ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

ঈদ : কালে কালে জনে জনে

প্রকাশিত: ০৩:১০ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৫

ঈদ মানেই আনন্দ। ছেলে বুড়ো, গরিব-ধনী, বাঙালি-অবাঙালি যে যেখানেই আছেন বা থাকেন তার কাছেই ঈদ মানে উৎসবের নানা আয়োজন। রকমারি খাবার, নতুন রং ও ফ্যাশনের কাপড়-চোপড়, সাজগোজ, ঘোরাঘুরি, গ্রামে ছুটে যাওয়া, কোলাকুলি, দেখা-সাক্ষাৎ ইত্যাদি কী নেই? সবই আছে ঈদ-উল-ফিতরে।

ঈদ উৎসব কালে কালে বিস্তৃত হচ্ছে। মুসলমানদের প্রতিবেশিরাও উৎসবের অংশ হয়ে উঠেছেন। ঈদ তাই বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঈদ উৎসব আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, ফেলে চলছে। ফলে ঈদের তাৎপর্য শুধু ধর্মীয়ভাবেই আটকে নেই, এর সঙ্গে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, এমন কি বিশ্ব মানবতার সম্পর্কও যুক্ত হয়েছে। সে কারণেই দেখা যায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ঈদ উপলক্ষে মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, এর মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবেই ঈদ এখন কেবল মুসলমানদের উৎসবে সীমাবদ্ধ না  থেকে ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলেরই হয়ে উঠেছে। এ ধরনের উৎসব তাই বিশ্ব মানবতা এবং শান্তির জন্যেই বিশেষভাবে প্রয়োজন বলে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে বা বাইরে বিশাল ক্যানভাসে ঈদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে তা আমরা ক’জনই তলিয়ে দেখি। ঈদের বহুমাত্রিক প্রভাব ও বিস্তারকে সবাই তলিয়ে না দেখলেও প্রতি বছরই ঈদের প্রতীক্ষায় থাকেন ছেলে বুড়ো সকলেই।

এখনকার বছরগুলোতে ব্যাপক তথ্য-প্রযুক্তি, প্রচার-প্রসারের ফলে ঈদ উৎসবের পরিধি বিস্তৃত হয়েছে অনেক বেশি এতে সন্দেহ নেই। তবে যে যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে, প্রচার প্রসারের ধারণাও ছিল না-সেই যুগে ঈদ উৎসব ছিল না- এমনটি মোটেও ভাবনায় নেওয়ার মতো নয়। যুগের বাস্তবতা, দেশ, সমাজ ও জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনযাত্রার বাস্তবতা অনুযায়ী তা বিদ্যমান ছিল। সেভাবেই পরিবর্তিত ও বিকশিত হচ্ছে আমাদের ঈদ। এখন আমরা ঈদ উপলক্ষে যা দেখছি ক’বছর আগে ঈদের আয়োজনে এতোটা কেনাকাটা, এতোটা বৈচিত্র্য হয়তো ছিল না, কিন্তু প্রাণের আবেগ ও উচ্ছ্বাস ছিল, এখন যে বৈচিত্র্য এসেছে তা আগামিতে আরো বিকশিত হয়ে উঠবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ঈদ উৎসবে মানুষের সংযুক্তিতে আরও হয়তো নানা মাত্রিকতা দৃশ্যমান হবে। এটিই স্বাভাবিক নিয়ম, এভাবেই ঈদ কালে কালে, দেশে দেশে বিভিন্ন জনপদে নিজস্ব বাস্তবতায় উদযাপিত হয়ে আসছে, ভবিষ্যতেও হতে থাকবে।

