ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হোক

প্রকাশিত: ০৩:০৩ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৭

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে ৪ জন মেয়র, ১০৪ জন কাউন্সিলর ও ৪০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন এজন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই সিটিতে দলীয় প্রতীকে এটি প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে টানা ১৪ দিনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুসহ অন্য মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিরল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় এলাকার ভোটাররা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটিই প্রথম বড় কোন নির্বাচন হওয়ায় যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু ভোটের সর্বোচ্চ আশ্বাসও দিয়েছে কমিশন। এ নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ১০৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ১ হাজার ৬৭৬ জন পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ২৩৬ জন আনসার, ৩২২ জন র‌্যাব ও ৪৮০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২৭ জন পর্যবেক্ষককে নিয়োগ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটিই বড় কোনো নির্বাচন। এ কারণে কমিশনের জন্য এই নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আর একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থক-কারো ভূমিকা কম নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ হোক এটিই কাম্য।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন