ঘণ্টা এবং পান্থপথ এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। ফলে রাজপথে ভিড় করেছে অসংখ্য মানুষ।৫ এপ্রিল সকালে গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে জনতা।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ানোর এই প্রবণতা আমাদের করোনা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলবে নিঃসন্দেহে।বলা হয়েছিল লকডাউনের সময় মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনো গণপরিবহন। অভ্যন্তরীণ পথে উড়বে না উড়োজাহাজও। লকডাউনের মধ্যেও জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হলেও শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চালু রাখা যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে ঢাকা শহরের ৫০ লাখ শ্রমিক পরিবহনের জন্য সড়ক অবরোধ করে ভিড় জমাচ্ছে- এটা অসচেতনতার অন্যতম দৃষ্টান্ত।কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক সকল কারখানার নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই- এটাও সত্য।অথচ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে মোট ১১টি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা উপেক্ষিত হচ্ছে- এটা এদেশের মানুষের অভাবে স্বভাব নষ্টের মতো অবস্থা। কেনাবেচা করা কিংবা ব্যাংকিং সেবা নিতে গিয়ে তাদের ভেতর সামাজিক দূরত্ব না মানার আচরণ লক্ষ করা যায়।গত১ বছর যাবৎ অফিসের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে পরিচালিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার যে দরকার নেই এটাই বোঝানো দরকার মানুষকে।
লেখাবাহুল্য, এদেশে সরকার বিরোধীদের অপতৎপরতায় শেখ হাসিনার শুভ উদ্যোগগুলো বারবার বানচাল হতে দেখা যায়।২০২০ সালে আমরা দেখেছি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশ যখন সংকটে তখন এক দল সুবিধাভোগী মহল সরকারের অর্জনকে বিভিন্নভাবে হেয় করেছে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচিত্র গুজব রটানো হয়েছিল।বিশেষত করোনা আক্রান্ত ৬১ জন নয় হাজার জন, করোনা রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা মিলবে না, সরকারের কোনো ব্যবস্থাপনা ভালভাবে চলছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া সরকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাও সোচ্চারে প্রকাশ করা হয়। অথচ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ নিজেই অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব উত্তরণের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় তাও তিনি জানিয়ে দেন।
দুঃখজনক হলো ২০২০ সালে একটি মতলবি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের করোনা সংকটে গুজব, অপপ্রচার ছড়িয়ে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। তখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্ব এগিয়ে চলছিল। করোনা সংকটের কারণে সারা বিশ্ব এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে।জাতিসংঘের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে এমন ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়নি। সামষ্টিক স্বার্থে সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এবং ঘরে বসে স্বাধীনতা উপভোগ করার আহ্বান জানান হয়।
আসলে মানুষ দুর্দশায় পড়লে অনেক সময় যুক্তি দিয়ে বিবেচনা না করে আবেগে পরিচালিত হয়। ফলে তখন বানানো তথ্য দিয়ে উপস্থাপিত নানান ভুয়া সংবাদের পিছনে মানুষকে ছুটতে দেখা যায়। সংকটময় মুহূর্তেই মানুষ সরলভাবে ভুয়া তথ্যগুলো গ্রহণ করে তবে এটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়; সমস্যাটা হলো তারা কী করবে তা বুঝতে পারে না। এমন ভুয়া সংবাদই হয়ে উঠে মূল ভয়ের কারণ। তথ্যের ঘাটতির জন্য ফ্রান্সের মানুষ ২০২০ সালের মার্চ মাসে জনসমাগম ঘটিয়েছিল, কারণ করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও ওই তথ্যের মধ্যেও ঘাটতি ছিল। ভুয়া তথ্য গ্রহণ করার বিষয়ে গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত যুক্তি হলো, মানুষ তখনই কোনো কিছু গ্রহণ করে যখন তা তার ধারণা কিংবা বিশ্বাসের সঙ্গে মিলে যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা তথ্যটি কোথায় থেকে পাচ্ছি। হতে পারে কেউ এসব তথ্য বানিয়ে বানিয়ে আমাদের সরবরাহ করছে। সবসময় সংবাদ বা তথ্য যাচাই-বাছাই করাটা খুবই জরুরি।অসহায় মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিশ্বব্যাপী ছড়ানো গুজবে বিশ্বাস করলেও আমাদের করোনা পরিস্থিতি আলাদা। এখানে দরকার মানুষের সচেতনতা।
২০২০ সালের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের সতর্ক দৃষ্টি এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়নি। অনেক দেশ যেখানে ভ্যাকসিন পায়নি সেখানে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছি।কঠোর বিধিনিষেধের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেনি। বরং লকডাউনে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করলে সরকারকে সহযোগিতা করা হচ্ছে- এটাও বুঝতে সক্ষম হচ্ছে এদেশের জনগণ।
গুজবে বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষকে বোঝাতে হবে এই ভাইরাস টিকা নিলেও দেহে বাসা বাঁধতে পারে কারণ রোগটা ছোঁয়াচে, সহজেই একজনের মাধ্যমে একশ জনের মধ্যে এবং ক্রমান্বয়ে হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রচার করা হয়ে থাকে বেশি গরমের দেশে ভাইরাসটি সুবিধা করতে পারে না। কিন্তু এদেশে গরম আবহাওয়ার মধ্যে হাজারের বেশি সংক্রমিত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে প্রতিদিন অর্ধ শতাধিক।এজন্য বৈশাখী গরমে আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে মনে রাখতে হবে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক কম মাত্র ৫.২৩ শতাংশ। বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রোগী ভালো হয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে।
বাজারে প্রচলিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন কাজ করলেও বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখনো রাতদিন গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।মানুষই শেষ পর্যন্ত মানুষের ভরসা।লকডাউন কার্যকর করার জন্য প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এবং মানুষ যদি সাবান, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তাহলে মহামারির পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লুকোচুরির দরকার নেই উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে কুসংস্কার এবং অপপ্রচার ও গুজবে বিশ্বাস না করে বিজ্ঞানবিশ্বাসী হওয়ার পরামর্শই তিনি দিয়েছেন। আমরা এখন তাঁর নির্দেশনাই মেনে চলব এবং দেশকে মহামারি থেকে রক্ষা করব। রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমরা সচেতন না হলে সামনে ভয়াবহ বিপদ।
লেখক : ইউজিসি পোস্ট ডক ফেলো এবং বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]
এইচআর/এমকেএইচ