ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

গ্রেফতার করে ফাঁসি নিশ্চিত করুন

প্রকাশিত: ০৩:৩৪ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৭

রাজধানীর হাতিরপুল নাহার প্লাজার ১৩ তলায় সোনালী ট্যুরিস্ট অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সিতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা এবং লাশ ২৬ টুকরা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি সাইদুজ্জামান বাচ্চুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল- ৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রত্যাশিত। মামলার আসামি বর্তমানে জামিনে পলাতক আছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।

২০১২ সালের ১ জুন থেকে ২ জুন পর্যন্ত শাহবাগ থানাধীন হাতিরপুলের পরীবাগ এলাকা থেকে রুমি (১৫) নামের  গার্মেন্টসকর্মী ওই কিশোরীর ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। নাহার প্লাজার ১৩ তলার সোনালী ট্যুরিস্ট অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির পাশের ভবনের ছাদ ও রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টুকরা টুকরা হাড় আর মাংসপিণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ সোনালী ট্রাভেলসের মালিক সাইদুজ্জামান বাচ্চুকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যা ও লাশ টুকরা করার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন। এর আগে ২০১২ সালের জুন মাসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাইদুজ্জামানকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি ওই কিশোরীকে হত্যা ও লাশ টুকরা করার বীভৎস বিবরণ দেন। তিনি দাবি করেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে মেয়েটিকে নিয়ে তার অফিসে ঢোকার পর লোকজনের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নিহত রুমিরা পাঁচ ভাইবোন। রুমি মা-বাবার তৃতীয় সন্তান। তার বাবা মারা গেছে। মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। রুমির তিন বোন ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। রুমিও চাকরি করতে ঢাকা এসেছিল। কিন্তু সে বাঁচতে পারেনি। সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে। মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে বিকারগ্রস্ততা। অভিযুক্ত সাইদুজ্জামান শুধু মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাকে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ধরা যাতে না পড়ে সেজন্য লাশ টুকরো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের পাশবিকতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তা আরো বাড়তে থাকবে। ভাবতে অবাক লাগে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর হত্যায় জড়িত থাকার নৃশংস বর্ণনাও সে দেয়। এরপর কী করে জামিনে সে মুক্তি পায়? রুমির পরিবার দরিদ্র বলেই হয়তো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনি সেভাবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তো দায়িত্ব রয়েছে এ ধরনের হত্যাকারী যেন আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা। অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে তার সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যা অত্যন্ত জরুরি।

এইচআর/আরআইপি

আরও পড়ুন