খুলে গেল সৌদি আরবের শ্রমবাজার
এটা খুবই আশাব্যঞ্জক খবর যে দীর্ঘদিন পর সৌদি আরবের শ্রমবাজার খুলে যাচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বুধবার সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছয় বছর ধরে চলে আসা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। গত ছয় বছর ধরে গৃহকর্মী ছাড়া অন্য খাতে শ্রমিক নিয়োগে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশের অন্যতম জনশক্তি আমদানিকারক দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। অনেকদিন শ্রমিক নেয়া বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ একটি বড় শ্রমবাজার হারাচ্ছিল। অবশেষে দরজা খুলে গেল। এখন দুই দেশকেই এ ব্যাপারে আন্তরিকতা নিয়ে এগোতে হবে। কোনো কারণে যেন আবার এটি বন্ধ হয়ে না যায়। মনে রাখা প্রয়োজন এর সঙ্গে দুই দেশের আন্তঃসম্পর্কও অনেকটা নির্ভরশীল।
সভ্যতার ইতিহাস অভিবাসনের ইতিহাস। যেখানে প্রয়োজন আছে মানুষ সেখানে যাবে। এ জন্য কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। সৌদি আরবেরও কর্মী প্রয়োজন। বাংলাদেশেরও কর্মী পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় দু`টি দেশকেই সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে, নানা শর্তের বেড়াজালে কর্মীদের আটকে দিলে সেটা আসলে কারো জন্যই ফলদায়ক হবে না। এ জন্য বাস্তবসম্মত পথে হাঁটতে হবে। সৌদি আরব এ ব্যাপারে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানির প্রবাহ ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকেও নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মীরা রয়েছে। সেখানে চলছে অস্থিরতা। এই অবস্থায় জনশক্তি রপ্তানি খাতে ধস নামার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যাতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা সৃষ্টি করা যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা যেন কোনো ধরনের প্রতারণা বা দুর্ভোগের শিকার না হন নিশ্চিত করতে হবে সেটিও।
এইচআর/আরআইপি