মুক্তিযুদ্ধ
পাকবাহিনীর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অত্যাবশ্যক
গণহত্যার প্রচলিত ইংরেজি শব্দ হলো Genocide । Genocide দুইটি শব্দের সংযুক্ত রুপ। গ্রিক শব্দ ‘genos’ এবং ল্যাটিন শব্দ ‘caedo’মিলে হয়েছে ‘genocide’। genos+caedo=genocide । ‘genos’ অর্থ race বা people। caedo অর্থ act of killing । সুতরাং genocide অর্থ killing of mass people। পোলেন্ডের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ রাফায়েল লেমকিন ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা বই ‘Axis Power Rule in Occupied Europe ’-এ genocide শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সে সময় হতে mass killing ঘটনাকে genocide হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই রাফায়েল লেমকিনকে genocide শব্দের জনকও বলা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানী, ইতালি ও জাপান জোটকে বলা হতো Axis Power। এই জোট জার্মানী, পোলেন্ডসহ পূর্ব ইউরোপ দেশগুলোর ইহুদীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন ও হত্যাকান্ড চালায়। ইতিহাসে এই হত্যাকাণ্ডকে Holocaust হিসেবে পরিচিত। রাফায়েল লেমকিন এ নির্যাতন ও গণহত্যার বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করেন। জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনে লেমকিনের গণহত্যার বিশ্লেষণের কিছু বিষয় গণহত্যার মানদণ্ড বা criteria হিসেবে গৃহিত হয়েছে।
লেমকিনের মতে কোনো একটি জাতি বা জনগোষ্ঠিকে ধ্বংস করার অভিপ্রায় নিয়ে সে জাতি বা গোষ্ঠির জনগণের উপর ব্যাপক হত্যা ও নির্যাতন চালানো হলে সে কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলা হবে। গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য হলো কোন প্রতিক্রিয়াশীল মহল ও শক্তি কর্তৃক অন্য কোনো জাতি বা জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ঐ জাতি বা গোষ্ঠির উপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ঘটানো, তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, অর্থনীতি, ব্যক্তি স্বাধীনতা, ব্যক্তি নিরাপত্তা ইত্যাদির উপর অব্যাহত আঘাত হানা এবং তা ধ্বংস করা।
প্রাচীন আমল থেকেই বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ও জনপদে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দি পলিটিক্যাল টাস্ক ফোর্সের গবেষণায় ১৯৫৬ হতে ২০১৬ পর্যন্ত বিশ্বে ৪৩টি গণহত্যার সংঘটিত হয়েছে এবং গণহত্যায় ৫ (পাঁচ) কোটি লোক নিহত হয়। UNHCR এর মতে ২০০৮ পর্যন্ত গণহত্যায় আরো ৫ (পাঁচ) কোটি লোক গৃহহারা হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।
গণহত্যায় অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা ও পশুতের কাছে মানবতা পদদলিত হয়েছে। বিশ্বে সকল দেশে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অনেক আইন ও বিধি বিধান থাকলেও মানবতার শত্রু এটির কুৎসিত ও ভয়ংকর রুপ নিয়ে যুগে যুগে মানুষের উপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও বিভিন্ন দেশে গণহত্যা চলছে। ইসরাইল গাজায় বোমা মেরে প্রতিদিন শতশত প্যালেস্টাইনী নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। এটা কি গণহত্যা নয়? বিশ্ব বিবেক কেন নীরব?
১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘে ‘The Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (CPPCG) ’ গৃহীত হয় এবং ১৯৫১ সালের জানুয়ারী থেকে তা কার্যকরী হয়। ঐ কনভেনশনে গণহত্যার সংঙ্গা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কনভেনশনের ২ নং আর্টিক্যাল মোতাবেক গণহত্যার সংঙ্গা নিম্মরুপ:
কোনো জাতি বা জাতিগত গোষ্ঠি বা ধর্মীয় কোনো গোষ্ঠিকে নির্মূল করার অভিপ্রায়ে নিম্মবর্ণিত পাঁচটি কাজের যে কোনো একটি করলে তা গণহত্যা বা জেনোসাইডের অপরাধ হবে-
১) জাতিগোষ্ঠির সদস্যদেরকে ব্যাপক হারে হত্যা করলে।
২) জাতিগোষ্ঠির সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন করলে।
৩) কোনো জাতিগোষ্ঠিকে সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিকভাবে ক্ষতিসাধন করার মানসে সুকৌশলে কোনো কর্ম পরিচালনা করলে।
৪) সদস্যদের প্রজনন ক্ষমতা বিনষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) শিশুদেরকে পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা নিজ জাতিগোষ্ঠি থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা।
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আন্দোলন করছিলেন তখন ২৫ মার্চ তারিখ দিবাগত রাতে সশস্ত্র পাকবাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। অপারেশন সার্চ লাইট নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালিদের উপর যে ক্র্যাকডাউন করেছিল তার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের হত্যা ও নির্যাতন করে স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে নিবিয়ে দেয়া।
তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কমী, সমর্থক ও আওয়ামী লীগ ভাবধারার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করে বাঙালি জাতিগোষ্ঠিকে পঙ্গু করে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ণ করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে পাকবাহিনী প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোককে হত্যা করেছে। মার্চ হতে ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত নয় মাসে পাকবাহিনী ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছে এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের বাংলাদেশীয় দোসরদের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেই হবে। এ গণহত্যার স্বীকৃতি শুধু দাবি নয়, এটা বাঙালিদের যৌক্তিক অধিকার। গণহত্যা চালাবে আর তার স্বীকৃতি মিলবে না- এটা তো হতে পারে না। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের গণহত্যার পক্ষে সমর্থন দেয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের পর পাকবাহিনীর বন্দিশিবিরে আটক ব্যক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের জবানবন্দি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, গবেষণা প্রতিবেদন ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি হতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি হত্যা ও নির্যাতনের চিত্র উদঘাটিত হতে থাকে। ঐ ডকুমেন্টগুলোও গণহত্যার সুস্পস্ট সাক্ষ্য বহন করে।
পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী যেভাবে বাঙালিদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল, নারীদেরকে ধর্ষণ করেছিল এবং জ্বালাও-পোড়াও ও অমানবিক নির্যাতন করে গোটা বাঙালি জাতি গোষ্ঠি জনগণের মধ্যে অতঙ্ক ও মানসিক ভীতি ও ক্ষতি সৃষ্টি করেছিল তা জাতিসংঘের ‘The Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (CPPCG))’ মোতাবেক সুস্পষ্টভাবে গণহত্যা।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনস, জাতিসংঘ এবং ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, বাংলাদেশ পাক বাহিনীর গণহত্যা ও বর্বরোচিত নির্যতনের অনেক তথ্য-প্রমাণ ও দলিলাদি সংগ্রহ করেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন পাকবাহিনীর এ হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে। জেনোসাইড ওয়াচ ১৯৭১ সালের পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন- The International Coalition of Sites of Conscience Ges International Association of Genocide Scholars ইতিমধ্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালিদের হত্যা ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তারা জাতিসংঘকে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনকে অবিলম্বে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভিকটিমদের প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা দোষীদের চিহ্ণিত করে জবাবদিহিতার মধ্যে আনারও আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন Lemkin Institute for Genocide Prevention বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে পাকবাহিনীর নির্যাতনকে গণহত্যা বা জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এতদসত্ত্বেও জাতিসংঘ এখনও পাকবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। প্রকৃতপক্ষে স্বীকৃতি আদায়ের কার্যকর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টারও ঘাটতি রয়েছে। বিদেশে এ সংক্রান্তে প্রচার প্রচারণা তেমন একটা হয়েছে বলে মনে হয় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর যে সকল সরকার দেশ পরিচালনা করেছিলে তারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অধিকন্তু জিয়া ও এরশাদ সরকার পাকিস্তানপন্থী ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে জেনোসাইড ডে বা গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। তখন থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। সরকার ও সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে গণহত্যার স্বীকৃতির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিশ্ববাসীকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সিভিল সোটাইটির নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রবাসী বাঙালিরা অ্যাডভোকেসি সভা, সেমিনার, আলোচনা সভা ইত্যাদি উদ্যোগের মাধ্যমে গণহত্যার পক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ শুরু থেকেই পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনকে জাতিসংঘ কর্তক ‘গণহত্যা’ ঘোষণার জন্য সোচ্চার আছে। তারা আলোচনা সভা, সেমিনার, বক্তৃতা-বিবৃতি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রকাশনা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে গণহত্যার পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়ার জন্য চেষ্টা-তদবির অব্যাহত রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা নির্যাতন আরকাইভ ও জেনোসাইড মিউজিয়াম, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম ও প্রজম্ম’৭১ (মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন) ইত্যাদি সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গণহত্যার স্বীকৃতির পক্ষে জনমত তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের বাংলাদেশীয় দোসরদের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেই হবে। এ গণহত্যার স্বীকৃতি শুধু দাবি নয়, এটা বাঙালিদের যৌক্তিক অধিকার। গণহত্যা চালাবে আর তার স্বীকৃতি মিলবে না- এটা তো হতে পারে না। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের গণহত্যার পক্ষে সমর্থন দেয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববাসী পাকিস্তানীদের চরিত্র জানতে পারবে, স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ জানতে পারবে। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রম্মের আত্মোৎসর্গকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব বেড়ে যাবে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে যারা গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তাদেরকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার করা সম্ভব হলে ভবিষ্যতে গণহত্যার ঘটনা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে বাংলাদেশ সরকার ও সর্ব মহলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণকে এ ব্যাপারে সক্রিয় ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে এবং সক্রিয় হতে হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাষ্ট্রদূতগণ সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারী ও বেসরকারী বিশেষ ব্যক্তিত্ব বিশেষ করে যারা মানবাধিকার ও গণহত্যা নিয়ে কাজ করেন তাদেরকে নিমন্ত্রণ করবেন এবং ১৯৭১ সালের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের চিত্রের বর্ণনা অডিও- ভিডিও এর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন এবং গণহত্যার পক্ষে জনমত তৈরি করতে পারেন।
দেশের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনকেও তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি যখন অন্যান্য দেশ সমর্থন দিবে তখনই জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিবে। জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেলেই তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হবে। সেদিন আর বেশি দেরী নাই যেদিন জাতিসংঘ ১৯৭১ সালের বাঙালি নিধনকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিবে।
লেখক: সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ ও সহসভাপতি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
এইচআর/জেআইএম