সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের এই শহরে এখনো আমরা মরে বেঁচে আছি
অ্যাজমা আক্রান্ত আমার বাবা ১৯৯২ সালে মারা গেছেন। তখনই এই শহরে চলাফেরা করতে তাঁর কষ্ট হতো। সবসময় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে বাইরে বের হতেন। বছরে যেসময়টা গ্রামে যেতেন, খুব ভালো থাকতেন। কোন হাঁপানি, কাশি, সর্দি কিছুই তাঁকে কাবু করতে পারতো না। শেষ জীবনটা গ্রামে গিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও, তা আর হয়নি। খুব অল্প বয়সেই চলে যেতে হয়েছে ওপারে।
আব্বা ছাড়াও আরো কজন অ্যাজমা রোগীকে দেখেছি দেশের বাইরে গিয়ে সুস্থ হয়ে যেতে। বিদেশ থেকে যারা বেড়াতে আসেন, তারাতো বটেই, এমনকি গ্রাম থেকে শহরে কাজে বা বেড়াতে এলে মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আর আমরা যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে এই দূষিত শহরে বাস করি তারা প্রতিদিন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছি, চোখ লাল হয়ে চুলকাচ্ছে, চুলে ময়লা জমছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিন্তু তাও থেকে যেতে বাধ্য হচ্ছি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে প্রায় প্রতিমাসেই ঢাকাকে দূষিত নগরীর ঘোষণার পরও কেমন যে গা-সওয়া হয়ে গেছে সবকিছু।
প্রতিদিনই ধারাবাহিকভাবে খবর প্রকাশিত হচ্ছে যে ‘“ভয়ানক দূষণ ঢাকার বাতাসে, বিশ্বের সব শহরের মধ্যে শীর্ষে রাজধানী ঢাকা।” ঢাকা একাধিকবার ৩০০’র বেশি একিউআই স্কোর নিয়ে সর্বোচ্চ দূষিতের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এমনকি ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। দিল্লি, কায়রো, লাহোর, ঢাকা, চীন, ইরাক, মঙ্গোলিয়া ইত্যাদি এলাকাগুলো যেন দূষিত হওয়ার জন্য পাল্লা চলছে। সবচাইতে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এখনো এই দম আটকে আসা শহরে আমরা প্রায় ৩/৪ কোটি মানুষ বাস করি, খাই, ঘুমাই, বেড়াই, গান গাই। এই ধোঁয়ার শহরকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচি। যতোই এই শহর ছেড়ে পালাতে চাই তবু যেন সে আসে আমার পিছু পিছু। কাজ আর মায়ার টানে আটকে আছি আমরা।
অথচ এই শহরে একদিন সবকিছু সুন্দর ও শান্ত ছিল। মানুষের জীবন ছিল সাদামাটা। শহরের জনপদগুলো ছিল চুপচাপ সাজানো-গুছানো। পাড়ায় একটা গাড়ির হর্ন শুনলে সবাই দৌড়ে যেতো তা দেখতে। তারপর একদিন অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। শহরের বাতাসে ধোঁয়া বাড়তে থাকে, এবং যত দিন যেতে থাকে, ততই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। শহরের মানুষগুলো প্রথমে লক্ষ্য করলো যে তারা ঘর থেকে বের হলে দম নিতে পারছে না। কারণ বাতাসে এমন কিছু ছিল যা তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে আটকে দিচ্ছিল।
এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যারা কাজে যাচ্ছেন, পড়তে বাইরে যাচ্ছেন, তারা ফিরে আসার পর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের চোখ জ্বলে, কাশি হয়, জ্বর হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এসব অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, এটি শুধু আপনার একার সমস্যা নয়, বরং শহরের সকলেরই এক অবস্থা। ঢাকার বায়ু দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে আমাদের প্রাণঘাতী বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। যারা শহরের এই দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত, তারা বায়ু দূষণের ভয়াবহতা সেইভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। উপলব্ধি করলেও পালানোর কোনো উপায় পায় না।
শ্রমজীবী, স্বল্পশিক্ষিত মানুষ একে সাধারণ রোগ মনে করেন, এবং যথেষ্ট সতর্কতা গ্রহণ করেন না বা গ্রহণ করতে পারেন না। এমনকি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ক্ষমতাও তাদের থাকে না। এরপর একদিন ভগ্ন স্বাস্থ্য, পরাজিত মানুষ হিসেবে গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থাও এর কাছাকাছি। এই পরিস্থিতি এক কঠিন বাস্তবতার দিক নির্দেশ করছে। যতোদিন না ঢাকা শহরের মানুষ ও কর্তৃপক্ষ বায়ু দূষণের সমস্যার গুরুত্ব বুঝবে না, ততদিন পর্যন্ত এই সংকট আরো বাড়তেই থাকবে।