এখন যারা অপেক্ষাকৃত বেশি প্রবীণ তারা যে ঈদের গল্প করেন তাতে তাদের সময় এবং আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার ছবি ফুটে ওঠে। আমার মতো ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন তাদের বেলাতেও একই কথা খাটে। আমাদের পরবর্তী বা বর্তমান প্রজন্ম নতুন নতুন আঙ্গিকে ঈদ উদযাপন করে আসছে। আমার শৈশব কেটেছে নিভৃত এক গ্রামে। সেই সময় বেশির ভাগ মানুষ গ্রামেই বসবাস করতেন। শহরগুলো তখনো ততোটা স্থায়ী জনবসতিতে ভরে উঠেনি। চাকুরি, ব্যবসা বা কাজে নিয়োজিত বেশির ভাগ মানুষ শহরে থাকতেন অনেকটাই ভাসমান মানুষের মতো অস্থায়ীভাবে। মাস শেষে বেতন পেলে তারা গ্রামে ছুটে যেতেন। পরিবারের মূল অংশের বেশির ভাগ মানুষকে গ্রামে থাকতে হতো। খুব অল্পসংখ্যক মানুষই তখন শহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। ফলে ঈদ উপলক্ষে শহর ছাড়া মানুষের ঢল নামার দৃশ্য তখন সকলেই দেখেছেন। যোগাযোগ এবং যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ থাকা সত্ত্বেও মানুষ ঈদ উপলক্ষে পায়ে হেঁটে শহর থেকে গ্রামে ছুটে যেতেন। সেই দৃশ্য এখনো আমার মনে পড়ে। আমরা সবাই প্রতীক্ষায় থাকতাম কবে আমাদের গ্রামে যে ক’জন শহরে চাকুরি বা ছোট খাটো ব্যবসা অথবা কাজ কর্ম করে দু’পয়সা উপার্জন করতেন তারা কখন ঈদ উপলক্ষে গ্রামে আসবেন। আমার বাবার বাড়ি আসার দিকে তাকিয়ে থাকা শুরু হয়ে যেত ঈদ ঘনিয়ে আসার বেশ আগে থেকেই। তিনি আসলে আমরা সবাই তাকে জড়িয়ে ধরতাম, আর তার ব্যাগ খুঁজে খুঁজে দেখতাম তিনি আমাদের কার জন্যে কী এনেছেন।  এরপর ঈদের দিনে একসাথে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়া, সমবেত হওয়া, কোলাকুলি করা, নামাজ শেষে এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে মিষ্টিমুখ করা-এসবই ছিলো ঈদের আনন্দের বহির্প্রকাশ।

সেই সময়ে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা তেমন একটা ছিল না,শহরের আধুনিক খাবার দাবার গ্রামে তেমন ছিল না। তবে গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্যবাহী গুড়-চিনি দুধ মিশ্রিত কিছু পিঠা পায়েস ঘরে ঘরে কমন ছিল। আমরা ঈদের দিন ঘুরে ঘুরে এর স্বাদ নিতাম। মামাদের বাড়ি কাছে হলে বেড়াতে যেতাম। যে বছর ঈদের আগে বাবা বাড়ি আসবেন না জানতাম সে বছর মামা বাড়িতেই ঈদের আগে মাসহ চলে যেতাম। ঈদে এখনকার মতো এতো সব নতুন জামা-কাপড় তখন ছিল না। সামর্থ্যের মধ্যেই পরিবারের বড়রা ছোটদের জন্যে জামা-কাপড় কিনতেন। সব  ঈদে নতুন জামা সবাই কিনতে পারতেন তা কিন্তু নয়। আমার মনে পড়ে, যে ঈদে বাবা বাড়ি আসতেন সে বছর আমরা ভাই-বোনরা নতুন জামা, প্যান্ট বা জুতা পেতাম। বাবা সিলেট অঞ্চল থেকে বড় নৌকায় করে ধান, চাল, পণ্যসামগ্রী নিয়ে এলাকায় আসতেন। কয়েকজন মিলে তাঁরা ক’বছর এই ব্যবসা করেছেন। এরপর বাবা একটা ছোটখাট চাকুরি করতেন। তখন তিনি নিয়মিত ঈদে বাড়ি আসতেন। তখনকার দিনে ঈদ বোনাসের কথা তেমন শোনা যেত না। তাই ঈদে বাড়ি আসতে সবার জন্যে নতুন জামা-কাপড় কেনা সম্ভব হতো না। তবে শহর থেকে সেমাই চিনিসহ টুকটাক মিষ্টি জাতীয় খাবার আনতেন। ঈদের দিন খুব সকাল সকাল দল বেঁধে পুকুরে নেমে গোসল শেষে মায়ের রান্না করা সেমাই মিষ্টি খাবার খেয়ে তবেই ঈদগাহে যাওয়া নিয়মিত ব্যাপার ছিল। তবে বাবা আমাদের কারো জন্যে জামা এনেছেন তো অন্যের জন্যে পাজামা, অথবা জুতা বা স্যান্ডেল, বোনের জন্যে ফ্রক আনতেন। সব কিছু পরে চোখে কালো সুরমা, গায়ে সেন্ট মেখে ঈদগাহে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের ফুর্তি ফুর্তি ভাব ছিল। দল বেঁধে বাড়ির সব ছেলেই আমরা গ্রামের মসজিদ মাঠে নামাজ পড়তে যেতাম। সেখানে দেখা হতো ছেলে বুড়ো সকলকেই।

সবারই আগ্রহের শীর্ষে থাকতেন শহর থেকে যারা আসতেন তাদের প্রতি। কেউ কেউ ঈদের মাঠে কিছু বক্তৃতাও করতেন, মসজিদের জন্যে অর্থকড়ি তুলতেন, তাদের কথা শুনতো সবাই। নামাজ শেষে গ্রামের চায়ের দোকানে সবাই মিলে আড্ডা হতো। শোনা হতো তাদের শহুরে গল্প। তাতে ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ সমস্যা ও জীবনযাপনের কথা যেমনি থাকতো, একইভাবে রাজনৈতিক বিষয়াদিও ওঠে আসতো। তখন পাকিস্তান কাল। পঞ্চাশ দশকের শেষ, ষাটের দশক শুরু। আইয়ুব জামানার নিষিদ্ধ রাজনীতি ঈদ-উপলক্ষে শহর থেকে গ্রামে বয়ে আনতেন আমাদের গ্রামের সেই সব ব্যক্তি যাদের কেউ কেউ শহরে কলকারখানায় কাজ করতেন। তারা গ্রামের চায়ের দোকানে বসে শেখ মুজিবের কথা বলতেন, আমরা দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে তা শুনতাম। কিছু কথা বুঝতাম, অনেকটাই বোঝার ক্ষমতা ছিল না। তবে শহর ফেরৎ মানুষের কথা শুনতে বেশ ভালো লাগতো। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানে থাকতেন এমন কয়েকজনও ঈদে গ্রামে আসতেন, তাদের আগমন উপলক্ষে গ্রামের মানুষ আগ্রহ ভরে শুনতেন তাদের কথা। বেশির ভাগ কথাতেই ফুটে উঠতো পাকিস্তানিদের বৈষম্যের চিত্র। তাতে পাকিস্তান রাষ্ট্র সম্পর্কে এক ধরনের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রামে গড়ে উঠতে শুরু করে। ঈদ উপলক্ষে অনানুষ্ঠানিক এসব কথাবার্তা রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে উঠতে কম-বেশি সাহায্য করেছিল। তবে ঈদ উপলক্ষে গ্রামে কিছু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলতো, আমরা যারা ততোদিনে প্রাথমিক ছেড়ে মাধ্যমিক স্কুলে পড়ি, তাদের মাথায় কিছু না কিছু খেলতোই। শহর থেকে যে সব মানুষ গ্রামে বেড়াতে আসতেন তাদের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্যে শরণাপন্ন হতাম। স্কুলে নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা হতো। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কপথ দিয়ে হেঁটে যারা শহর থেকে গ্রামে ঈদের আগে যেতেন তাদের কাছে আমরা তরুণরা দাঁড়িয়ে যখন কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা নাটক করার কথা বলতাম অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিতেন।

আমরা একটু সচ্ছল, পোশাক-আশাকে যারা সমর্থনবান মনে হতো তাদের কাছেই এমন আবেদন করতাম। তাতে একটি নাটক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার মতো অর্থ সংগৃহীত হলেই আমাদের উদ্দীপনা দেখে কে? ঈদের আগ থেকেই প্রস্তুতি থাকতো, রিহার্সেল হতো পাড়া পড়শিরা জানতো। কেউ বাধা দিয়েছেন এমনটি মনে পড়ে না। তবে গ্রামে দু’চারজন ছিলেন যারা নাটক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেন। আমরা তাদেরকে খুব একটা উত্তেজিত  করতাম না। গ্রামে দু’চারজন ছিলেন যাদের কথা এরা শুনতেন। তাদের সহযোগিতা নিয়েই কাজটি করা হতো। ফলে তখন আমাদের কাজকর্ম নিয়ে বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। কিন্তু আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে গ্রামের স্কুল বা মাঠকে কেন্দ্র করে রাতভর নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। তাতে গ্রামের ছেলে-বুড়ো, এমনকি নারীদের কেউ কেউও উপস্থিত থেকে তা উপভোগ করতেন।

