বিরল রোগের দুর্লভ চিকিৎসা
বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার সভ্যতাকে এগিয়ে নিচ্ছে। মানুষের জীবনকে করেছে সহজ ও সাচ্ছন্দ্যময়। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব বিষয় এসে উপস্থিত হয় যার উত্তর কারো কাছে জানা থাকে না। অবশ্য বিজ্ঞান সব সময়ই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এরপরও প্রকৃতি তটস্থ রাখে আমাদের।
মাগুরার নবজাতক শিশু অর্পন পাত্রের কথাই ধরা যাক। শিশুটি শারীরিকভাবে সুস্থ। কিন্তু অন্য দশটি শিশুর মতো শারীরিক গঠন হয়নি তার। শিশুটির শরীরের কিছু অংশ প্রোজেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের মতো হলেও পিঠে ঘন রোমশ ভর্তি ও ভিন্ন আকৃতির অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এই ঘটনা। স্থানীয় চিকিৎসকরা রোগের কারণ অনুসন্ধান করতে পারলেও শিশুটির পিতা পেশায় কৃষক হওয়ায় আদরের ধনকে বড় কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
এমনিতেই চিকিৎসা পেতে যেখানে বেগ পেতে হয় সেখানে বিরল রোগের চিকিৎসা যে কতোটা দুর্লভ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ ধরনের রোগাক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা মামুলি চিকিৎসার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের গবেষণা করে দেখতে হবে কেন শিশুটির শারীরিক গঠন এমন অস্বাভাবিক হল। এর কারণ নির্ণয় চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নয়নেই জরুরি। অবিলম্বে শিশুটিকে ঢাকায় এনে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। অস্বাভাবিক চেহারার শিশুটিকে নিয়ে তার পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে নানা কথা উড়ে বেড়াচ্ছে শিশুটিকে ঘিরে। এছাড়া দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই বিরল রোগের চিকিৎসা করাটাও দুঃসাধ্য । এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন বলে আমরা আশা করছি।
এইচআর/এমএস