ইনসুলিনসহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য স্বাভাবিক করুন
জীবন রক্ষার জন্য ওষুধ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেই ওষুধের মূল্য যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তাহলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে মানুষজন। বাস্তবতা হচ্ছে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারের ন্যায় ওষুধের বাজারেও এখন আগুন। কোম্পানিগুলো যে যার মতন দাম রাখছে। ইচ্ছে হলেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের। হৃদরোগ, কিডনির রোগ, গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপসহ অনেক রোগের ওষুধের মূল্যই সম্প্রতি কয়েকগুণ বেড়েছে। বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিক এবং বিভিন্ন ধরনের ভিাটামিনের দামও।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় ইনসুলিনের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। নভো নরডিস্ক কোম্পানির উৎপাদিত মিক্সটার্ড-৩০ ইনসুলিন প্রতি প্যাকেট কমপক্ষে সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এ কোম্পানির ওষুধটি স্থানীয়ভাবে এসকেএফ নামে দেশীয় ওষুধ কোম্পানি বাজারজাত করে। হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষজনের ভোগান্তির কোনো সীমা থাকবে না। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৯৯১ সালে তৎকালীন সরকার আটটি নির্দেশনাসহ একটি নির্দেশনা জারি করে। যেসব কোম্পানি জীবন রক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ ভাগ ওষুধ তৈরি করবে সেসব কোম্পানি ওইসব ওষুধের মূল্য নির্ধারণসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবে। কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানি তা না করেও ওষুধের মূল্য নিজেরাই নির্ধারণ করে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশের জনগণের অর্থনৈতিক জীবনমানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করলে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। বিশেষ করে ইনসুলিনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। ওষুধের মান এবং মূল্য দু’টোই যাতে ঠিক থাকে সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।
এইচআর/এমএস