ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

হাসিনা-সু চির বৈঠকে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৭:০৫ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাতিসংঘ সদর দফতরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এ বৈঠকটি নানা কারণেই গুরুত্ববহ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত দুই নেতা স্থানীয় সময় গত সোমবার সকালে এই বৈঠক করেন।  দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরলেও সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান হতে পারেননি সু চি। তিনি উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সরকার পরিচালনায় তার ভূমিকাই বিশেষ গুরুত্ববাহী। সে কারণেই প্রতিবেশি দুই নেতার এই বৈঠক দ্বি-পাক্ষিক নানা সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে-এমনটি আশা করা যায়।

দুই দেশের উভয় নেতার বৈঠকটি ছিল খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ। বিশেষ করে শারণার্থী সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্যোগ যে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে সেটিও স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশিত। মিয়ানমারের সাথে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। সীমান্ত থাকলে যে সমস্যা হয় সেই সমস্যার অনেকগুলোই আছে মিয়ানমারের সঙ্গে। বিশেষ করে এতদিন স্বৈরশাসকরা মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ছিল না তেমন। এখন শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী  সু চির নেতৃত্বে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের এটাই উপযুক্ত সময়। শেখ হাসিনা-সু চির বৈঠকের মধ্য দিয়ে যার সূচনা হলো বলে আমরা মনে করি।

মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সমস্যা তো রয়েছেই,  মিয়ানমারের কয়েক লাখ মুসলমান অধিবাসী কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এই সমস্যাগুলো কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরকে কেন্দ্র করে জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, চোরাচালান, মানবপাচারসহ নানা রকম অপরাধী চক্র গড়ে উঠেছে। সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসের বিস্তার রোধে রোহিঙ্গা সমস্যাটি সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া সম্পর্ক উন্নয়ন হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এজন্য প্রতিবেশিদের সহযোগিতার মনোভাবে নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন