শুধু ফলে নয় মানেও হোক সেরা
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পঞ্চম শ্রেণি এবং ৮ম শ্রেণিতেই শিক্ষার্থীদের দু’টি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এরপর এসএসসি ও এইচএসসি তো রয়েছেই। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে সারা দেশে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শেষ হবে ১৮ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।
এ পরীক্ষায় মোট ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছরের তুলনায় এবার মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫৬ হাজার। তার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৪ জন। এটা নিশ্চয়ই ইতিবাচক দিক।
একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির উন্মেষ ঘটানো। মুখস্থ বিদ্যার শিক্ষা যে এই যুগে অচল সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। গাইড নির্ভর শিক্ষাও কোনো কাজের কথা নয়। এছাড়া পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও শিক্ষার যে অনেক বিষয় ও পদ্ধতি আছে সেটিও মনে রাখা দরকার। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলই বড় কথা নয় এর সাথে মানের দিকটাও দেখতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ছাড়া একটি জাতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আশার কথা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে এবং ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময়মত পরীক্ষা হচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট সময়েই এর ফলাফলও প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হচ্ছে। তবে মনে রাখা রাখতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে শিক্ষার মূল লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়। পরীক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমাদের শুভকামনা।
এইচআর/আইআই