বড় হয় সন্তান মা-বাবা হন একা
‘শূন্য নীড়’ কথাটা শুনলেই বুকের ভেতর ধক করে ওঠে। ভাবি, ‘নীড় ছোট’ হতে পারে কিন্তু ‘নীড় শূন্য’ হবে কেন? অথচ এই আধুনিক সমাজে নীড় ছোট হতে হতে একসময় একেবারে শূন্য হয়ে পড়ছে। জীবনের প্রয়োজনেই আমরা একক পরিবার গঠন করছি, স্বামী-স্ত্রী আর সন্তান। সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত এই নীড়টা ভরেই থাকে, এরপর একসময় নীড় শূন্য হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, শিশুরা ১৮ বছর বয়সে পৌঁছানোর সাথে সাথে এই ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ২০ এবং ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চলতে থাকে। এরমধ্যেই বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব অনুভব করেন। এই প্যারেন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্ট অন্য সব এডজাস্টমেন্টের মতোই একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে এম্পটি নেসটিং এর সবচাইতে কঠিন সময় হচ্ছে তখন, যখন আমাদের বাচ্চারা ঘর ছেড়ে যাবে বলে তাদের জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করে।
সন্তানকে বড় করে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য বাবা-মা সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেন। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন, সময় ব্যয় করেন, ছেলেমেয়েকে পড়ান, সেবা করেন, গল্প করেন, বেড়াতে নিয়ে যান ও খাবার তৈরি করে দেওয়াসহ নানাধরনের কাজ করেন। একসময় সন্তান বড় হয়ে পড়াশোনা ও কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলে যায়। দেশের বাইরেও যায় অনেকে। কেউ নিজের সংসার গড়ে তোলে, সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাবা-মা থাকেন না। মা-বাবা থেকে যান সন্তানের মঙ্গল কামনা করে, আদর-ভালবাসায় ভরা ফেলে আসা পুরোনো গৃহে।
পাখি দম্পতি ঠিক এভাবেই তা দিয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। খাবার সংগ্রহ করে মুখে তুলে দেয়, বাচ্চার শরীর পরিষ্কার করে দেয়। বাচ্চাকে উড়তে শেখায়। উড়তে শেখার পর একদিন বাচ্চাটি উড়ে চলে যায়। পাখির বাসাকে নীড় বলে, সেই নীড়টি যেন শূন্য পড়ে থাকে। সেই ধারণা থেকেই মানুষের সমাজে এই ’শূন্য নীড়’ বা ’এম্পটি নেষ্ট সিন্ড্রোম’ কথাটি এসেছে। এটা একধরনের দুঃখ ও একাকীত্বের অনুভূতি।
সন্তানরা যখন নিজের মতো করে বাঁচতে বা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাবা-মায়ের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়, তখন বাবা-মায়েরা এই নীড় শূন্য হওয়ার কষ্ট ও একাকীত্বটা অনুভব করতে পারেন। বাংলাদেশে এই ধারণাটি খুব আগের নয়। বলা যায় ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকেই এই নীড় শূন্য হওয়ার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। এর আগে মোটামুটিভাবে যৌথ পরিবার ছিল। ছেলেমেয়েরাও বাবা-মায়ের কাছে থেকেই পড়াশোনা করতো। যারা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতো পড়তে, তাদেরও গৃহের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সন্তান সংখ্যা বেশি ছিল বলে ২/১ জন ঘর ছেড়ে বাইরে চলে গেলেও আরো দু’জন থাকতো। পুরো বাড়ি একেবারে শূন্য হয়ে পড়তো না।
সময় বদলেছে, এখন জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে সবাই ছুটছে। আমাদের সন্তানরা গ্রাম থেকে শহরে আসছে, শহর থেকে ভিনদেশে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি দেখভাল করার জন্য মা-বাবা রয়ে যাচ্ছেন। শহুরে জীবনে মা-বাবার এই একা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বেশি চোখে পড়ে। কারণ গ্রামীণ সমাজে এখনো প্রতিবেশি ও সমাজ রয়েছে। কিন্তু শহরে সেটাও কম। যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্তসমস্ত থাকেন। আশেপাশে কারো সাথেই সেইভাবে সম্পর্ক তৈরি হয় না।
শূন্য নীড়ে বসবাসকারী বাবা-মা বিষণ্নতা, হারানোর অনুভূতি, প্রত্যাখ্যানের অনুভূতি, উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং সন্তানের কল্যাণ নিয়ে উদ্বেগবোধ করতে থাকেন। বাবা-মায়েরা শুধু ভাবতে থাকেন তারা কি পেরেছেন, তাদের সন্তানদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত করতে? নাকি সন্তানরা একা থাকতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছে?
মায়েরা যেহেতু সন্তানের প্রাথমিক পরিচর্যাকারী, তাই তারাই বেশি কষ্ট পান ও একাকীত্বে ভুগেন। সন্তানের বাড়ি ছাড়ার পর বাবাদের মধ্যেও মানসিক পরিবর্তন আসে, যে পরিবর্তনের জন্য তারা প্রস্তুত থাকেন না। সন্তান চলে যাওয়ার পর বাবা-মা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, বিশেষ করে একাকীত্ব মোকাবেলা করতে গিয়ে। সন্তানের সঙ্গে যেসব মা-বাবা খুব বেশি সম্পর্কযুক্ত থাকেন এবং অন্যদিকে যে সন্তান বেশি বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল সেইসব পরিবারে এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
সন্তানের একক জীবনে তাদের পাশে থাকতে হবে বন্ধুর মতো। তখন ঠিক প্যারেন্টিং না করে একটা বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। আসলে ছেলেমেয়ে বড় হতে শুরু করলেই, তার একটা আলাদা জগত তৈরি হয়। তখন বাবা-মায়ের সাথে একটা দূরত্ব তৈরি হতেই পারে এবং হয়ও। বিশেষ করে গৃহে কর্মরত মায়েরা খুব একা হয়ে পড়েন। কারণ এনারা অনেক বেশি নির্ভরশীল থাকেন সন্তানের উপর। তাই মাকেই একটা নিজস্ব কৌশল বের করতে হবে, যেন সন্তান কাছে না থাকলেও তাদের পাশে থাকে।
“আমরা যারা এই শহরে থাকি। কষ্ট করে জীবনে মোটামুটি দাঁড়িয়ে গেছি, তারা চেয়েছি সন্তান এগিয়ে যাক, উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যাক। কিন্তু সন্তান চলে যাওয়ার পর চরম একাকীত্ব আমাদের গ্রাস করেছে। অফিস যাচ্ছি-আসছি কিন্তু তাও যেন মনে হচ্ছে বাসায় এসে কী করবো। এমনকি আমাদের দুজনার মধ্যেও কথাবার্তা কমে গেছে। ফেসবুক-হোয়াটসএপে সময় কাটাই।” কথাগুলো বললেন নাসিমা সুলতানা, বছরখানেক আগে তাদের একমাত্র মেয়ে বাইরে চলে গেছে পড়তে।
গ্রামে থাকা মা-বাবা এবং শহরে থাকা মা-বাবা সবাই এই সিন্ড্রোমে ভুগছেন। ভরা ঘর খালি হয়ে হয়ে গেলে খুব নিঃসঙ্গ বোধ করেন মানুষ। শুধু যে সন্তান বাইরে চলে গেলে এমনটা হয়, তা নয়। দীর্ঘদিন সংসার ধর্ম পালনের পর স্বামী-স্ত্রীর কেউ একজন মারা গেলে বা সম্পর্ক ভেঙে গেলেও এমনটা হতে পারে। যেমন, আব্বা বেঁচে থাকতে আমাদের বাসাটা ছিল সরাইখানা টাইপের। অসংখ্য মানুষে ভরপুর থাকতো। সময়-অসময়ে মানুষ এসে ভাত খেতে বসে যেতো, ব্যাগ নিয়ে এসে থাকতে শুরু করতো বলে আম্মা মাঝেমধ্যেই বিরক্ত হতেন। এত হ্যাপা কি নেয়া যায়? কিন্তু আব্বা বলতেন, “বাসাটা সবসময় ভরপুর থাকে, এটা আল্লাহর নেয়ামত। যখন একা হয়ে যাবে, তখন কষ্ট হবে।” আব্বা চলে যাওয়ার পর আমরা হাড়ে হাড়ে তা বুঝেছি। বিশেষ করে আম্মা মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
তামিম আর লুনার দুই ছেলে বিদেশে পড়তে যাওয়ার পর ওদের দুজনার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বেড়েছে, বেড়েছে বাইরে সময় কাটানোর প্রবণতা ও সামাজিক মাধ্যমে ডুবে থাকার অভ্যাস। তামিমের ভাষায়, “ঘরকে যেন আর ঘর মনে হয় না। খুব কষ্ট হয়। এতোটা কষ্ট হবে বুঝিনি।” লুনাও বললো, “বাসাটা খাঁ খাঁ করে। সময় কাটে না। এমনকি রান্নাও করতে ইচ্ছা করে না।” যে বাবা-মা সংসারকে ছোট রাখবেন বলে একক পরিবার গড়ে তুলেছিলেন, সংসারের ব্যয় কমাবেন বলে এক্সট্রা কাউকে বাসায় রাখেননি, শুধু সন্তানকে সময় দিয়েছেন তারাই নীড় শূন্য হয়ে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। যৌথ পরিবার হলে হয়ত আমাদের সমস্যাটা এতো প্রকট হতো না। স্নেহগামী, তাই সন্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে খুব কষ্ট হয়।
