ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

সার নিয়ে অসার কাণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫১ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৬

কৃষি উৎপাদনের জন্য সার অত্যাবশ্যকীয়। সেই সারের সহজপ্রাপ্তি যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি এর গুণগত মান ঠিক আছে কিনা সেটিও দেখতে হবে। এছাড়া অন্য একটি বিষয়ও আলোচনায় এসেছে ঝিনাইদহের এ সংক্রান্ত ঘটনায়। বলা হচ্ছে সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ কারসাজি করে সারের ওজন কম দিচ্ছে। এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড কিছুতেই বরদাশত করা উচিত না। যারা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকবে।

জাগো নিউজের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহের বাফার গোডাউনে ইউরিয়া সার বোঝাই ৫০টি ট্রাক এসেছে গত শুক্রবার রাতে। এর মধ্যে ১৬টি ট্রাকে যে সার আছে তার প্রতিটির ৫০ কেজির বস্তায় আছে ৪৬/৪৭ কেজি সার। অর্থাৎ ৩/৪ কেজি করে কম। ঘটনা জানাজানি হলে বাফার গোডাউন কর্তৃপক্ষ সার বোঝাই ট্রাকগুলো থেকে সার আনলোড করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে বাফার গোডাউনে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের নবাব অ্যান্ড কোম্পানি এই সার সরবরাহ করে। দীর্ঘদিন সারগুলো বন্দরের ঘাটে পড়ে থাকায় এর গুণগত মানও নষ্ট হয়ে গেছে বলে ডিলারদের অভিযোগ। ডিলারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সার মেপে বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি কম দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মানোয়ার হোসেন মোল্লা সার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে তা ফেরত পাঠানোর কথাও বলেছেন তিনি। এটি খুবই সঙ্গত। এ ধরনের অন্যায় মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই।

অতীতে সার নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। বর্তমান সরকার সার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দিচ্ছে। এ কারণে সার অনেকটাই সহজলভ্য। এ অবস্থায় কারা কেন সার নিয়ে এ ধরনের দুর্নীতি করার সাহস দেখালো সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। কৃষক ৫০ কেজির দাম দেবে অথচ সার পাবে কম- এটা হতে পারে না। আমরা এ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ত্বরিৎ হস্তক্ষেপ আশা করছি।
 
এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন