মূল হোতাদের ধরতে হবে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও নব্য জেএমবি নেতা মারজানসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত অপর জঙ্গির নাম সাদ্দাম হোসেন। এটি খুবই স্বস্তির বিষয় যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হাতে জঙ্গিদমন করছে।জঙ্গি হামলার পেছনে মূল হোতাদের বের করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা এখন সময়ের দাবি। তাহলেই জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প থেকে মুক্ত হবে দেশ। দেশের মানুষ। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় চালানো জঙ্গি হামলার পর দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় দেশে বিদেশে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপর ঘটে শোলাকিয়া ঈদ জামাতে হামলার ঘটনা। এসব ঘটনায় নড়েচড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দারাও তৎপর হয়। জঙ্গি দমনে আরো কঠোর ও সক্রিয় হয় প্রশাসন।
এরপর কল্যাণপুরে জাহাজবাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালিয়ে ৯ জঙ্গিকে সশস্ত্র অবস্থায় নির্মূল করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এটা নিশ্চিতভাবেই গোয়েন্দা তৎপরতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতারই পরিচায়ক। বিশ্লেষকরা বলছেন, জঙ্গিদের মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে না পারলে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করা যাবে না। এ জন্য কারা এর পেছনে আছে সেটি খুঁজে বের করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আশার কথা হচ্ছে, গুলশান হামলার হোতাদের সূত্রসন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বের হয়ে আসছে মূল হোতাদের অপকীর্তি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর দক্ষিণ খানে সফল অভিযানের পর সবশেষ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোহম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হল দুই জঙ্গি। এর মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ সরকারের জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থান আরও দৃঢ় হল।
দেশে জঙ্গিবাদবিরোধী একটি বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই জঙ্গিবাদ মেনে নেবে না। এটাই জঙ্গি দমনে মূল শক্তি। এখন যদি মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা যায় তাহলে জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে জঙ্গিরা পরিবারকে টার্গেট করার যে অপকৌশল নিচ্ছে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নারী ও শিশুরা যাতে কোনো অবস্থায়ই জঙ্গিবাদের টার্গেট না হতে পারে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এইচআর/এমএস