ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে তবু ‘রূপরেখার’ দেখা নেই

মাসুদা ভাট্টি | প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৭

নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই এমন কোনো রাজনৈতিক দল কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আছে বলে আমার অন্ততঃ জানা নেই। পাকিস্তানের মতো গণতন্ত্রহীনতার দেশেও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে অন্ততঃ আগ্রহী, তাতে অন্ততঃ সরকার গঠন করার সুযোগ পাক বা না পাক, কোয়ালিশন সরকার কিংবা বিরোধী দলে থাকারতো সুযোগ তৈরি হয়, পাকিস্তানের মতো দেশেও সংসদ সদস্য হওয়াটা অনেক বড় সুযোগ বলে গণ্য হয় রাজনীতিতে। আর বাংলাদেশের মতো রাজনীতি-প্রবণ দেশে এ সুযোগ যে, অত্যন্ত আকর্ষণীয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিএনপি’র মতো বিশাল রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান ঠেকানোয় ব্যর্থ হয়ে এবং তারও পরে সরকার হঠানোর নামে যে ধ্বংসযজ্ঞ দেশব্যাপী চালিয়েছিল তাতে দলটি রাজনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে, আন্তর্জাতিক ভাবে এবং সর্বোপরি জনসমর্থনের দিক থেকে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যদিও দলটির নেতৃত্ব সেটা মনে করে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আদালতের নির্দেশে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষিত হয়েছে। এর মূল কারণ মূলতঃ একটি গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো অগণতান্ত্রিক ও হাস্যকর ‘নির্বাচনী শিখণ্ডি’ থাকতে পারে না। এতে গণতন্ত্রের সুনাম বাড়ে না, বরং ক্ষুণ্ন হয়। নব্বইয়ের পরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নতুন দিগন্তে যাত্রা করেছে বলে প্রায়শই গালভরা বুলি শোনা যায় কিন্তু তার সঙ্গে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো একটি অকার্যকর ব্যবস্থাও এদেশে প্রচলিত হয়েছিল সে কথা আমাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মূলতঃ অস্বীকার করতে চান। কিন্তু তাতে কি সত্যবদলায়? রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে আওয়ামী লীগনেতৃবৃন্দ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে মূলতঃ এ কারণেই সমর্থন দিয়েছিল যে, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সামরিক শাসনামলের যাঁতাকলে পড়ে এমনভাবে পর্যুদস্ত হয়েছিলযে, তাকে ‘অবাধ, নিরপেক্ষ’ অবস্থায় ফিরিয়ে আনাকোনো ভাবেই যাচ্ছিলো না,সেক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল মন্দের ভালো কিংবা আপদকালীন ব্যবস্থা। কিন্তু সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাওযে এতো দ্রুত (মাত্র তিনটি নির্বাচন) একেবারে নষ্ট হয়ে দেশের জনগণের আস্থাকে বানচাল করে দিতে পারে সে কথা হয়তো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বও ভাবেননি। অপরদিকে বিএনপি-নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, এবং তিনি যথার্থই বলেছিলেন যে, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হতে পারে না।

