ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

ঈদযাত্রার দুর্ভোগ দূর করুন

প্রকাশিত: ০৪:৪৭ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রতি বছরই  ঈদ এলেই বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যায়। যাত্রাপথের নানা ভোগান্তি তাদের নিত্যসঙ্গী হলেও এবার কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা আরও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। রাজধানীতে অাসছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক।  একদিকে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা অন্যদিকে পশুবাহী ট্রাকের আগমন এক মহা দুর্ভোগের জন্ম দিচ্ছে। তার ওপর রাস্তার বেহাল অবস্থা তো আছেই। এ অবস্থায় মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেটি নিশ্চিত করাটাই এই মুহূর্তের করণীয়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গত কয়েকদিন ধরে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোকজনকে বসে থাকতে হচ্ছে গাড়িতে। রাস্তা খানা খন্দে ভরে থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সড়ক পরিবহন  ও সেতুমন্ত্রীর ব্যাপক তৎপরতার পরও বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক এখনো পুরোপুরি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এরফলে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। এছাড়া অনেক স্থানে রাস্তার ওপর পশুর হাট বসানোর কারণেও যানজট দেখা দিচ্ছে। আশ্বিনের এই সময়েও তীব্র গরম। যানজটে পড়া মানুষজনকে গরম অাবহাওয়া অারও অতিষ্ঠ করে তুলছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

অন্যদিকে ঈদের ট্রেন সার্ভিস শুরুর প্রথম দিনেই হয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। ‘নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’র মত অবস্থা যেন। এ অবস্থা  না হয় অন্য সময় অনেকটা মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু ঈদের সময় মানুষের যখন ঘরে ফেরার তাড়া থাকে তখন শিডিউল ঠিক না থাকলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ এ সময় ঈদযাত্রার জন্য ভিড় করে স্টেশনে। তাই যে কোনো মূল্যে ট্রেনের  শিডিউল ঠিক রাখতে হবে। নৌপথেও লাখ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরছে। তাদের যাত্রাও নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে হবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলতে না পারে সেটি অবশ্যই জোর নজরদারিতে রাখতে হবে। নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে সেটিও দেখতে হবে।

ঈদাযাত্রার ভোগান্তি নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু মানুষজন আশা করে দিন দিন তা কমে আসবে । কিন্তু সে গুড়ে বালি। পরিস্থিতি তথৈবচ। অনেক হাঁকডাক হয়, কিন্তু শেষ বেলা ভোগান্তিরই দেখা মিলে।

অন্য অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শুধু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হলে ঈদযাত্রার ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। আরও সহজ করে বলা যায়, রাস্তায় পুলিশ যদি ঠিকমত তৎপর থাকে এবং যথাযথ দায়িত্ব পালন করে তাহলে সড়কের অব্যবস্থাপনা দূর করা কোনো বিষয়ই না। বার বার একই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও কেন সেই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয় না সেটি দুঃখজনক বিষয়। আমরা আশা করবো, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ করতে যার যা দায়িত্ব আছে তারা তা সঠিকভাবে পালন করবেন। এক্ষেত্রে কোনো শৈথিল্য কাম্য নয়।  

এইচআর/এমএস