অস্ত্র উদ্ধার ও জননিরাপত্তা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা আসলে কিসের আলামত? জনমনে নানা প্রশ্নের উঁকি দিচ্ছে। এরা কারা যে নির্জন স্থানে এমন বিপুল অস্ত্র জড়ো করেছিল? এসব তো যুদ্ধাস্ত্র। সেনাবাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসব ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। তাহলে এই অস্ত্র এলো কোত্থেকে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলা পুলিশ রূপগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচল আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সেক্টরের একটি জলাধারে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগভর্তি বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬১টি চায়নিজ এসএমজি, ২টি রকেট লাঞ্চার, ২টি ওয়াকিটকি, ৭.৬২ বোরের ৫টি ও পিস্তলের ম্যাগজিন ৫টি, রকেট লাঞ্চার প্রজেক্টর ৪৯টি, হ্যান্ড গ্রেনেড ৪২টি, এসএমজির ম্যাগজিন ৪৪টি, বিপুলসংখ্যক টাইমফিউজ, ইগনাইটার ও গুলি।
এসব অস্ত্র সেনাবাহিনীর লোকজন ব্যবহার করে। তাহলে এই অস্ত্র আসলে কোথায় ব্যবহৃত হতো। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। হত্যা, গুম, অপহরণ, ছিনতাই, রাহাজানি লেগেই আছে। চলছে রমজান। সামনে ঈদ। এই সময়ে এ ধরনের অস্ত্রের মজুদ আতঙ্কিত হওয়ার মতোই ঘটনা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ এতো বড় অস্ত্রের মজুদ উদ্ধার করার জন্য। পাশাপাশি অনুসন্ধান আরো জোরদার করতে হবে। কোথা থেকে কারা এসব অস্ত্র কী উদ্দেশে এনেছে সেটির সূত্রসন্ধান করতে হবে। জননিরাপত্তায় আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে জঙ্গি বা এই ধরনের অপগোষ্ঠি যেন কোনো অবস্থায়ই জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কোনো অপতৎপরতার সাথে জড়িত হতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এইচআর/জেআইএম