ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

আর কত লাভ ও লোভের বলি হবো?

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। কিন্তু এই সময়ে ভোক্তার পকেট খালি করে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। যা জনসাধারণের চাহিদাকে জিম্মি করে এক ধরনের জুয়াই। এই জুয়াড়িদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করাটা সময়ের দাবি। নইলে শুদ্ধি অভিযান আখেরে কোনো কাজ দেবে না। যদি সমাজে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। আর এক মাস সময় পেলেই আমরা বিকল্প বাজার থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আনতে পারব।

গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা অলরেডি মিয়ানমার, চীন ও তুরস্কের সঙ্গে কথা বলেছি। এক মাস সময় পেলেই সেখান থেকে পেঁয়াজ আনতে পারব। আর এক মাসের জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেটা আমাদের মজুদ আছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক মাস কষ্ট সহ্য করতে হবে। বর্ডারে আটকে থাকা পেঁয়াজ দু’একদিনের মধ্যে প্রবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য জেল-জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ১২/১৩শ টন পেঁয়াজ লোড হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে আসবে। একমাস আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। তিনি বলেন, দেশে দুই কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রথমত, ভারত হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দেশের বাজারে চাপ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘পেনিক বায়িং’ তথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা।

তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। এ পেঁয়াজ টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কম দামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

বাস্তবতা হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বাড়লে লাফিয়ে লাফিয়ে। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর লাভ ও লোভের কারণেই যে পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। মুনাফালোভী এই মানসিকতা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। টিসিবিকে কার্যকর করে একটি প্যারালাল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রেখে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা যায়। পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হল কী করে। এক্ষেত্রে কী কারো কোনো দায়-দায়িত্ব নেই?

যে কোনো উসিলায় দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আইন-কানুন নীতি-নৈতিকতার কোনো বালাই নেই এখানে। ভোক্তাদের পকেট কাটা হবে আর সরকার শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে এটা হতে পারে না। বাজারে নজরদারি বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। অবিলম্বে পেঁয়াজের মূল্য জনসাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে যার যা করণীয় রয়েছে সেটি করতে হবে। এজন্য সরকার-ব্যবসায়ী সব পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ত্যাগ করতে হবে মুনাফালোভী মানসিকতা।

এইচআর/এমএস