ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বাজার সিন্ডিকেট রুখবে কে?

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০৩:৩৩ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

উৎসব পার্বণ উপলক্ষে সাধারণত বিশেষ বিশেষ পণ্যের চাহিদা বাড়ে। আর অর্থনীতির সাধারণ সূত্র অনুযায়ী চাহিদা বাড়লে সেই জিনিসের সরবরাহ যদি ঠিক থাকে তাহলে দামও ঠিক থাকার কথা। বরঞ্চ বেশি বিক্রি হওয়ায় অল্প লাভ করে বিক্রি করলেও তাতে মুনাফা হয় বেশি। কিন্তু আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় এই বিষয়টি কার্যকর নেই। বরং যে জিনিস যতো বেশি চলবে তার দামও হবে আকাশচুম্বী। এই প্রবণতা এবারও দেখা যাচ্ছে বাজারে। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।আলামত যা দেখা যাচ্ছে তাতে মসলার দামও বাড়তে পারে।এ জন্য এখনি বাজার মনিটরিং জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত । অথচ সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। আন্তর্জাতিক বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। এ অবস্থায় স্থানীয় বাজারে দামবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষজনকে বেশি মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির একটা প্রবণতা অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছে। চালের ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়টি দেখা গেছে। বাজারে চালের সরবরাহ থাকলেও এমনকি আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়ার পরও কমেনি মোটা চালের দাম। এই অবস্থার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু মনিটরিং এর অভাবে খুচরা বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে যেসব খুচরা ব্যবসায়ী অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ান তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কি কেউ নেই? পেঁয়াজের দাম কেন এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়বে? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনেক সময় অনেক নির্দেশনা জারি করে। টিসিবিকে সক্রিয় করে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথাও বলা হয়। কিন্তু আখেরে কাজ দেয় না কিছুই। ফলে সিন্ডিকেটচক্র অবাধে মুনাফা লুট করার সুযোগ পায়। যদি সত্যিকার অর্থে বাজার ব্যবস্থাপনা বলে কিছু থাকতো তাহলে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট খালি করতে পারতো না। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, আজ পর্যন্ত বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। অন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির কারণে কারও শাস্তিও হয়নি। এই কারণে মৌসুম বুঝে ব্যবসা করেই যাচ্ছে ওই চক্র। ঈদ বা কোনো পার্বণ উপলক্ষ্যে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের মুনাফা। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। শুধু আইন-কানুন দিয়েও কিছু হবে না। ন্যায়-নীতি বোধেরও উন্মেষ ঘটাতে হবে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কোনো উৎসব বা পার্বণ যাতে মানুষজন ভালোভাবে পালন করতে পারে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন