ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

সাগর-রুনি হত্যারহস্য উন্মোচনে আর কতকাল?

প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এটা খুবই অবিশ্বাস্য ও হতাশাজনক ব্যাপার যে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পরও তাদের হত্যার বিচার হবে তো দূরের কথা এখনো তদন্ত কাজই শেষ হয়নি। ফলে হত্যারহস্য উন্মোচন হয়নি। শুরু হয়নি বিচার কাজও। অথচ খোদ রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পত্তির এই হত্যাকাণ্ড সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সাংবাদিক সমাজও দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এ অবস্থায় তদন্ত কাজ শেষে হত্যার রহস্য উন্মোচন এবং বিচার শুরু করা অত্যন্ত জরুরি।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পড়েছিল শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের ওপর। তারপর সে দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। ডিবি তদন্তে ব্যর্থতা স্বীকার করে খোদ আদালতে। এরপর আদালতের নিদের্শে তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। কিন্তু সেই তদন্তও পাঁচ বছরে শেষ হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য র‌্যাব আদালতের কাছে ৪৬ বার সময় প্রার্থনা করেছে। আদালত তা মঞ্জুরও করেছে। সবশেষ গত বুধবার আদালত তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ২১ মার্চ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ওই তারিখেও প্রতিবেদন জমা পড়বে কি না এখন সেটিই দেখার  বিষয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যার বিচার তো বটেই নানা কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন জরুরি। কেননা এই হত্যাকাণ্ড নিছক কোনো হত্যাকাণ্ড নয়। এর পেছনে আরো বড় কোনো কারণ থাকতে পারে। শুধু তাই নয় অনেক রাঘব বোয়ালও এই হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হচ্ছে।

দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের সাতখুনের মামলার রায়ও হল। এ অবস্থায় সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচন না হওয়াটা এক বিরাট ব্যর্থতা। যে করেই হোক তদন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। আর যেন সময় চাওয়া না হয়। কারণ এই হত্যার বিচার না হলে তা ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে এক বিরাট প্রতিবন্ধক হয়ে থাকবে। তাই বৃহত্তর স্বার্থে সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচন জরুরি। সেই সঙ্গে জরুরি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও।

এইচআর/এআরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন