ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রতিরোধই উত্তম

প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জিকা ভাইরাস নিয়ে এখন বিশ্বব্যাপীই উদ্বেগ চলছে। চট্টগ্রামে জিকা ভাইরাসে একজন আক্রান্তের খবরে বাংলাদেশেও এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ব্যাপকভাবে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এসব কারণে বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে জিকায় আক্রান্ত কেউ দেশে প্রবেশ করতে না পারে।  তবে এ ধরনের সতর্কতা কেবল বিমানবন্দরে নিলেই হবে না। ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুর মতো জিকা ভাইরাসও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এ কারণে মশক নিধনে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। বাসায় খোলা পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এছাড়া ফুলের টবে জমে থাকা পানি, টায়ারের খোল, ফ্ল্যাটবাড়ির বারান্দা অথবা পানির চৌবাচ্চায় এই মশা নির্বিচারে বংশ বিস্তার করে। এ ব্যাপারে দুই সিটি কর্পোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে মশক নিধন নিয়ে কোনো ধরনের অবহেলা বা শৈথিল্য মেনে নেওয়া যায় না। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দুই মেয়র নানা সময় মশক নিধনের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ হয় না। দিন দিন রাজধানীতে মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। মশক নিধনে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। অথচ এ জন্য বাজেট রয়েছে। রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক।

মশার আক্রমণ যখন মরণঘাতি ব্যাধি ছড়ায় তখনে সেটি নিয়ে হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জিকা ভাইরাস  নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু রোগ হওয়ার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করাটাই উত্তম। তাই কোনোকিছু মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। জিকার প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে মশক নিধনে ঢাকার দুই  সিটি কর্পোরেশনকে আরো সক্রিয় হতে হবে যাতে এডিস মশার সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়।  এ লক্ষ্যে সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষজনকে সচেতন করে তুলতে হবে।

এইচআর/এবিএস

আরও পড়ুন