ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন

প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা কতোটা নিশ্চিত হয়েছে সেটা এখনো প্রশ্ন সাপেক্ষ।‘প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবায় রয়েছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স। শিক্ষার্থীদের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা পাবার কথা থাকলেও কেবল ব্যবস্থাপত্র ও প্রাথমিক চিকিৎসা মিলছে মাত্র ৮ ঘণ্টা।’ দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাসেবার এই হচ্ছে নমুনা। এ ধরনের সমস্যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে নজর দিতে হবে।  

জাগো নিউজের এ সংক্রান্ত এক খবরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের  (বেরোবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের করুণ চিত্র ওঠে এসেছে। ওই খবরে বলা হয়েছে- চিকিৎসা কেন্দ্রে চারজন চিকিৎসকের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আছেন মাত্র দুজন। তাদের একজন মেডিকেল অফিসার (দন্ত) এবং অপরজন খণ্ডকালীন চুক্তিভিত্তিক মেডিকেল অফিসার। এছাড়া একজন সেকশন কর্মকর্তা, একজন সেবিকা ছাড়াও আরোও ৯ জন রয়েছেন। দুই চিকিৎসক প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সময়মতো তা পাওয়া যায় না।  এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় প্রশাসনিক ভবনের চারটি কক্ষ নিয়ে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে প্রশাসনিক ভবন বন্ধ রাখা হলে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসা সেবাও। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

এ কথা সত্যি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র কোনো পরিপূর্ণ হাসপাতাল নয়। এরপরও ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা যাতে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নামমাত্র চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র চালু রেখে কিছু মানুষকে বেতন-ভাতা দেয়ার কোনো মানে হয় না। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এবং অ্যাম্বুলেন্স থাকাটা জরুরি। চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য আলাদা একটি ভবন নির্মাণ করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবে-এটাই প্রত্যাশা।

এইচআর/পিআর

আরও পড়ুন