ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্টদের। বিশেষ করে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা বিপাকে পড়েছেন। গতকাল রোববারের অগ্নিকাণ্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্দ করে দেখতে হবে কেন বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও দাঁড়াতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ নিহত না হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়ে দমকল বাহিনীকে। প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে বসুন্ধরা সিটির আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ২৯টি ইউনিট। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা বলে দাবি করেছেন শপিং মলের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান। রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। বাকি ২০ কোটি টাকার ডেকোরেশন। অগ্নিকাণ্ডে ছয় তলার সি ব্লকে ১০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে সাতটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সহায়তায় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে আজ সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে আল হেলাল হাসপাতালের পাশে একটি কার্পেটের দোকানে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে মো. মামুন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক।
অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতা বেড়েছে। এটা আশার কথা। তবে ঘটনা ঘটার চেয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ই উত্তম। যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে এবং ঘটলেও যেন নিজেরাই নিভিয়ে ফেলতে পারে এ জন্য সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদি থাকা প্রয়োজন। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলটি অত্যন্ত আধুনিক। এরপর পরও কেন সেখানে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না সেটি বোধগম্য নয়। যদি থেকেও থাকে সেটি যে কাজ দিচ্ছে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা আশা করবো, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। অন্যদেরও এখান থেকে শিখতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় তারও একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
এইচআর/এমএস