মনে হচ্ছে এখন গ্রামাঞ্চলে সেই সব আয়োজন প্রায় হারিয়েই গেছে, অনেকেই এখন গ্রামাঞ্চলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনের কথা ভুলে গেছেন। এখন অবশ্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ঈদ অনুষ্ঠান দেখতে বাধা নেই, তবে গ্রামে নাটক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়তো ততোটা এখন আর হয় না।

এখন ঈদ অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। অনেক অর্থের ছড়াছড়ি হচ্ছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামেও নামীদামি কাপড়-চোপড়, খাবার দাবার চলে গেছে। সেখানে পসরা সাজিয়ে এসব কেনাবেচা হচ্ছে। শহরগুলোতে গোটা রমজান মাসব্যাপী কেনাকাটায় মানুষের ব্যস্ততা সহজেই চোখে  পড়ে। বাংলাদেশে এখন রমজান এবং ঈদের অর্থনীতি নামক একটি টার্ম বেশ প্রচলিত। প্রতিবছর রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে হাজার হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হওয়ার খবর পত্রপত্রিকা ও টিভিতে শোনা যাচ্ছে। ঈদের এই মার্কেটে প্রবেশের জন্যে অসংখ্য মানুষ তাদের পসরা সাজিয়ে বসেন। সারা বছরই অনেকেই পণ্য তৈরি করেন ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনার জন্যে। তাতে লক্ষ লক্ষ বেকার তরুণের কর্মসংস্থান হচ্ছে, তারা ভালোভাবে ঈদ কাটাতে পারছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ঈদের রকমারি পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা উৎপাদন করা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈদ তাই এখন অন্যতম বড় ধরনের উপলক্ষ যাকে কেন্দ্র করে গোটা অর্থনীতি বেশ সচল হয়ে ওঠে। কাপড়, ব্যবহার্য সামগ্রী, খাবার দাবারসহ অনেক কিছুই এ উপলক্ষে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

গ্রামেও এর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। প্রবাসে যারা আছেন তারা বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের জন্যে সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এক সময় গ্রামের মানুষ এসবের কল্পনা করতে পারেনি, বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে হয়তো বিলাসিতা ছিল, এখন ঈদ তাদের কাছেও বেশ উৎসবের আমেজ নিয়ে ধরা দিচ্ছে। কেননা, গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো। ফলে বেশির ভাগ পরিবারই ঈদ উপলক্ষে পর্যাপ্ত কেনাকাটা করে থাকে। শিশুদের গায়ে নতুন কাপড়, পায়ে নতুন জুতা, স্যান্ডেল, কিনে দিচ্ছে না-এমন পিতামাতা প্রায় নেই বললেই চলে। প্রায় সব শিশু, কিশোর ঈদে বড়দের কাছ থেকে ভালো বকশিস পাচ্ছে। জামাকাপড়ও পাচ্ছে কয়েক সেট। বড়দেরও কেনাকাটা হচ্ছে ভালোভাবেই। ঈদ উপলক্ষে দলবেধে গ্রামে এখন গোটা পরিবার ছুটে যাচ্ছে। তবে আগের দিনের মতো হেঁটে হেঁটে নয়, গাড়িতে চড়ে দুঃসহ ভীড় উপেক্ষা করে অনেকেই নাড়ির টানে গ্রামে যাচ্ছেন, ঈদ করছেন, ক’দিন কাটিয়ে আসছেন। উচ্চবিত্তের অনেকেই ঈদ উপলক্ষে সমুদ্র সৈকত, দর্শনীয় স্থান, এমন কি বিদেশে গিয়ে কিছু দিন কাটিয়ে আসছেন।

যুগের পরিবর্তন ঘটছে, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বাড়ছে। ফলে এখনকার ঈদ অনেকটাই যেন সবার জন্যে আনন্দঘন হয়ে উঠেছে। ধনী-গরীব, উচঁ-নিচু সম্প্রদায় ও বর্ণভেদ ভুলে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মধ্যে-এটাই প্রত্যাশা।

patoary

এইচআর/এমএস