বেগম জিয়া মূলতঃ বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বাস করতে চাননি, একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি এক্ষেত্রে সঠিক কথাই বলেছেন, কারণ তার প্রয়াত স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমানই বলেছেন যে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই এবং টাকা দিয়ে তিনি যে কোনো বুনিয়াদি রাজনীতিবিদকেও কিনে দেখিয়েছিলেন। আর বেগম জিয়া দু’দু’বার সরকার পরিচালনা শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে এমন ভাবে ‘বিপদগ্রস্ত’ করে ফেলেছিলেন যে, কারো পক্ষে এই দায়িত্ব গ্রহণটাও একটা বিশাল ‘শরমের ব্যাপার’ হয়ে গিয়েছিল। ইয়াজুদ্দিন আহমদ সেই বিড়ম্বনাতেই পড়েছিলেন যে, তিনি আসলে কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য। এমনকি ২০১৪ সালেও যখন বিএনপির পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল সেখানেও দলটি কাউকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার মতো খুঁজে পায়নি। তার মানে হচ্ছে, এই তত্ত্বাবধায়ক  সরকার ব্যবস্থাটি আসলে আগাপাশতলা পঁচে-গলে গিয়েছিল, যে কারণে কোনো বুদ্ধিমান নাগরিক এর দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। হ্যাঁ, ১/১১-র মতো বিশেষ ধরনের বিদেশি প্রেসক্রিপশনে গঠিত সুশীল-সেনাবাহিনীর মিলিত সরকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্নতো বটেই। এসব কারণেই তত্ত্বাবধায়ক  সরকার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে বলার মতো কোনো কথাও আর নেই। সংবিধানতো পদ্ধতিটি বাতিলই করে দিয়েছে।  কিন্তু তারপর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি ও তাদের জোট বার বারই একটি নির্বাচনী সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠলেই দলটির পক্ষ থেকে এরকম একটি রূপরেখা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়। যেমন নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের সময় বলেছে, যেমন বলেছে নতুন সিইসি দায়িত্ব গ্রহণের সময়, তেমনই এখনও যখন নতুন সিইসি’র নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে, তখনও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, অচিরেই তারা একটি নির্বাচনী সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। সহায়ক শব্দটি একটু আলোচনার দাবি রাখে। সহায়ক শব্দের সাধারণ ও স্বাভাবিক অর্থ হচ্ছে, যা সহযোগিতা করে বা সাহায্য করে, তাই-ই সহায়ক। এখন একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের সহযোগিতা সাংবিধানিক ভাবে নির্দেশিত বিষয়। নির্বাচন কমিশনকে সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করবে, এবং এক্ষেত্রে যেকোনো সরকারই আসলে নির্বাচনী সহায়ক সরকার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পরে বিএনপি প্রথমে বলেছে তারা এটি পুনঃস্থাপন চায়। কিন্তু যখন আবার তারা কাউকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার মতো পেলেন না তারপর থেকে তারা এই সহায়ক সরকার নিয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা কেউ-ই জানতে পারিনি এই সহায়ক সরকার বলতে আসলে তারা কী বোঝাচ্ছেন? নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো দেশেই সরকার থাকে নামমাত্র দায়িত্ব পালনের জন্য, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু এদেশে এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা এ কারণেই থাকে যে, এদেশের রাজনীতি জনগণের ওপর আস্থাশীল নয়। এদেশে দৃশ্যমান রাজনীতির বাইরেও বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি পক্ষ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ফলে ভোটের ওপরও সেসব প্রভাব সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাজনৈতিক দলগুলি জনগণের ভোটের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। কিন্তু পরিস্থিতিরতো বদল দরকার, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবী এগুচ্ছে, এখনও যদি ভোট ছাড়া অন্যকোনো নিয়ামককে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চেঁচিয়ে দেশ মাথায় করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

আওয়ামী লীগ বা সরকার বিএনপি’র জন্য সেই আস্থার জায়গাটি তৈরি করতে পারেনি বলেই আমরা ধরে নিতে পারি এবং সে কারণেই বিএনপি বার বার একটি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছে। কিন্তু জনগণ হিসেবে আমাদের একথাও বুঝতে বাকি থাকে না যে, বিএনপি আসলে নির্বাচনী সহায়ক সরকার বলতে এমন একটি সরকারকেই বোঝাচ্ছে যে সরকার আসলে তাদেরকে ক্ষমতায় বসার পথ তৈরি করে দেবে। তারা নির্বাচন বা ভোটারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মক সন্ধিহান বলেই এরকম সহায়ক সরকারের কথা বলছে, সাহস করে জনগণের ক্ষমতায়ন বা ভোটের সময় জনগণের প্রখর ও সজাগ দৃষ্টিকে ব্যবহারের কথাটি একদম বলতে পারছে না বা বলার সাহস করছে না।

নারায়ণগঞ্জে মেয়র নির্বাচনকালে বিএনপি যে কাজটি নিশ্চিত করতে পেরেছিল জাতীয় নির্বাচনেও কেন সেই কাজটি করতে পারবে না সে প্রশ্ন তোলাই যায়। এমনকি যে রকিব কমিশনকে নিয়ে বিএনপির নেতা-নেত্রী গলা শুকিয়ে ফেলেন সেই রকিব কমিশনের অধীনেই যখন গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় মেয়র নির্বাচনে বিএনপি বিজয় লাভ করেছিল তখনও কিন্তু তাদের মুখে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করার মতো কিছুই ছিল না, তখন আমতা আমতা করে হলেও রকিব কমিশনের প্রশংসাই তারা করেছেন। রকিব কমিশনের দোষ নেই সেকথা বলছিনে, কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হলেই সুষ্ঠু আর বিজয়ী না হতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বা কারচুপি হয়েছে এমন মনোভাব যে, রাজনীতির জন্য বিশেষ ক্ষতিকারক একথা আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আসলে কে বোঝাবে?

