সাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ দেখতে চাই না
দেশের রাজনীতি নিয়ে দুই কিস্তিতে যে বিশ্লেষণ লিখেছি তাতে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি কেন শুধু আওয়ামী লীগকে দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক দল মনে করেন? আর কি কোনো রাজনৈতিক দল নেই, যারা দেশকে ভালোবাসে? অনেক প্রশ্নের মাঝে এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে, তাই এই প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করতে চাই একটু।
স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ-এর এই দেশের প্রতি স্বাভাবিক একটা অধিকার তৈরি হয়েছিল কারণ এদেশের মানুষ প্রাথমিক ভাবে ও প্রধানত আওয়ামী লীগের ওপরই শেষ ভরসা করে। এই ভরসা এ জন্য নয় যে, আওয়ামী লীগ খুউব দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক দল, বরং এই ভরসা এই কারণে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়ে দেশকে একটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানেও সেই পুরোনো কথা বলতে হয় যে, মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণ যোগ দিয়েছিল, তারা কেবলই আওয়ামী লীগ ছিল না, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে একরকম আর তাকে হত্যার পর আরেক রকম ধ্যান-ধারণা ও আচরণ নিয়ে এদেশে রাজনীতি করছে।
অনেকেই বিতর্ক করতে পারেন যে, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্রকে বদলে দিয়েছে, এবং ক্যান্টনমেন্টে সৃষ্ট বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ক্রমশঃ তার জনবান্ধব চরিত্রটি হারিয়ে ফেলছে, আমি এই যুক্তি খণ্ডানোরচেষ্টা করবো না। বরং একথাই জোর দিয়ে বলবো যে, আওয়ামী লীগের এই রাজনৈতিক চরিত্র বদল, এদেশের মানুষকে আশাহত করেছে খুউব এবং মানুষ মূলতঃ এ কারণেই রাজনীতি-বিমুখ হয়ে উঠেছে দিন দিন।
কিন্তু আজকের আলোচনার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ ও তার রাজনীতির সবচেয়ে দুর্বলতম ও ভয়ঙ্কর পরিবর্তনটি আর কিছুই নয়, দলটি তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র থেকে যে ক্রমশঃ দূরে চলে যাচ্ছে, সেটিই এদেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে ভবিষ্যতে কিংবা বলা ভালো যে, আজকের যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উল্লম্ফন, জঙ্গিবাদের উদ্যত ফণা এবং রাষ্ট্রচরিত্র নিয়ে দেশের দুর্বল অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষের দুঃশ্চিন্তা- এসব সবই আসলে আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হওয়ার নিট ফলাফল। আওয়ামী লীগ এখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজে ব্যর্থ হয়ে গোটা দেশকেই একটি ব্যর্থ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করছে এবং এর ভবিষ্যৎ হয়তো বাংলাদেশের একটি সম্পূর্ণ মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া, যার থেকে আমাদের সত্যিই আর মুক্তি নেই। উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।
একেবারে সর্ব-সাম্প্রতি যে ঘটনা দেশের রাজনীতিকে, সরকারকে এবং বিচারবিভাগকে তোলপাড় করে ছাড়ছে তা হলো ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়। এই রায় যেমন-তেমন, এই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি যে সব মন্তব্য করেছেন তা আসলে চরম রাজনৈতিক বক্তব্য। আমার বিশ্লেষণ যারা নিয়মিত পাঠ করেন তারা লক্ষ্য করে থাকবেন যে, আমি এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবেই বলেছি যে, রায় যেরকমই হোক না কেন, প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে সেসব কথাই বলেছেন, যা এতোদিন ধরে এদেশের অ-রাজনৈতিক সুশীল পক্ষটি বলে এসেছে এদেশের রাজনীতিকে রাজনীতিবিদ-মুক্ত করার জন্য। ফলে এই রায় তার স্বাভাবিক মর্যাদা হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার হিসেবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে এই রায়ের বিরোধিতা করছে এবং আইনমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন যে, তারা আইনী ভাবেই এই রায়কে মোকাবিলা করবেন। সেটাই গ্রহণযোগ্য পথ।
