ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

শিক্ষার্থীদের ওপর বেতনের বাড়তি চাপ নয়

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৬

শিক্ষা পণ্য নয় অধিকার। কিন্তু দেশে শিক্ষা এখন দিন দিন অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। নানা অছিলায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়তি অর্থ। এ নিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত। অবশেষে এ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো যাবে, এর বেশি নয়। এছাড়া পরিপত্রে শিক্ষার্থী বেতন, জনবলকাঠামো, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনের ভারসাম্যসহ কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বেশি করে ভাবতে হবে। অযথা যেন শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বেতন-ফির বোঝা চাপিয়ে দেয়া না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

পে-স্কেল ঘোষণার পর সরকারি শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এরফলে  বেসরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য দেখা দিয়েছে। বেসরকারি শিক্ষকরাও বেতন বাড়ানোর কথা বলছেন। তবে এই বেতন বাড়ানোর দায়টা আসলে পড়ছে ছাত্রদের ঘাড়েই। গত ডিসেম্বরে ছাত্রদের বেতন বৃদ্ধির একটি উদ্যোগও নেয়া হয়। তবে অভিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে তা হতে পারেনি। এই চেষ্টা থেমে নেই। কোথাও কোথাও যে বেশি বেতন নেওয়া হচ্ছে না সেটিও বলা যাবে না। এর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা আসলো ৩০ শতাংশের বেশি বেতন না বাড়ানোর। তবে এটা কত দিনের জন্য, তা পরিপত্রে স্পষ্ট করা হয়নি। যদি প্রতিবছর ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয় তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে একবার ভাবা যায়?

সরকারি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষকদেরও বেতন বৃদ্ধি অত্যন্ত যৌক্তিক। তবে এই দায় যেন শিক্ষার্থীদের ওপর না চাপে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষাব্যয় যে কোনো মূল্যে যথোচিত কম রাখতে হবে।

এইচআর/আরআইপি

আরও পড়ুন