ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

জৌলুস নাকি দিনের শেষে শান্তিতে ঘুম- কোনটা উত্তম?

শাহানা হুদা রঞ্জনা | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যখন নিজেদের ছোটবেলার কথা মনে করি, তখন এমন অনেক স্মৃতি এসে ভিড় করে, যা এখন আমার কাছেও বিস্ময়কর মনে হয়। জীবনের প্রতিটি ধাপে পা রেখে, একটু একটু করে আজকের যে অবস্থায় পৌঁছেছি, সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়। আমরা যারা খুব সাধারণভাবে বড় হয়েছি, তারাও কিন্তু আমাদের বর্তমানের সচ্ছল জীবনের সঙ্গে ফেলে আসা দিনের হিসাব মেলাতে পারি না। সেখানে আজকের সচ্ছল পরিবারের শিশুদের পক্ষে সেই জীবনযাপনের চেহারাটা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। অথচ বর্ণাঢ্যবিহীন সেইসব জীবনেও আনন্দময় শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য ছিল, ছিল সুখ ও ভালোবাসা।

আমাদের পরের প্রজন্মও জানে না তাদের বাবা-মায়েরা কিভাবে বড় হয়েছেন, কী খেয়েছেন, কী পরেছেন, কিভাবে উৎসব পালন করেছেন। এমনকি স্কুলের বইখাতা যোগাড় করতে কতটা হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের, পরিবারের ভাইবোনেরা কেমন করে বছরের পর বছর এ-ওর বই পাল্টে পাল্টে পড়েছেন, নতুন বই আর কেনা হয়ে ওঠেনি।

সত্তুর থেকে নব্বুই দশকের এই ছবিগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগান ও জীবন উপভোগের সামগ্রী কম থাকলেও আমাদের শৈশব-কৈশোর ছিল স্বাধীন, ঘটনাবহুল, আনন্দে পরিপূর্ণ ও জমজমাট। অপ্রাপ্তি ছিল তবে চাহিদাও খুব কম ছিল বলে, মনে একধরনের সুখানুভূতি ছিল। আজকালকার ছেলেমেয়েদের প্রাপ্তি বেশি হলেও, তাদের চাহিদার কাছে সেই পাওয়াটা কেমন যেন ম্যারম্যারে হয়ে যায়। সেইসময় আর এইসময়ের মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক এখানেই।

স্কুলজীবনে আমরা অনেকেই নিজেদের মাপ মতো জুতো পরতে পারিনি। আমার মা সবসময় বড় মাপের জুতো কিনে দিতেন, যেন আগামী এক বা দুই বছর আমাদের দুই ভাইবোনের জন্য কোনো নতুন জুতো কিনতে না হয়। ঈদের জুতো বা স্কুলের জুতো সবক্ষেত্রেই এই হিসাব প্রযোজ্য ছিল।

আমরা মৃদু প্রতিবাদ করলে বলা হতো এটা বাচ্চাদের বড় হওয়ার সময়, দু’দিনেই জুতো জামা সব ছোট হয়ে যায়, তাই বড় জুতো কিনে দেয়া হতো। অভিভাবকরা মনেকরতেন একটা জুতো শুধু একবছর পায়ে দিলেই কি পোষাবে? অন্তত বছর দুয়েক জুতোজোড়া পরা উচিৎ। আমরা পায়ে তুলা গুঁজে সেই জুতো পরে খুশি মনে স্কুলে যেতাম, ঈদও করতাম। ধরেই নিয়েছিলাম আমাদের কপালে সঠিক মাপের চাইতে বড় জুতো, ও বড় জামা লেখা আছে।

পোশাকের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই কথা প্রযোজ্য ছিল। সেসময় বাসায় মায়েরা নিজে হাতে জামা, সোয়েটার, চাদরসহ নানাকিছু সেলাই করতেন। খুব জরুরি কোনো কাজ ছাড়া দর্জির কাছে তেমন যাওয়াই হতো না। স্কুল ড্রেসও আম্মা সেলাই করতেন। পরার পর দেখতাম জামা মাপে বড়। ইচ্ছে করেই এমনভাবে জামাটি বানানো হতো, যাতে বহুদিন জামাটি পরতে পারি।

ভাইদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ছিল। পরিবারে দুইয়ের অধিক ভাই থাকলে এ-ওর জামা বিনিময় করে পরতো। পড়াশোনা করার জন্য আলাদা কোনো ঘরতো ছিলই না, এমনকি টেবিলও ছিল না আমাদের। সবাই মিলে এক টেবিলে বসে পড়তে হতো। ঘরে বিছানা থাকলেও বেশি সদস্য বলে মাটিতে তোশক পেতে ঘুমাতে হতো।

একটি সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও আমাদের সর্বসাকুল্যে চার/পাঁচটি জামাকাপড় ছিল। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ও কারোর তেমন কোন পোশাকের বাহুল্য ছিল না। যাদের কিছুটা বাহুল্য ছিল তারা সবাই ছিল ধনী পরিবারের সন্তান। বাকি সবাই ছিলাম খুব সাদামাটা এবং সাধারণ পরিবারের সন্তান। তবে এইসব পরিবারের কর্তারা কেউ সাদামাটা ছিলেন না, ছিলেন ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃষক, সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী।

ওই সময়ে খুব সামান্য কিছু দিয়ে সংসার চালাতে দেখেছি আমাদের বাবা-মাকে। সত্তুর থেকে নব্বই দশকে আমরা যারা বড় হয়েছি, দেখেছি একটি সংসারকে বাবার নির্দিষ্ট আয়ে চালাতে গিয়ে মায়েরা হিমশিম খাচ্ছেন। সেসময় ‘বাড়তি আয়’ ‘উপরি আয়’ ও ‘কালো টাকা’ শব্দগুলো আমাদের কাছে পরিচিত ছিল না। সেজন্য সামান্য কিছু দিয়ে চলতে শেখানো হয়েছিল এবং আমরাও চলেছি সেইভাবেই।

স্কুলে টিফিন ছিল সুজির হালুয়া, হাতে বানানো রুটি, আলু ভাজি অথবা চিনি দিয়ে রোল করা রুটি। সবার বক্সেই মোটামুটি এগুলোই থাকতো। ডিম ভাজি বা সিদ্ধ যাই হোক, ভাইবোনদের সেটা ভাগ করে খেতে হতো। অবশ্য পোশাক, জুতো, পরিবারের অক্ষমতা বা সক্ষমতা, খাওয়ার মান, বিলাসিতা পারস্পরিক সম্পর্কের উপর কোনো প্রভাব ফেলতো না।

একটা সময় ছিল মানুষ বড় মাছের তেল, মাথা, ডিম, কানশা ও লেজ আলাদা করে কিনতেন। কখনো সেগুলো দিয়ে মুড়োঘন্ট, কখনো বেগুন-আলু দিয়ে মাছের তেল অথবা মাছের ডিম আলু দিয়ে ঝুরি রান্না করে খেতেন। এসবের দাম কম ছিল বলে সংসারে খরচ বাঁচতো। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের বাসাবাড়িতে বেশি লোকের খাবার যোগাড় করতে হলে এগুলো হরহামেশাই রান্না হতো। সবসময় যথেষ্ট পরিমাণে মাংস কেনা যেতো না বলে সামান্য কিছু মাংস ছোট টুকরো করে আলু বা মিষ্টিকুমড়া দিয়ে ঘন্ট করা হতো। আমার বাবা বলতেন, “আয় সীমাবদ্ধ তাই খরচ কম করি, যেন ঋণ করতে না হয়। বিলাসিতা করে আমি তোমাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে চলে যেতে চাই না।”

চাণক্য বহু আগেই পরিবারিক জীবনে চার ধরনের শত্রুর কথা বলেছেন এরমধ্যে প্রথমটাই হচ্ছে ‘ঋণী পিতা’। মহাভারতে যুধিষ্ঠিরও নাকি বলেছিলেন, দিনের শেষে যে পরম নিশ্চিন্তে শাক-ভাত খায়, সেই সুখী। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির ঋণও নাই, সুদ গোনার চাপও নেই, অর্থাৎ অল্পতে সন্তুষ্টিই আসল কথা।

সেই ৭০/৮০ এর দশকে এবং ৯০ দশকের প্রথমদিকে এই ঢাকা শহরে এধরনের মধ্যবিত্ত পরিবারই ছিল মুখ্য। উচ্চবিত্ত পরিবার ছিল হাতে গণা কয়েকটি। দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, গবেষণা, আইনব্যবসা, সাংবাদিকতা, অফিস, আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু চালিত হতো এই সংখ্যাগুরু মধ্যবিত্তের দ্বারা।

ধনীর সংখ্যাও ছিল কম এবং এরা মূলত বড় চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত ছিলেন। এখন যেমন অসংখ্য ধনী ও উচ্চ মধ্যবিত্তের দেখা পাওয়া যায়, আমাদের সময় তেমনটা ছিল না। ছিল না গাড়ি, বাড়ি, শান-শওকত, প্রাচুর্য্য, অঢেল কেনাকাটার সুযোগ বা ইচ্ছা। প্রকৃত ধনীরাও খুব সীমাবদ্ধতার মধ্যে জীবনযাপন করতেন।

বাংলাদেশে গরীবদের আয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় ধনীরা অনেক বেশি হারে ধনী হয়েছেন। শেষে এসে নিজেই নিজের কাছে জানতে চাইছি আমরা কি জীবনকে উপভোগ করার জন্য চার্বাক চ্যালা হয়ে যাচ্ছি? নাকি আমার বাবার কথাই ঠিক ছিল, ঋণ নিয়ে জৌলুস দেখানোর জীবনটা আমাদের নয়। দিনের শেষে শান্তিতে ঘুমানোটাই উত্তম।

আমার বিশ্বাস আমাদের জেনারেশনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জীবনের অভিজ্ঞতা এমনই ছিল। দিনে দিনে আমরাই যে আমাদের চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছি সেটা নিজেরাও বেশ বুঝতে পারছি। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের জৌলুস এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের প্রতি ঝোঁক।

গত ২০/৩০ বছরে আমাদের জীবনচালনায় কম-বেশি পরিবর্তন এসেছে। সবার জীবনযাত্রার মান কিছুটা ভালো হয়েছে বলে সরকারও মনেকরছে, আমরাও দেখছি। ধনী দরিদ্রের ফারাক ব্যাপকহারে বাড়লেও একথা সত্যি দরিদ্র মানুষের গায়ে কাপড় চড়েছে ভাতও জুটেছে, হাতে মোবাইল এসেছে, ঘরে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াইফাই, ডিশ সবই মোটামুটি নাগালের মধ্যে। শিক্ষার সুযোগ বেড়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এবং বৈদেশিক ঋণের উপর ভিত্তি করে প্রচুর অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে।

তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা হচ্ছে সম্পদের অসম বন্টন এবং পরিবার ও দেশের গৃহীত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও ব্যবহার। আমরা ভোগবাদী হয়ে উঠেছি, কেউ কেউ কর্জ করে ভোগ করতে চাইছি, কেউ বাড়তি পরিশ্রম করে, আর কেউ কেউ অন্যের সম্পদ বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করে। জীবনযাপনের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্য জীবনের অস্থিরতাকেও বাড়িয়ে তুলেছি বহুগুণ।

আমার দাদার কাছে একটা শ্লোক শুনেছিলাম ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ’ এর অর্থ, ‘ঋণ করে হলেও ঘি খাও, যত দিন বাঁচো সুখে বাঁচো।’ বড় হয়ে জানতে পেরেছি চার্বাক দর্শনের এই কথাটি সমাজে বেশ প্রচলিত। এই দর্শনে ধার করে ঘি খাওয়াকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। চার্বাক হল প্রাচীন ভারতের এক নাস্তিক্যবাদী ও বস্তুবাদী দর্শন। চার্বাকেরা মনে করতেন ইন্দ্রিয়জ সুখই মানুষের জীবনে পরম কাম্য এবং পার্থিব দুঃখই নরক। তাদের পরামর্শ হচ্ছে মানুষ যেন জীবনের চরিতার্থতার জন্য ভোগে লিপ্ত থাকে। আজকের জামানায় আমরা অনেকেই চার্বাকের এই শ্লোকের সমর্থক। আমরা অনেকেই ঋণ করে ভোগ করতে চাইছি।

ঋণের উপর ভরসা করেই আমরা জীবনযাপনের মান অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছি। এই কাজে মানুষকে সহায়তা করছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করতে পারেন। শুধু সেখানেই শেষ নয়, এরপর সুদ গুণতে গুণতে জীবনকে উপভোগ করতে থাকেন। কিন্তু সুদ গুণতে গুণতে জীবনকে উপভোগ করা কতটা সম্ভব? নাকি উচিৎ? এতে যেমন বাড়ে জীবনের জটিলতা, হতাশা, অসততা, অন্যদিকে সুখও কমে যায়।

আর তাইতো দেখে অবাক হয়ে যাই যে দেশের পরিবারগুলোর গড় আয় বেড়ে যখন দ্বিগুণ হয়েছে, তখন দেশে পরিবার প্রতি এবং মাথাপিছু ঋণও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশের পরিবার প্রতি মাসিক গড় আয়, গত ছয় বছরে দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার টাকা হয়েছে। আর আয়ের বিপরীতে পরিবার প্রতি মাসে গড় ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজার টাকা।

সেই হিসাবে পরিবার প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার টাকার মতো সঞ্চয় হওয়ার কথা। অথচ বেড়েছে পরিবার প্রতি ও মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ। জরিপ বলছে, গ্রামাঞ্চলের মানুষের চেয়ে শহরাঞ্চলের মানুষের ঋণ অনেক বেশি। সেই হিসাবে শহরের পরিবারগুলোর ঋণ গ্রামের পরিবারগুলোর চেয়ে তিনগুণ বেশি। তাহলে ব্যাপারটাতো ঋণ করে ঘি খাওয়ার অবস্থা হলো বলে মনে হচ্ছে।

অর্থ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে আয় বৈষম্য এবং ভোগ বৈষম্য দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের আয় বৃদ্ধির চাইতে অনেকগুণ বেশি বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়, চাহিদা ও বাহুল্য খরচ। মধ্যবিত্ত বলে বড় যে শ্রেণিটা ছিল, বিভিন্ন কারণে এরা হারিয়ে যাচ্ছেন। এদের কেউ ধনী হয়েছেন, কেউ বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন, কারো আয় কমে গিয়ে মধ্যবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এক সেমিনারে বলেছেন, দেশের মানুষের মধ্যে আয় বৈষম্য বাড়ছে। আর এই আয় বৈষম্য বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বৈষম্য বাড়ছে সাধারণভাবে এই কথার অর্থ হলো ধনী আরও ধনী হচ্ছেন আর দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে অসমতার প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন। দেশে দরিদ্র ও অ-দরিদ্র দুই শ্রেণির মানুষের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, কিন্তু অ-দরিদ্র শ্রেণির উন্নতির হার বেশি।

বাংলাদেশে গরীবদের আয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় ধনীরা অনেক বেশি হারে ধনী হয়েছেন। শেষে এসে নিজেই নিজের কাছে জানতে চাইছি আমরা কি জীবনকে উপভোগ করার জন্য চার্বাক চ্যালা হয়ে যাচ্ছি? নাকি আমার বাবার কথাই ঠিক ছিল, ঋণ নিয়ে জৌলুস দেখানোর জীবনটা আমাদের নয়। দিনের শেষে শান্তিতে ঘুমানোটাই উত্তম।

লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

এইচআর/জেআইএম