হ্যাঁ, যেহেতু রায়টি রাজনৈতিক সেহেতু এই রায় বিষয়ে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বক্তব্য দেবে এটাও স্বাভাবিক। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি এই রায় যে রাজনৈতিক রায় এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেকথাই তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল অনেক নেতৃবৃন্দ যখন এই রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন আর এই সমালোচনা রাজনৈতিক থাকে না, সমালোচনা নতুন পরিচয় লাভ করে, যাকে আমরা বলতে পারি সাম্প্রদায়িক আঘাত। এই সাম্প্রদায়িক আঘাতের বিরুদ্ধে এদেশে প্রতিবাদকারীদের সংখ্যা এমনিতেই কমতে কমতে তলানীর দিকে এসে ঠেকেছে।
আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্নে যখন নিজের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে সর্ব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত হয়েছিল তখন এদেশের সংখ্যালঘু ধর্ম সম্প্রদায় আশাবাদী হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে সকলেই অংশ নিলেও পাকিস্তানিদের মূল টার্গেট ছিল এদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাদের ওপর কতোটা অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে তা এদেশের ইতিহাসবিদরা আলাদা করে কখনও বের করে আনার চেষ্টা করেননি, কিন্তু যে এককোটি শরণার্থী সে সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তার অনুপাত পর্যালোচনা করলেই টের পাবেন যে, এদেশকে আসলে হিন্দুশূন্য করে ফেলার চেষ্টাই করেছিল পাকিস্তানিরা। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশেও হিন্দুরা ‘শত্রু’ হিসেবে কেবল যে সম্পত্তিই হারিয়েছে তা নয়, তাদের মান-সম্মান ও প্রাণ সবই হারাতে শুরু করেছে এবং সেটা ১৯৭৫-এর আগেই অনেক ঘটনা প্রমাণ করে। আর তারপর থেকেতো এদেশে হিন্দু সম্প্রদায় রাজনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে, ধর্মীয় ভাবে এবং নাগরিক হিসেবে একেবারেই অচ্ছুৎ শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে।
হ্যাঁ, এরপরেও দেশের বিবেকবান মানুষ মনে করেছে যে, এই নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আর কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিলেও আওয়ামী লীগ তাদেরকে আগলে রাখবে। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ কিন্তু সে কাজটি করেছে, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকতে যতোটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষায় তৎপর ছিল ঠিক ততোটা তৎপর থাকতে পারেনি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংখ্যালঘু নির্যাতনে প্রয়াত মুসলিম লীগের নতুন ও ভয়ঙ্কর সংস্করণ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মতোই আচরণ করেছে। বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগের ভোট-ব্যাংক অজুহাত তুলে নির্বাচনের আগে ও পরে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু নির্বাচনে বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এদেশ সত্যিকার অর্থেই সংখ্যালঘু-শূন্য হতে চলেছে, বিশ্বাস না হলে এদেশের আদম শুমারিগুলোর রিপোর্ট পড়ে দেখতে পারেন, ১৯৪৭-এর পর থেকে এই ভূখণ্ডে মুসলিম জনসংখ্যা কতোটুকু বেড়েছে আর হিন্দুদের সংখ্যা কমতে কমতে এখন কতোতে এসে ঠেকেছে।
প্রশ্ন হলো এই ক্রমশঃ ক্ষীয়মান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভেতর যারা এখনও এদেশে টিকে আছে তাদের আসলে যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। তাদেরকে মেরে ফেললেও এই দেশেই তাদেরকে থাকতে হবে, এবং তাদের মধ্যে যারা একটু ক্ষমতাবান হয়ে উঠতে পেরেছেন তারা আসলে আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারছেন বা পারবেন, বিএনপি-জামায়াত আমলে তাদেরকে কোনো উচ্চপদে দেখা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না এবং তাদের কাছ থেকে কেউ এরকমটি আশাও করে না। কিন্তু যে মুহূর্তে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু কাজ কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি করেন তখনই আওয়ামী লীগের কর্মী থেকে শুরু করে নেতারা তাদের সাম্প্রদায়িক নখ-দন্ত বের করে এগিয়ে আসেন ওই ব্যক্তির ধর্ম পরিচয় তুলে ধরে আক্রমণ করতে।
এমনিতেই দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বহু আগেই ভয়ঙ্করের মাত্রা ছাড়িয়েছে তার ওপর যদি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখ থেকে কোনো ব্যক্তির সংখ্যালঘু পরিচয় তুলে ধরে কদর্য আক্রমণ করা হয় তখন আসলে তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে উস্কে দেওয়াই হয় এবং তারা নতুন উদ্যোমে পাশের বাড়ির অবশিষ্ট সংখ্যালঘু পরিবারটিকেও দেশছাড়া করার ঢালাও অধিকার পায়। একদা বাম নেত্রী এখন আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি বেগম মতিয়া চৌধুরীর মতো রাজনীতিবিদও সেকথা বোঝেন না এটা মানতে আমার সত্যিই কষ্ট হয়। তিনিও যখন প্রধান বিচারপতির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কথা তোলেন এবং তাকে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ করেন তখন মনে হয়, এদেশে আসলে দাঁড়াবার জায়গা আর অবশিষ্ট নেই, এদেশ সত্যিকার অর্থেই পঁচে-গলে গেছে, এখন যা অবশিষ্ট আছে তা আসলে একটি সাম্প্রদায়িক ভাগাড়, যেখানে শেয়াল আর শকুনের লড়াই চলছে ক্ষমতা নিয়ে।
কিন্তু এরকম চরম নেতিবাচক ভাবনা তো ভাবতে চাই না। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে চাই যে, আওয়ামী লীগ অন্ততঃ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক নন, তিনি এখনও এদেশকে জাতির পিতার মতো অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে চান, টিকিয়ে রাখতে চান। কিন্তু আবার ভয়ও হয় যে, তিনিতো একা, তার পাশেতো এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। নাহলে এদেশে যখন ব্লগার হত্যার উৎসব শুরু হলো কই কোনো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে তো এই হত্যাকারীদের বিপক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি? এমনকি যে হেফাজতে ইসলাম এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ তাদেরই সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য করতে পিছপা হয়নি, তাদের দাবি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তকেও পরিবর্তন আনতে দ্বিধা করেনি। তাহলে আশার জায়গাটি আর থাকলো কোথায়?
শেখ হাসিনা এখানে এককভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এদেশের যতোটুকু অসাম্প্রদায়িক চেতনা অবশিষ্ট আছে সেটুকুর, তার আশেপাশে তরুণ-বৃদ্ধ সকল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বই আসলে সরে গিয়েছেন দলটির মৌলিক ও অসাম্প্রদায়িক চরিত্র-পরিচয়ের জায়গা থেকে। আমি নিশ্চিত যে, আওয়ামী লীগের এই ক্ষয় দেশের ভবিষ্যতের জন্য চরম মূল্য হিসেবে দেশকেই চুকাতে হবে। আর দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেতো এর মূল্য এখনই দিতে হচ্ছে, কেউই আর বিএনপি-জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগকে মৌলিক ভাবে আলাদা করতে পারছে না, কারণ আওয়ামী লীগই সে সুযোগ দিচ্ছে না।
এখনও দেশে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার মানুষ নেই তা নয়, এখনও আওয়ামী লীগ চাইলে এই অসাম্প্রদায়িক মানুষগুলোকে নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে দেশটিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রাখতে পারে কোনো পক্ষকে আহত বা আঘাত না করে। রাজনৈতিক ভাবে বিবেককে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের কাছে বন্ধক না রাখা মানুষ এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই আছেন, বাকি যারা ধর্ম আঁকড়ে রয়েছেন তাদের মধ্যেও প্রচারণা চালালে তারাও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবেন, হয়তো তাতে সময় লাগবে। কিন্তু এদেশকে ভালোবাসলে এদেশের রাষ্ট্রচরিত্রকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বদলাতে হবে, নাহলে একটি ধর্মীয় উন্মাদনার দেশ হিসেবে এদেশকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিলে তাতে দেশকে ভালোবাসা হয় না, বরং তাতে দেশের সমূহ ক্ষতিই হবে।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভালোবাসে কি না সে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিলাম, লেখা শেষে একথাই শুধু বলতে চাই যে, এদেশকে ভালোবাসতে হলে এদেশের আদি ও অকৃত্রিম অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে ফিরিয়ে আনাই হবে ভালোবাসার সবচেয়ে স্থায়ী প্রকাশ। রাজনৈতিক কারণে কারো ধর্মপরিচয় ধরে সাম্প্রদায়িক বক্তৃতাবাজি কোনোভাবেই দেশকে ভালোবাসা হতে পারে না, পারে না দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো পথও।
ঢাকা ২৮ আগস্ট, সোমবার ২০১৭
লেখক : দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক।
[email protected]
এইচআর/জেআইএম