ঢাকার অবস্থা ক্রমশ দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস। গত রোববার রাত ৩টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাতাসের অবস্থা ছিল ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এই সময়ে এয়ার কোয়ালিটি (একিউ) ইনডেক্সে ঢাকার স্কোর ছিল ৪২০। দুদিন আগেও টানা তিন দিন ধরে বিশ্বের ১২৬ দেশের শহরের মধ্যে দূষণের শীর্ষে ছিল।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। রোববার ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ গুণ বেশি। এত বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ঢাকার সড়কে তাই ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলছেই। মাঝেমাঝে মোবাইল কোর্ট বসলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী বা কার্যকর হয় না। ঢাকার যেসব এলাকায় বর্জ্য পোড়ানো হয়, সেইসব এলাকাতেই বায়ু দূষণ বেশি হচ্ছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লা, বাসাবাড়িতেও বর্জ্য পোড়ানো হয়। পরিবেশবাদীরা বলেন, এই বর্জ্য পোড়ানো একটি ভুল ধারণা। এটির কারণেও যে বায়ু দূষণ হয়, এটা অনেকেই জানেন না।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকায় রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ থাকে। রাতে আন্তঃজেলা বাসগুলো ঢাকার মধ্য দিয়ে চলাচল করে। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে ট্রাক চলাচল করে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার শুরু করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ সবাই জানে কিভাবে বায়ুদূষণ হচ্ছে। কিন্তু এটা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ঢাকার বায়ুদূষণ কমানোর সক্ষমতাই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের। ((সূত্র: আজকের পত্রিকা)। পরিবেশ অধিদপ্তরের (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) পরিচালক মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
বায়ুদূষণে একদিকে টানা শীর্ষে অবস্থান, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঢাকার বায়ুদূষণ কমানোর সক্ষমতাই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের, অথচ এই দুটোই পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। ঢাকায় এখন যে অবস্থা, তাতে অবশ্যই জনসাধারণকে জরুরি বার্তা দেওয়া উচিত দূষণ পরিস্থিতি সম্পর্কে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিন্দুমাত্র কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ঢাকার বায়ুর অবস্থা যে ভয়াবহ বিপদজনক। এটা নিয়ে ভাবার ন্যূনতম সময় কারো নেই। এই পরিস্থিতি ও পরিবেশকে নরকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। সব বয়সী মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য এই বায়ুদূষণ আরো বহুগুণ ক্ষতিকর। বায়ুদূষণ চর্মরোগের একটি কারণ হতে পারে।
শিশুরা বায়ু দূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ তারা পরিবেশের প্রতিকূলতার প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল। সেদিন শিশু হাসপাতালে একটি কাজে গিয়েছিলাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ডাক্তার দেখানোর অপেক্ষায় যে শিশুরা এসেছে, তারা অধিকাংশই অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, কাশি-কফ ইত্যাদিতে ভুগছে। এই শিশুদের অনেকেরই শ্বাসতন্ত্রের রোগ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে গেছে। শিশু বিষয়ক চিকিৎসকরা বলেন, বায়ু দূষণের প্রভাবে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যা পরবর্তীতে তাদের স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা এবং মনোবিকাশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধু শিশু নয় বড়দেরও দূষিত বাতাসের কারণে হৃদরোগ এবং কিডনি সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ছোট-বড় সবাই অ্যাকিউট শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, গলা ব্যথা, ও ত্বকে অ্যালার্জি বা র্যাশের মতো সমস্যা নিয়ে ঘুরছেন। এমনকি প্রজনন স্বাস্থ্য ও হরমোনাল সমস্যাও হয়।
