আমরা সামনে যাবো?
এই প্রশ্নটিই সব কিছুর আগে মনে এলো। নতুন করে স্বাধীন হলাম, এ-কথাটা চারদিকে শুনছি। তারা বলছেন, তারা যেন একটি অবরুদ্ধ জায়গায় বন্দী গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ হয়েছিলো। তাদের দম বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিলো। পানিতে ডুব দেয়া কেউ যখন আর সেখানে থাকতে পারে না, নাক-কান ফেটে যেতে চায়, তখন তিনি/সে ভুশ করে মাথা তুলে আনেন পানির ওপরে এবং মুক্তবাতাসে শ্বাস ছাড়ে এবং আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে।
৫ আগস্ট বিকেলে সেই রকম একটি শ্বাস নিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। শত শত মানুষ হত্যাকারী জাতির ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার ১৬ বছরের সরকার পদত্যাগ করে নেমে গেলে এবং পাশের দেশে পালিয়ে গেলে সর্বস্তরের ( তাঁর সহযোগী ছাড়া)মানুষ নতুন করে স্বাধীন হলো বলে বিবেচনা করেছে। সেই জন্যই ১৯৭১ সালে প্রথম আর ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলো।
হাসিনার ১৬ বছরের শাসন এতোটাই খারাপ ও নির্মম ছিলো যে, তাকে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। পাকিস্তানি মিলিটারিদের জেনোসাইড বাদ দিলে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ মাত্র ৩০/৩৬ দিনে পুলিশের হাতে আর কখনো এতো মানুষের প্রাণ যায়নি। গত ৫৩ বছরে কম-বেশি সব সরকারই তাদের ক্ষমতার দাপটে পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু মানবতার এমন বেসামাল হত্যাকান্ড আর কখনো হয়নি। তারপরও , পাশের দেশে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি নাকি লাশের স্তুপ দেখতে চাননি বলেই পদত্যাগ করে পালিয়েছেন।
৩১২টি ( আজ পর্যন্ত চিহ্নিত লাশের স্তুপকে তিনি বিশাল হত্যাযজ্ঞ হিসেবে মনে করেননি বা করছেন না। তার এই পরোক্ষ নির্মম মন্তব্যই প্রমাণ করে তিনি মানবিকতার শেষ বিন্দুটুকুও হারিয়েছেন। তাকে কি বলে চিহ্নিত ও চিত্রিত করা যায়? আমি জানি না। তিনি প্রতিশোধ পরায়ন এক মহিলা যিনি বিবিসির সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকালে, ১৯৮২ সালে,- বলেছেন, বাঙালিরা নিমক হারাম। তার গোটা পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। (আসলে কতিপয় মধ্যম স্তরের সামরিক নেতা, তার পরিবারকে হত্যা করেছিলো, তাঁর বাকশালি রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে শ্বাস নেবার জন্য।) আমি তাদের শিক্ষা দেবার জন্যই বাংলাদেশে এসেছি।( বিবিসির সেই ইন্টারভিউ শুনুন, তাহলেই তার রাজনৈতিক অভিসন্ধি বুঝতে পারবেন এবং তার রাজনৈতিক ট্রমারও কারণ জানতে পারবেন।
একজন রাজনৈতিক চরিত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়েও যে একটি জাতি অনেক বড়, সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। এবং তিনি শেখ হাসিনা কথায় কথায় বলতেন আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছে। এটা একটি মিথ, যাকে বলা যেতে পারে সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণে গেঁথে তোলা কাহিনী। শেখ মুজিব রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আর দশজনের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বটে, এমন কি তার রাজনৈতিক গুরু মওলানা ভাসানির চেয়ে যদিও নয়, তবু এটা স্বীকার করতে হবে যে তাকে জেল থেকে বের করার জন্য যে গণআন্দোলন হয়েছিলো তার নেতৃত্ব ছিলেন মওলানা ভাসানী। সেই গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ যখন সেই আন্দোলনের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে। এই অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই তিনি রাজনৈতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করেন। বাকিটা আপনারা সবাই জানেন।)
তাহলে শেখ মুজিব কি করে এই দেশ স্বাধীন করলেন। তিনি বড় স্টেক হিসেবে সবাই তার অবদানকে স্বীকার করে, কিন্তু মওলানা ভাসানী ও তার ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) অধ্যাপক মোজাাফফর-এর ন্যাপসহ সব ছোটো বড় রাজনৈতিক, সামাজিক দল ও সংগঠন তখন পাকিস্তানিদের শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাাঁড়িয়েছিলো। সবার অবদানকে আত্মসাৎ করেন শেখ মুজিব নিজে। স্বাধীনতাযুদ্ধে সব মানুষের অবদানকে অস্বীকার করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। ফলে ছোট হলেও রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের ভুল-ত্রুটি নিয়ে নেমে আসে রাজপথে।
তার পুলিশ মতিয়ুরকে প্রকাশ্যে হত্যা করে রাজপথে। সূচনা হয় প্রতিবাদকারীদের হত্যা করার পাকিস্তানি পুলিশি কায়দা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারা। জননেতার হাতে হত্যার রক্ত মুজিবের হাতে লেগে যাওয়ার পর জনগণের মধ্যে যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছিলো তার জন্য, তা উবে যেতে থাকে। তাঁর শাসনামলে দুর্নীতির শেকড় মাটিতে প্রোথিত হয়। এবং সেই বিষবৃক্ষটি গত ৫৩ বছরে এতো বড় মহীরূহে পরিণত হয়েছে যে, তাকে আর শাসকদের দুর্নীতি বলে মনেই হয় না। একটা উদাহরণ দিলেই তা বোঝা যাবে। এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ক্যাসিনোর মতো জুয়ার প্রকাশ্য বৃক্ষটি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সরকারের ছত্রছায়ায় গড়ে ও বেড়ে ওঠে। আবার তিনিই সেই বৃক্ষের শেকড় খুঁজে নেন এবং তার কেন্দ্রটি বন্ধ করেন।
যিনি ওই ক্যাসিনো শিল্পের পতি ছিলেন, তিনি ও তারা তারই রাজনৈতিক দল যুবলীগের নেতা। এবং তার সেই ক্যাসিনো শিল্পের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে যাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে, তাদের একজন হাসিনার ছোটবোন রেহানার ছেলে ববি। তিনিও হাসিনার সঙ্গে গণভবনেই থাকতেন। তারা সবাই জানতেন ক্যাসিনোর ব্যাপারটি। কিন্তু জনগণ যখন বিষয়টি ফাঁস করে দেয় তখন তার পুলিশ ওই শিল্পপতিকে আটক করে। এবং তিনি এই সুবাদে বলতে থাকেন দুর্নীতিকে তিনি টলারেট করবেন না। তিনি মূলোৎপাটন করেই ছাড়বেন।
আমরা দেখতে থাকলাম তারই রাজকর্মচারি পুলিশ প্রধান বেনজীরকে, যিনি হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এনবিআরের কর্তাব্যক্তিদের লাগাম ছাড়া দুর্নীতি প্রকাশ পায় তারই অভিপ্রায়ে। বেরিয়ে আসে এনবিআর সদস্য মতিয়ুরের নাম, আবু মাহমুদ ফয়সালের নাম। কেবল কি তারাই দুর্নীতি করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন? শত শত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির মচ্ছব জাতির অর্থনৈতিক মেরুদন্ড নাজুক করে দিলে দেখা দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈন্যদশা।
এবং তিনি প্রায় প্রতিটি সভায় বলতে থাকেন তিনি ও তার সরকার দুর্নীতিকে টলারেট করবেন না। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেয় না। আমরাও বাহবা দিতে থাকি, সত্যিই তো তিনি তো দুর্নীতিবাজদের ধরছেন। আমরা আমজনতা করতালি দিয়ে তাকে সমর্থন জানাই। তিনি বিনিময়ে সা|লমান এফ রহমানকে ২২ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ঋণ হিসেবে দান করেন। তিনি ঋণ খেলাপিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন ব্যাংকের দুয়ার দরোজা। তিনি এস আলম গ্রুপকে নয়টি ব্যাংকের মালিকানা বিশেষ কায়দায় দিতে ব্যবস্থা করেন। তিনি শিল্পপতিদের ঋণের সুদ মওকুফ করেন, যার পরিমান কয়েক হাজার কোটি টাকা।
তিনি ঋণ খেলাপিদের তার চারপাশে রেখে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যোগ করেন বিশেষ লুটের উপকরণ। জাতীয় সংসদে ৬৯ শতাংশ এমপি টাকার জোরে মনোনয়ন ও নির্বাচিত হয়ে এলে আমরা দেখতে পাই সেটি একটি রাজনৈতিক ক্লাবে পরিণত হয়েছে। মাত্র ৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ খেলাপকারীদের হাতে হাত কড়া পরাতেন তিনি, তাহলে আজকে অর্থনীতি নিয়ে এতোটা শঙ্কার কারণ হতো না। কিন্তু তিনি সেই পথে যাননি। তিনি ক্রমাগতভাবে ঋণ করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আমাদের ঘাড়ে রেখে গেছেন একশ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণের হিমালয় পর্বত। আর যারা ঋণখেলাপ করে আরামে বসে আছেন, তারা তাঁরই চারপাশে তদবির ও তোয়াজকারী, যাদের পরিচয়তাঁরই রাজনৈতিক দলের সদস্য বা বিশেষ সহযোগী।
আমি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা নিয়ে কোনো কথা তুললাম না। এটা সবাই জানন যে ওই তহবিলটি ধীরে ধীরে শূন্যের দিকে নেমে আসছে। এসবই তার রাজনৈতিক অভিসন্ধির কাজ। জাতিকে শিক্ষা দেবার যে শপথ নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছিলেন, সেই কাজটিই তিনি করে গেছেন অব্যাহতভাবে।
একটা কথা বলা হয় যে তিনি তো দুর্নীতির গলায় হাত দিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু একবারও এটা বলেন যে তার সময়েই হিমালয় সমান দুর্নীতি হয়েছে। এবং সেই দুর্নীতির শেকড় কি করে তাঁর মতো নিশ্ছিদ্র আয়রণ লেডির আমলে এতোটা ব্যপ্তি পেলো? আর তিনি তো মাত্র দুই কি ৫টি দুর্নীতির শেকড়ে হাত দিয়েছেন। বাকিদের কে ধরবে? তিনি যে কাজ শেষ না করেই চলে গেলেন, তার সেই পলায়নের পর গোটাজাতির কাঁধের ওপর এসে পড়েছে ওই দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনের দায় ও দায়িত্ব।
এবং মাত্র ৯৯ লাখ কোটি ডলার (যাকে বলা হচ্ছে বিলিয়ন ডলার) ঋণর পাহাড়টি তিনি চাপিয়ে দিয়ে পলায়ন করেছেন। আপনারা বলবেন তিনি তো পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন নিজের বা নিজেদের টাকায়। তিনি তো কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল ওয়ে করেছেন। তিনি তো এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে করে জাতিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মেট্রোরেলের ৬টি লাইনের মধ্যে মাত্র ১টি নির্মাণ করে ( যত ছোটো করেই হোক) আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন নতুন জগতে। তিনি গোটা দেশ জুড়েই একটি অবকাঠামো উন্নয়নের স্রোত বা প্রবাহ সৃজন করেছেন। আমরা, স্বীকার করছি, যাতায়াতের ক্ষেত্রে এটা ৫৩ বছরের অগ্রগতির একটি। এর খারাপটি কোথায় তা আম জনতা ধরতে পারবেন না।
প্রথমত, যে প্রক্কলন ঘোষণা করে প্রতিটি অবকাঠামো নির্মাণের সূচনা করা হয়েছে, তার কোনোটাই নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়নি। ফলে ব্যয় ভার ক্রমাগত বাড়িয়েছেন তিনি বা তার সরকার। ফলে ১২ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু তিনি নির্মাণে ব্যয় করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। আর সেই সেতুতে রেল সংযোগের জন্য মাত্র ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। আমেরিকা ও ভারতের গবেষকদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে বাংলাদেশে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানের চেয়ে ২/৩গুণ বেশি ব্যয় হয় সড়ক নির্মাণে, এই বাংলাদেশে।
এই যে বাড়তি ব্যয়, এটা নাকি শেখ হাসিনার কমিশনের জন্য এবং তার ল্যন্সারদের জন্য। এটা শোনা কথা। এই দুর্নাম তিনি কখনোই ঘুঁচাতে পারবেন না। এবং যে সব দেশের কাছে থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা তো ওই ঋণের টাকা সুদে-মুলে তুলে নেবে। তিনি এখন পলাতক( অবশ্য ভারতে তিনি অপ্রকাশ্য/প্রকাশ্যেই আছেন। একটি অফিস তাকে উপহার দিয়েছেন মোদি সরকার বা তার ঘনিষ্টমিত্র বিজেপির নরেন্দ্র মোদী। আমি করেছি বলে তিনি যে দাবি করেন তার অনুমোদন নিতে হয় না তাকে। কেন না তিনি তো ভোটারবিহীন নির্বাচনের অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন, তারই জোরে তিনি গত ১৬ বছর ধরে জাতিকে শায়েস্তা করছেন।
এখন আর সেই সুযোগ তার নেই। কিন্তু তিনি তাঁর রাজনৈতিক সহযোগীদের ঘোড়ার মতো লাত্থি মেরে রেখে গেছেন, তারা চেষ্টা চলাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে। সেটাই স্বাভাবিক। তাতে তাদেরই পকেট ভরবে। এই সুযোগ কি জাতি আবারো দেবে? কে জানে? আমরা তো ভুলোমনের জাতিসত্তা।
ভুলতে আমরা ভালোবাসি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন ওই দায় নিয়েই সামনের দিকে এগুতে হবে। তাদের সেই সাহস ও তাদের সেই মনোবলের পরীক্ষা শুরু হলো মাত্র। কিছু যোগ্য ও কিছু এনজিও টাইপ উপদেষ্টাদের নিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তারা কতোটা যোগ্যতার সঙ্গে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন এনিয়ে কানাঘুষা চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশ্বব্যাপী ইমে হয়তো আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন, কিন্তু বাকিরা সেই সহযোগিতাকে জাতির উন্নয়ন ও কল্লাণকে ক্যাশ করতে পারবেন কি না, অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন।
ঔপনিবেশিক আমলের (১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন) অবশেষ দিয়ে তো আর স্বাধীন চেতনাকে রাজনৈতিকভাবে শাসন করা যায় না। তবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দেলনের একটি বড় উপাদান হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কার, সেটা যে একটি রিফর্মকেই চিহ্নিত করেছে, সেইটা সবচেয়ে পজেটিভ দিক এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাজনৈতিক চেতনা। সব মানুষকে সম্প্রদায়গত পরিচয় নয়, তাদের মেধা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রজ্ঞার সম্মিলন ঘটিয়ে সাম্য সমাজের কাঠামো গড়বার শপথ তাদের।
ন্যায়ভিত্তিক সমাজ যা ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা এবং তার ও তাদের সব সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যে শপথ তারা নিয়েছেন, আমার ধারণা ও বিশ্বাস তারা পথ হারাবেন না। তরুণ চেতনা কখনোই তার আশা ও আকাঙ্খার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে সাহসী ভূমিকা পালন করে, যা আমরা দেখলাম ৩৬ দিনের কোটা সংস্কারের আন্দোলন কিভাবে পদত্যাগের একদফায় আসে।
০৮/১৩/২৪#
লেখক: কবি, সাংবাদিক, কলামিস্ট।
এইচআর/এমএস