এম্পটি নেষ্ট সিন্ড্রোমে বাস করা বাবা-মায়েদের মধ্যে সাধারণত কী কী ধরনের লক্ষণ দেখা যায়? জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন - “মন খারাপ হয়, একাকিত্ব ও বিষণ্নতায় ভোগেন, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, মানসিক চাপে থাকেন, জীবনের অর্থ খুঁজে না পাওয়া, কাজে মন না দেওয়া, ভুলে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে রাখা ও ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি।”
এম্পটি নেস্ট সিন্ড্রোম মোকাবেলা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজেকে সময় দেয়া, নিজের একটা আলাদা জগত তৈরি করা, বেশি বেশি বেড়ানো, কাজে জড়িয়ে পড়া, জনকল্যাণমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত হওয়া, বই পড়া, হারিয়ে যাওয়া শখ চালু করা, মুভি দেখা, বাগান করা, বন্ধুদের সাথে গল্প করা এবং সর্বোপরি সন্তানদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেছেন, যেহেতু এম্পটি নেস্ট সিনড্রোম মানসিক রোগ নয় বরং কতগুলো লক্ষণের সমষ্টি, তাই লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সাইকোথেরাপি, কাউন্সিলিং এই সমস্যার চিকিৎসায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। (সূত্র: দি ডেইলি স্টার)
নিজ গৃহ ছেড়ে অন্যত্র বসবাসের জন্য সন্তানের বের হয়ে যাওয়াটা একধরনের চলমান প্রসেস। মিলেনিয়াল বা জেনারেশন ওয়াই, জেন-জি ও আলফা সন্তানরা যখন বড় হতে শুরু করে, তখনই তারা একটু একটু করে বাবা-মায়ের বলয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে। তাদের মধ্যে একধরনের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য জন্ম নেয় এবং ক্রমশ এরা বাবা-মায়ের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মনোভাব পোষণ করে। পরিবারে থেকেও পরিবারের নীতি-নৈতিকতাকে অগ্রাহ্য করতে চাওয়ার চেষ্টা, আত্মীয়-পরিজন থেকে দূরে থাকার প্রবণতা ইত্যাদি ব্যাপার এদের বাইরের জগতের দিকে টানে। একলা চলার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। পাশ্চাত্য সমাজে ছেলেমেয়েরা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ঘর ছেড়ে বাইরে থাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, তারা আয়ও করতে শুরু করে ওই বয়সেই। উন্নতবিশ্বে সন্তানের আলাদা থাকাটা সয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের মতো দেশে এটা এখনো ধাক্কা।
সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের নগর ও গ্রামে এই এম্পটি নেস্ট সিন্ড্রোম বাড়ছে। গ্রামের শিক্ষিত পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা ও জীবিকার প্রয়োজনে শহরে চলে আসছে। অনেকে দেশের বাইরেও চলে যাচ্ছে। শহরেও একই অবস্থা। ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই একক পরিবার থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে, ভিন্ন সংসার শুরু করছে। সেক্ষেত্রে সন্তান সবসময় পাশেই থাকবে, এই আশা করে বসে থাকা কতটা স্বস্তির হবে বাবা-মায়ের পক্ষে?
তাই বাবা-মাকে শক্ত হতে হবে, বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজেদের ভালো থাকার উপায় বের করতে হবে। ভালো থাকার সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে নিজেকে পুনরায় বা নতুন করে আবিষ্কার করা। যেসব শখ ছিল, সেগুলো শুরু করা। যে যা করতে ভালোবাসেন, তা আবার করতে শুরু করুন যেমন -- বাগান করা, সেলাই করা, বইপড়া, সিনেমা দেখা বা গান শোনা। বন্ধু ও আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন, বেড়াতে যান বা আরো অন্যকিছু। সমবয়সী ও সমমনা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা এবং সুযোগ পেলে চাকুরি বা ব্যবসা শুরু করা। সন্তানকে সময় দিতে হবে বলে যে কাজগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন, সেগুলো আবার শুরু করা। অর্থাৎ নিজেকে সময় দেয়ার অভ্যাসটি ঝালিয়ে নেয়া।
এক্ষেত্রে আরেকটি খুব ভালো সমাধান হলো কুকুর, বিড়াল পালন করা। সময় কেটে যাবে অনায়াসেই। অভিভাবক হিসেবে পরিচিত দরিদ্র পরিবারের একটা শিশুকেও নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারেন, তার সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে। এরা হতে পারে আপনার একা ঘরের নতুন সম্পদ। এরা হয়ত পারবে জীবনে পূর্ণতা এনে দিতে।
দূরে চলে যাওয়া বাচ্চাদের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সবসময় যোগাযোগ রাখতে হবে। নিজেদের কথা বলতে হবে, ওদের গল্পও শুনতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপনার সাথে আপনার সন্তানের সম্পর্ককে চালু রাখার একটা মাধ্যম। আপনার সাথে আপনার সন্তানের সম্পর্কের শেষ নয়, বরং চলমান হিসেবে ভাবতে হবে। সন্তানের পথ বা বাসস্থান আলাদা হয়ে যেতে পারে কিন্তু এটা সম্পর্কের শেষ হয় না।
সন্তানের একক জীবনে তাদের পাশে থাকতে হবে বন্ধুর মতো। তখন ঠিক প্যারেন্টিং না করে একটা বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। আসলে ছেলেমেয়ে বড় হতে শুরু করলেই, তার একটা আলাদা জগত তৈরি হয়। তখন বাবা-মায়ের সাথে একটা দূরত্ব তৈরি হতেই পারে এবং হয়ও। বিশেষ করে গৃহে কর্মরত মায়েরা খুব একা হয়ে পড়েন। কারণ এনারা অনেক বেশি নির্ভরশীল থাকেন সন্তানের উপর। তাই মাকেই একটা নিজস্ব কৌশল বের করতে হবে, যেন সন্তান কাছে না থাকলেও তাদের পাশে থাকে।
লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।
এইচআর/জেআইএম