কেন ঢাকার বাতাস দূষিত, এতে মানুষের কী ক্ষতি হচ্ছে, কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, কর্তৃপক্ষ তা জানেন। সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। ভৌগোলিক কারণে প্রতিবছর শীতের সময় ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়লেও এবার শীত শুরুর আগে থেকেই রাজধানীর বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
বুয়েটের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ঢাকা শহরে যে পরিমাণ বাস চলে, তার সত্তর শতাংশেরই আয়ুষ্কাল শেষ। লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো চলছে, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মনোযোগ নাই।” বলা হয় এসব যানবাহনের কোনো ‘ইকোনমিক লাইফ’ নেই। একটা বাস সাধারণত ১০-১৫ বছর পরিবেশসম্মতভাবে বা ভালোভাবে চলাচল করতে পারে, এটাই ‘ইকোনমিক লাইফ’। উন্নত দেশগুলোতে বাসের ইকোনমিক লাইফ শেষ হওয়ার পর সেগুলোকে সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
অথচ আমাদের দেশে লাইফ শেষ হওয়ার পরও রং মেখে ও মেরামত করে পুনরায় রাস্তায় নামানো হয়। ঢাকার সড়কে তাই ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলছেই। মাঝেমাঝে মোবাইল কোর্ট বসলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী বা কার্যকর হয় না। ঢাকার যেসব এলাকায় বর্জ্য পোড়ানো হয়, সেইসব এলাকাতেই বায়ু দূষণ বেশি হচ্ছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লা, বাসাবাড়িতেও বর্জ্য পোড়ানো হয়। পরিবেশবাদীরা বলেন, এই বর্জ্য পোড়ানো একটি ভুল ধারণা। এটির কারণেও যে বায়ু দূষণ হয়, এটা অনেকেই জানেন না।
বছরের পর বছর ধরে বলা হচ্ছে রাতে বালুর ট্রাক, নির্মাণ সামগ্রীর পরিবহন চলাচল করে। অনেক কলকারখানায় রাতে কাজ চলে, সেগুলো থেকে দূষিত বায়ু নির্গত হয়। শহর জুড়ে এলোমেলোভাবে নির্মাণ কাজ চলছে, ধুলো উড়ছে কিন্তু কোথাও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নাই। রাস্তাঘাটে খানা-খন্দ, নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকে। শিল্পকারখানার ধোঁয়া ও বর্জ্য, বর্জ্য পোড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়া এবং যেখানে সেখানে কফ-থুথু ফেলা। সবকিছু মিলিয়েই ঢাকা বারবার বায়ু দূষণে প্রথম হচ্ছে।
মাস্ক পরা, গড়গড়া করা, গরম পানি, আদা চা খাওয়া, শরীর চর্চা করা এরকম কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা হয়তো সাময়িকভাবে ভাল থাকতে পারবো কিন্তু নিরোগ থাকা অসম্ভব। বেশি করে গাছপালা লাগিয়ে হয়তো কিছুটা সুরক্ষা সম্ভব, কিন্তু আমরা গাছ লাগাই কম কাটি বেশি।
উন্নত বিশ্বে বায়ু দূষণ রোধে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কড়া আইন ও নীতিমালা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং জন সচেতনতা। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এসব পদক্ষেপের ফলে অনেক শহর এবং দেশ তাদের বায়ু গুণমান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে। যা ঢাকা শহরে কবে প্রযোজ্য হবে, জানিনা।
এই শহরে বাস করে ধারণক্ষমতার চাইতেও বহুগুণ বেশি মানুষ। এদের অনেকেই ফুটপাতে, খোলা মাঠে, খোলা বস্তিতে, রেললাইনের ধারে ও ছোট ছোট বদ্ধ ঘরে বাস করেন। অনেক মানুষের পৌরজ্ঞান নেই, অনেক মানুষও নিরক্ষর। এই মানুষগুলো দূষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস নেয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো স্বাস্থ্যসুবিধাও পান না। সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের এই শহরে মানুষ বেঁচে আছে খোয়ারে থাকা প্রাণির মতো।
লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।
এইচআর/জেআইএম