ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

মাংসের বাজার স্থিতিশীল হোক

প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রায় এক সপ্তাহ রাজধানীতে গরুর মাংসের দোকান বন্ধ ছিল। এতে এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয় দেশি মুরগির। দাম বাড়ে পোল্ট্রি মুরগিরও। শুধু তাই নয় মেগাশপগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হলেও তা উচ্চ দাম দিয়ে কিনতে হয় ক্রেতা সাধারণকে। মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। মানুষজনকে পড়তে হয় নিদারুণ বিপাকে।

গাবতলী গরুর হাটে ইজারাদারের অত্যাচার, অতিরিক্ত খাজনা আদায়সহ মাংস ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ধর্মঘট ডাকে। এ সময় রাজধানীতে মাংসের দোকান বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার থেকে তারা আবার মাংস বিক্রি শুরু করেছে। গতকাল পশুর হাটে অতিরিক্ত ইজারা, চাঁদাবাজি, অবৈধপথে পশু আমদানি বন্ধসহ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে গতকাল চারটি দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।

মাংস ব্যবসায়ীরা যে অভিযোগে ধর্মঘট ডেকেছিল সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। এক্ষেত্রে এক বা একাধিক সিন্ডিকেট ক্রিয়াশীল। নানা মহল থেকে এরা আশীর্বাদ পায়। মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায় তাহলে ৩শ’ টাকা কেজি গরুর মাংস খাওয়ানো সম্ভব। তাহলে এই যে উচ্চদামে মাংস কিনতে হচ্ছে এই টাকাটা যাচ্ছে কোথায়? ইজারাদার আর চাঁদাবাজদের পকেটে! এ অবস্থা চলতে পারে না।

এমনিতেই গরুর মাংসের দাম বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়েছে। বেড়েছে খাসির মাংসের দামও। অল্প আয়ের মানুষজনের এখন মাংস কেনাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ভোক্তাস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মাংস ব্যবসায়ীরা যেন গরু কিনতে গিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির মধ্যে না পড়েন। তাহলে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে মাংস কিনতে পারবে। আর মাংস ব্যবসায়ীদেরও ভোক্তা স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। যে কোনো উসিলায় মাংসের দামবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এইচআর/আরআইপি

আরও পড়ুন