ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

পাঁচতারকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বনাম সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা

শাহানা হুদা রঞ্জনা | প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

খবর হচ্ছে, ইংরেজি মাধ্যমের অসংখ্য প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকার পরেও, এই মাধ্যমেরই আরও ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশে বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তারা বলছেন দেশে কোটিপতি, ধনী এবং অতিধনীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি উচ্চ বেতনের অনেক চাকরিজীবীও রয়েছেন। এছাড়া দেশে বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানে কাজের সূত্রে আসা বিদেশিদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। এ শ্রেণির অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য নাকি দেশেই বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ খুঁজছেন।

টাকা হাতে থাকলে মানুষ অনেক শখই পূরণ করতে চাইবেন, সেখানে সন্তানের জন্য ‘পাঁচতারকা বা প্রিমিয়াম’ মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো চাইতেই পারেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসবেন বলেও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ধনী মানুষের সন্তান তো বটেই, কখনো কখনো উচ্চ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরাও বাবা-মায়ের টাকায় বিদেশে গ্র্যাজুয়েশন ও মাস্টার্স করতে যাচ্ছে। তাই যদি দেশেই বিদেশের মতো স্কুলিংটা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে হয়তো অনেক ছেলেমেয়ে দেশের ভেতরেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা এবং সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এধরনের উন্নত সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তিতে আগ্রহ বাড়ছে অভিভাবকদেরও। তারা মনে করেন, বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনের জন্য মান অনুযায়ী ব্যয়ের পরিমাণ ঠিক থাকলে তাদের আপত্তি নেই।

দেশের নামি এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ পড়াশোনা করতে বছরে খরচ করতে হবে সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এতে অনেকে আঁতকে উঠলেও, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যাদের টাকা আছে, তারা সন্তানের পেছনে ৩০-৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে শিক্ষিত হওয়ার ব্যবস্থা করতেই পারেন। কারণ বর্তমানে দেশে ধনী মানুষের সংখ্যাও একেবারে কম নয়, কানাডা, দুবাই ও বিশ্বের অন্য দেশে এরা টাকর পাহাড় গড়ে তুলছেন।

বাংলাদেশে প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় পৌনে ছয় কোটি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। এদের কথা মাথায় রেখেই শিক্ষা বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে মানের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করাটা জরুরি। কারণ এদেশের সাধারণ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে পড়া অসংখ্য ছাত্রছাত্রীই আলটিমেটলি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে।

কিন্তু এর বিপরীতে যখন দেখি সরকারি জরিপে উঠে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে ভয়াবহ চিত্র, তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না। জরিপ বলছে, তৃতীয় শ্রেণির ৫১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলায় দুর্বল। তাদের মান তৃতীয় শ্রেণির উপযোগী নয়। এর পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৬১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে দুর্বল। তাদের গণিতের দক্ষতা তৃতীয় শ্রেণির উপযোগী নয়। শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের 'ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট ২০২২' এ আরও উঠে এসেছে যে, যারা এনজিও পরিচালিত স্কুল ও মাদরাসায় পড়ে, তাদের তুলনায় সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। এ জরিপের ফল আমাদের দেশের শিক্ষার মানের একটি করুণ ছবি তুলে ধরেছে। যেখানে দেশে শিক্ষার মূল স্তম্ভ প্রাথমিক শিক্ষার এরকম হতাশাজনক ছবি, সেখানে কিছু হাতেগোনা বিশ্বমানের স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা দেশের জন্য কী ফল বয়ে আনতে পারবে?

সবসময় আমরা খবরে দেখছি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা, টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চির অভাব, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের অভাব, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যার অনুপাত কম, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব, পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব এবং অপর্যাপ্ত তহবিল। এর পাশাপাশি নতুন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে মতদ্বৈধতা প্রাথমিক শিক্ষার বর্তমান দুর্বল অবস্থার জন্য দায়ী।

শুধু প্রাথমিক শিক্ষার কথাই বলছি কেন, অন্য শ্রেণিতেও এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর অনেকে পিছিয়ে থাকবে। সরকার কয়েক দশক ধরে শিক্ষার নানা স্তরে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। তবে পরিবর্তনগুলো ঠিকমতো বুঝাতে না পারার কারণে এবং বাস্তবায়ন করতে না পারায় অনেক পরিবর্তনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাংলা মাধ্যম স্কুলের অনেক অভিভাবক সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ। তাদের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি টাকা খরচ করে শিক্ষাসেবা নেওয়া সম্ভব হয় না।

অন্যদিকে দেশের যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাসেবা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেই সেবার বিপরীতে অনেক বেশি অর্থ দিতে হয়। এগুলো প্রতিষ্ঠানে সবধরনের আধুনিক সুবিধা, প্রযুক্তি, সফটস্কিল, নিয়মিত চিকিৎসা সেবা, যাতায়াত, ডে কেয়ার, পুষ্টিবিদদের নিয়মিত তত্ত্বাবধান, কালচারাল কার্যক্রমসহ সব ধরনের ব্যবস্থাই আছে। যেসব অভিভাবক নিজেদের সন্তানকে দেশের বাইরে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছেন তাদের কাছে টাকার অংক বড় কিছু নয়, বরং আন্ডার-গ্র্যাজুয়েশন লেভেলে বাচ্চারা পরিবারের মধ্যে থেকেই পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে- এটাই বড় কথা।

আমরা স্পষ্টতই বুঝতে পারছি দেশে দুই ধরনের অসম শিক্ষাব্যবস্থা চলমান এবং এ ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে। মুষ্টিমেয় ছাত্রছাত্রীর জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৪০টি। এর মধ্যে ও-লেভেল এবং এ-লেভেলের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০ এবং ৯০টি। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৮২৫ জন। তাদের পাঠদানের দায়িত্বে আছেন ছয় হাজার ৪৫৩ জন শিক্ষক।

শিক্ষায় নানা ধরনের পরিবর্তন হলেও বাংলা মাধ্যমের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া রয়েছে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার চাপ, শিক্ষাক্রমের বই বারবার সংশোধন, অতিরিক্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা, শিক্ষকের অপ্রতুলতা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ স্বল্পতা।

একবার ‘প্রশ্নব্যাংক’ পদ্ধতি প্রচলন হচ্ছে, একবার বাতিল হচ্ছে। এখনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের কিছু অংশ এমসিকিউ এবং কিছু অংশ সৃজনশীল পদ্ধতিতেই হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের কাছে অসুবিধাজনক। সর্বোপরি দুর্বল শিক্ষার্থীরা বাড়তি যত্ন পাচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা যা শেখে, বাস্তব জীবনে এর ব্যবহার করতে পারে না। তারা যা শেখে, তা পরীক্ষার পর ভুলে যায়। গত তিন দশকে শিক্ষায় যেসব পরিবর্তন এসেছে, এর অনেক বিষয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি বাস্তবায়নেও গলদ ছিল। শিক্ষার নানা পর্যায়ে অনেক পরিবর্তন এলেও মান ঠিক কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে সচেতনমহল সন্দিহান।

২০২১ সালে বিবিসির একটা খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতকরা ৯৮ শতাংশ হলেও শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংক বলেছে, প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারে না। ইংরেজি আর গণিতে অবস্থা এর চেয়েও দুর্বল। এদের অনেকে অক্ষরও চেনে না। শিক্ষকরা মনে করেন এ বাচ্চাগুলোকে বাসায় পড়ানোর মতো কেউ নেই, তাই এদের এ করুণ অবস্থা। এছাড়া শতকরা ৫০ শতাংশ শিক্ষকের বছরের পর বছর কোনো প্রশিক্ষণও হয় না। ইউনেস্কো বলেছে বাংলাদেশে শিক্ষকদের এ ট্রেনিং পাওয়ার হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম।

তবে, ইংরেজি মাধ্যমের এসব ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদতে শিক্ষার্থীদের কতটা মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারছে, এসব নিয়েও প্রশ্ন আছে অনেকের মধ্যে। টাকা দিয়ে সুবিধাদি কেনা যায় কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কি কেনা যায়? ইংরেজি মিডিয়ামে যেসব ছাত্রছাত্রী পড়ছে, তাদের কতজন দেশে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে, কতজন দেশের উন্নয়নে শ্রম দিচ্ছে, কতজনইবা বিদেশের মাটিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার মতো কাজ করতে পারছে। এর কোনো পরিসংখ্যান নেই।

বিপরীত ধরনের দুই মাধ্যমের প্রতিষ্ঠান দেশে শিক্ষা বৈষম্য তৈরি করেছে। যাদের হাতে টাকা আছে, তারা ভালো শিক্ষা কিনতে পারবে, যাদের হাতে অর্থ নেই তারা পড়ার সুযোগ পাবে না, এইটা কি কোনো নিয়ম হতে পারে? শিক্ষা বৈষম্য মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের পরিপন্থি। আমরা সবাই চাই আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা। কিন্তু শিক্ষা ব্যয়বহুল হলে তা দেশে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে বাধ্য।

এমনিতেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একধরনের জগাখিচুড়ি মার্কা। এখানে আছে ব্রিটিশ কারিকুলামভিত্তিক ইংরেজি মাধ্যম, আছে বোর্ডের অধীনে বাংলা মাধ্যমে এসএসসি ও এইচএসসি, আছে এর ইংরেজি ভার্সন ও মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা। অথচ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন যা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো, প্রযুক্তিগত ও কারিগরি বিদ্যা। পরিবর্তনশীল কর্মপরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য খুব দরকার।

দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার কম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদ্যায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্য সরকার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও সরকার কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করেছে, কিন্তু যুগোপযোগী কারিকুলাম ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না।

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে যখনই যে ধাক্কাটি এসে লেগেছে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। কোভিড লকডাউনের ফলে, অর্থনৈতিক দুরবস্থায়, রাজনৈতিক গোলযোগে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে আমাদের শিশু, কিশোর, তরুণরা। অর্থনৈতিক অবস্থা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে, শিশু শ্রমিকের খাতায় নাম লেখায়, অনেকে বাল্যবিয়ের শিকার হয়।

সেসব বিষয় ভেবেই আমাদের করণীয় ঠিক করা উচিত। বাংলাদেশে প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় পৌনে ছয় কোটি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। এদের কথা মাথায় রেখেই শিক্ষা বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে মানের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করাটা জরুরি। কারণ এদেশের সাধারণ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে পড়া অসংখ্য ছাত্রছাত্রীই আলটিমেটলি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে।

মেহেরুন্নেছা নামের ১৪-১৫ বছরের যে মেয়েটি করোনা পরবর্তী সময়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে খালার হাত ধরে শহরে আমার কাছে চলে এসেছিল, ও গ্রামের সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। এই মেয়েটিই বাংলাদেশের শিক্ষা পরিস্থিতি প্রতিনিধিত্ব করে। স্কুল বন্ধ বলে পরিবার জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু ও বিয়ে করবে না বলে এখানে চলে এসেছে। স্কুল খুললে চলে যাবে এ আশায়ই ছিল। কিন্তু মেহেরুন্নেছা আর ফিরে যেতে পারেনি। কারণ বাবা মারা যাওয়ায় এখন কাজ করে তাকেই সংসার চালাতে হচ্ছে।

লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট।

এইচআর/এএসএম

আরও পড়ুন