ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রধানমন্ত্রীর নেদারল্যান্ডস সফর

প্রকাশিত: ০২:৩২ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেদারল্যান্ডস সফর নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে।  ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর ইউরোপেরর কোনো দেশে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সরকারি সফর। তিন দিনের তিন এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকা ত্যাগ করেন।  নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং অনেক পুরনো। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর নেদারল্যান্ডস ১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই স্বীকৃতিই দুটি দেশের সম্পর্ককে এক মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে এটি বলা যায় নিঃসন্দেহে।  

সফরকালে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযাগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিলিয়ান প্লুমেন বুধবার নেদারল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী হেগ নগরীতে গ্রান্ড হোটেল আমরাত কুরহাউজ-এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ডাচ বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ওষুধ, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, পাট, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও জাহাজ চলাচল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য ডাচ কোম্পানিগুলোকে  আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘তৈরি পোশাক ছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ওষুধ, বাইসাইকেল, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, জুতা, সিরামিক, ক্যাবল ওয়্যার, পিভিসি ব্যাগ, মোটর পার্টসসহ বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য আমদানী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ডাচ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান রাখেন।

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চারটি চুক্তিও সাক্ষর করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সরকারি বাসভবনে বুধবার রাতে দুই দেশের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব চুক্তিতে সই করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্ক রুট এসময় উপস্থিত ছিলেন।  শিক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দ্বিপাক্ষিক সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আমরা আশা করি। এরফলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাক- এমন প্রত্যাশাই আমাদের।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন