উদ্বেগজনক
হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে হামে। টিকাদান কর্মসূচিসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির কারণে আজকাল হামের প্রাদুর্ভাব খুব একটা দেখা যায় না। হঠাৎ করে কেন আবার হামের প্রকোপ দেখা দিল সেটি চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে হামে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগের।
হামে আক্রান্ত লোকজন ভিড় করছেন রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।গত ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত ৪৬৫ জন মানুষ হামে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এমন তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এসব রোগীদের মধ্যে সব বয়সী মানুষই থাকলেও ১ বছর থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু রোগী মারা গেছে ১০ জন। রাজধানীর হিসাবেই এমন তথ্য। দেশের অন্যান্য স্থানেও দেখা দিয়েছে হামের প্রদুর্ভাব।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের শিশুদের বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাঁচার জন্য টিকা দেয়া হয়। ৯ মাস ও ১৫ মাস বয়সে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, মোট ৯০ দশমিক ১ শতাংশ শিশু টিকা নেয়, বাকিরা থেকে যায় টিকার বাইরে। এছাড়া টিকা নেয়ার পরও ১৫ শতাংশ শিশু হামে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া গ্রামের শিশুরা হামের টিকা নিলেও শহরের শিশুদের মধ্যেও টিকা নেয়ার হার কম। এজন্য সব শিশু যাতে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বর্তমানে শিশুদের হামের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয় শিশুর বয়স ৯ মাস হওয়ার পর। কিন্তু এর আগেই অনেক শিশু হামে আক্রান্ত হচ্ছে। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে।
শতভাগ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পাশাপাশি এই সময়ে কেন হঠাৎ করে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। দরিদ্র ও অসহায় শিশুরা যেন টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসে নিশ্চিত করতে হবে সেটিও। হামের প্রাদুর্ভাব দূর করতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাটাও জরুরি।
এইচআর/এমএস