যাহোক, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেশের আকাশে বাতাসে নির্বাচনী গন্ধ ছড়িয়েছে। সরকারি দলসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এই রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছে বলে লক্ষ্য করা যায়। বিএনপি এই রোডম্যাপকে হাস্যকর ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে এবং বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, রোডই নেই, ম্যাপতো পরের প্রশ্ন। নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার পক্ষে এ ধরনের উক্তি যে শোভন নয় তা বলাই বাহুল্য। নির্বাচন থেকে দূরে থেকে যে দলটি এতো বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে আজকে সেই দলের মহাসচিব যদি নির্বাচনী ম্যাপকে স্বাগত জানিয়ে তারপর তার আশঙ্কার কথাটি বলতেন তাও মেনে নেওয়া যেতো।

বার বার নির্বাচনী সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার ঘোষণার পরও তাদের হাতে এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বলার মতো সুনির্দিষ্টকোনো কথা নেই। টক-শো গুলোতে উপস্থাপক যদি বিএনপির কোনো নেতাকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা আসলে কী চান বলুনতো? তারা আমতা আমতা করে বলেন, তাদের নেত্রী দেশে ফিরলে একটি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন, তারপর বলা যাবে। ততোদিন তাহলে এদেশে কি নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না? না, এই প্রশ্নটি কোনো বিএনপি নেতাকে করার মতো তাগদ আমাদের নেই। কিন্তু প্রশ্ন করা না গেলেও আলোচনাতো থেমে থাকবে না, তাই না? আর যেকোনো নির্বাচনী আলোচনাই আসলে নির্বাচনের রাজনৈতিক প্রচারণা।

দৃশ্যতঃ এই প্রচারণায় সরকারি দল ও বিএনপি-জামায়াত জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলি অনেকটাই এগিয়ে থাকবে এবং তারপর হঠাৎ একদিন লন্ডন থেকে আসা প্রেসক্রিপশনে বিএনপি নামক দলটি একটি ‘রূপরেখা’ হাজির করবে, ততোদিনে হয়তো অন্যান্য দলগুলি নির্বাচনী প্রচারণায় বহুদূর এগিয়ে গিয়েছে। তখন সরকারের পক্ষেও হয়তো সেই রূপরেখা মানার মতোকোনো সুযোগ আর অবশিষ্ট থাকবে না। বিএনপি তখন তাদের বহু কথিত “ঈদের পরে প্রবল গণআন্দোলনের ঘোষণা”-র মতো জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করবে। জনগণ তাদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে দাঁড়াতে চাইলেও তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে। কে জানে হয়তো আরেকটি নির্বাচনী ট্রেনও বিএনপি মিস করবে, যেমনটি করেছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে। কিন্তু দলটি কি এখন আর সেরকম অবস্থানে আছে? আরেকটি নির্বাচকে অগ্রাহ্য করার রাজনৈতিক জোর কি দলটির রয়েছে? নিশ্চয়ই দলটির নীতিনির্ধারকগণ বিষয়টি নিয়ে ভাবেন। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ মানুষ দেখছে যে, বিএনপি’র রাজনৈতিক হুঁশ আসলে এখনও ফেরেনি। শীতনিদ্রায় থাকা জামায়াতের রাজনীতির ভূত বিএনপিকে এখনও আসলে অন্ধই করে রেখেছে। ওদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন কিন্তু হুইসেল বাজিয়ে চলতে শুরু করেছে।

দুঃখজনক সত্য হলো  এতোকাল রাজনীতি করে, একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেও বিএনপি এদেশের মানুষকে ঠিক বুঝতে পারেনি। বুঝলে একথাও দলটি বুঝতো যে, নির্বাচন শব্দটি এদেশের মানুষকে উদ্বেলিত করে নানা ভাবে। আশা এবং নিরাশায়। তবে আশাবাদীর সংখ্যাই যে বেশি সেটাও সত্য। বিএনপি এই আশাবাদী মানুষগুলোকে বুঝতে আবারও ভুল করছে বলে মনে হচ্ছে। বার বার একই ভুল যেকোনো রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ভারী হয়ে দাঁড়াবে, তাতে আর সন্দেহ কি?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন