ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বিনা টিকিটে বিমানে চড়ে বসা শিশুটি কি পাইলট হতে পারবে?

শাহানা হুদা রঞ্জনা | প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছোটবেলায় যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তালগাছ’ কবিতাটা পড়েছি, তখন মনে সাধ জাগতো আমিও আকাশে উঁকি মারি, কালো মেঘ ফুঁড়ে একেবারে উড়ে যাই। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হতো পাখা কোথায় পাবো? পাখা নেই বলে উড়তে পারিনি ঠিকই, কিন্তু ঘরের কোণে মায়ের বুকে মাথা রেখে স্বপ্ন দেখেছি।

আমি বা আমার মতো সৌভাগ্য নিয়ে যারা জন্মেছে, তারা মায়ের বুকে বা বাবার কোলে চড়ে দোল খাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু অভাগা ছোট শিশু জুনায়েদ মোল্লার কপালে মায়ের আশ্রয় বা বাবার ভালোবাসা কিছুই জোটেনি। মা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন আরও ছোটবেলায়। বারবার মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল জুনায়েদ কিন্তু মা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাবাও নতুন সংসার পেতেছেন।

ভালোবাসা ও আশ্রয়হীন শিশু জুনায়েদের মনে শখ ছিল একদিন সে প্লেন দেখবে। হয়তো আরও অনেক শিশুর মতোই আকাশে প্লেন উড়তে দেখে সেও আকাশে উড়তে চেয়েছিল। অভিভাবকহীন অবস্থায় গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসে সেই সুযোগ সে পেয়ে গেলো। গ্রাম থেকে আসা শিশুটি একবারও ভেবে দেখেনি ভিসা, পাসপোর্ট ছাড়া সে প্লেনে উঠবে কেমন করে? অথচ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সেই অসাধ্যও সে সাধন করতে পেরেছিল।

শিশু জুনায়েদ মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে ঢাকায় গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে উঠে পড়ে বিমানে। প্রথমে ইজিবাইকে মুকসুদপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তারপর ঢাকার বাসে ওঠে চলে যায় সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে বাসে বসুন্ধরা, এরপর প্লেন দেখতে বিমানবন্দর। বিমানবন্দরে উপরে উঠতে গেলে বাধা পেয়ে অন্য পাশ দিয়ে ঘুরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে জুনায়েদ। পরে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে সোজা উঠে বসে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের রাত ৩টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে। প্রায় ১ ঘণ্টার মতো বিমানের সিটে বসে থাকার পর ধরা পড়ে যে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বিমানে উঠে বসেছে জুনায়েদ।

প্রসঙ্গত বলে রাখি আমাদের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পড়ে কথা বলছি। জুনায়েদ আদর ও ভালোবাসাহীন ছিল বলেই ঘর তাকে টানতো না। সে বারবার পালিয়ে যেতে চেয়েছে। এর আগেও বাড়ির কাউকে কিছু না বলে ঢাকা, মোংলা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। তাই বিমান থেকে নামার পরই পরিবার তার পায়ে শেকল পরিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। সবাই যখন বিমানে চড়ে বসা জুনায়েদকে দেখতে এসেছিল, তারা দেখেছে তালাবদ্ধ অবস্থায়ই জানালা দিয়ে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে ছিল জুনায়েদ। হয়তো সে ভাবছিল ‘এমন যদি হতো আমি পাখির মতো উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ।’ জুনায়েদের এই স্বাধীন মন ও আচরণকে তার পরিবার ও এলাকাবাসী মানসিক সমস্যা বলে মনে করছেন।

জুনায়েদ গিয়েছিল প্লেন দেখতে, আর শত শত মানুষ ভিড় করছেন তাকে দেখতে। শিশুটি বুঝতেই পারছে না সে কী করেছে, কেন এত মানুষ তাকে দেখতে আসছে। ১২ বছরের জুনায়েদের ভাষায়, ‘কখনও বিমান দেখি নাই, দেখার ইচ্ছে ছিল খুব। তাই শখের বসে যাত্রীদের সঙ্গে বিমানবন্দরে ঢুকে বিমানে উঠে যাই। যাওয়ার পথে আটকায়নি কেউ। বিমানের ভেতরে হাঁটাহাঁটি শুরু করার পর বিমানের লোকজন এসে নানা প্রশ্ন করেন এবং বিমান থেকে নামিয়ে আনেন। জীবনে প্রথম বিমানে উঠতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। তবে আমি ভেবেছিলাম বাসে যেভাবে যাত্রীরা ওঠে, সেভাবে বিমানেও ওঠা যায়।’

জুনায়েদের এ মানসিক অবস্থার জন্য সে কোনোভাবেই দায়ী নয়। দায়ী ওর পরিবার, সমাজ ও আমরা। ভালোবাসা ও যত্নহীন জীবনে বেড়ে ওঠা শিশু একা জুনায়েদ নয়। তার পরিবার থেকেও, পরিবার নেই। অনেক শিশুই আছে জুনায়েদের মতো, যারা পরিবারের মধ্যে থেকেও পরিবারহীন। আবার অনেক শিশু আছে, যারা চার দেওয়ালের মধ্যে বিভিন্ন শাসন-অনুশাসনের মধ্যে বন্দি। এই শিশুরা বাবা-মায়ের কাছে সময় পায় না, খোলা আকাশ দেখতে পায় না, পাখির গান শোনে না, প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে পারে না। তাদের কাঁধে বইয়ের বোঝা, প্রতিযোগিতার পাল্লা-পাথর আর চোখের সামনে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস।

গ্রামের ছেলে জুনায়েদের জীবনে যতটুকু স্বাধীনতা, ইচ্ছা ও সাহস আছে, আজকালকার অনেক শহুরে শিশু সেটাও উপভোগ করতে পারে না। কারণ শহরে চারদিকে বিপদ। এই শিশুরা তাই নিরাপত্তার ইস্যুতে সবাই খাঁচায় বন্দি। কিন্তু আদতেই কি শিশুরা বন্দি খাঁচায় নিরাপদে আছে? জরিপ কিন্তু সে কথা বলে না।

সমাজের সবচেয়ে বড় ও নিরাপদ যে প্রতিষ্ঠান পরিবার, জুনায়েদসহ আরও অনেক শিশুর জন্য তা আনন্দের ও নিরাপদের আশ্রয় নয়। শিশুকে অসহায় পেয়ে, হাতের কাছে পেয়ে এবং শিশুর ওপর কর্তৃত্ব করা সহজ বলে বড়রা সবসময়ই তাদের শাসন করার চেষ্টা করেন। ভুলে যান যে শাসনের নামে শোষণ হয়ে যাচ্ছে কি না। আমরা বড়রা চাই শিশুকে নিজেদের ইচ্ছাধীন করে রাখতে, যা একজন শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আসলে প্রতিটি শিশুর মনেই অজানাকে জানার আগ্রহ থাকে, থাকে মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর ইচ্ছা।

সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য বলছে ঘরেই শতকরা ৯৫.৮ জন শিশু নির্যাতিত হচ্ছে নানাভাবে। শিশুরা পরিবারে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয় বাবা-মা ও অভিভাবকদের দ্বারা। শাস্তি ও নিয়মানুবর্তিতার কথা বলে শিশুর ওপর এই নিপীড়ন চালানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরের বাইরে, কাজের জায়গা বা অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানে শিশু যতোটা নির্যাতিত হচ্ছে, এর চাইতে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নিজ গৃহে।

সবচাইতে মর্মান্তিক তথ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুরাও শুধু প্রতিবন্ধিতার কারণে পরিবারে ও সমাজে নিগৃহীত হচ্ছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৯৫.৩ জন শিশু জানিয়েছে যে তারা জীবনের কোনো না কোনো সময় ঘরে, বাইরে, স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৯৬.২ জন মেয়েশিশু এবং ৯৪.৫ জন ছেলেশিশু। শতকরা ৮৬.৯ জন শিশু গৃহে শারীরিকভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে, বাসায় থাকা শিশুরা জানিয়েছে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থার’ নামে তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়।

অন্যদিকে শতকরা প্রায় ৮১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বা অভিভাবক বলেছেন, সন্তান যদি বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়, তাহলে তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিশুকে শারীরিক শাস্তি দেওয়ার পক্ষে। এক্ষেত্রে ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুদের চাইতে শারীরিক শাস্তি বেশি ভোগ করে। ওনারা মনে করেন, ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই।’

শিশুকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করার মধ্যে পড়ে হাত, জুতা, বেল্ট, বোতল দিয়ে মারা, লাথি দেওয়া, ঝাঁকি দেওয়া, ছুড়ে ফেলা, চিমটি কাটা, টানাহেঁচড়া করা, চুল টানা, দাঁড় করিয়ে রাখা, হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা, শরীর পুড়িয়ে দেওয়া, অতিরিক্ত শ্রম করানো এবং ভয় দেখানো। পরিবারে, স্কুলে ও মাদরাসায় সর্বত্রই শিশুকে এভাবেই শাস্তি দেওয়া হয়। কারণ শিশুকে ‘মানুষের মতো মানুষ’ বানাতে হবে।

এছাড়া শতকরা ৮২ জন শিশু নির্যাতিত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে সবচাইতে বেশি সংখ্যক শিশু অর্থাৎ শতকরা ৮৬.১ জন শিশু ইমোশনালি বা মানসিকভাবে নিপীড়িত হচ্ছে। শতকরা ৮২ জন শারীরিক সহিংসতার শিকার হয় আর ২৪.১ শতাংশ শিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা সমাজে নয়, শিশু তার গৃহে ও কর্মক্ষেত্রেও শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
(তথ্যসূত্র: ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইনসিডিন বাংলাদেশ)

মানসিক হয়রানির মধ্যে আছে শিশুকে ছোট করা, আজেবাজে নামে ডাকা, ভয় দেখানো, গালাগালি করা, হুংকার দেওয়া, ইয়ার্কি করা, বুলিং করা, শারীরিক ত্রুটি নিয়ে ঠাট্টা করা, সামাজিকভবে হেয় করা, সমালোচনা করা, অভিশাপ দেওয়া, লজ্জা দেওয়া, অবহেলা করা। এই হয়রানিগুলো শিশুকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বড় হতে দেয় না।

শিশুকে যদি মানসিকভাবে হয়রানি করা হয়, সেই শিশু মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে বড় হতে বাধ্য। ইদানীং বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে যে শিশু তার সহপাঠী, বন্ধু, শিক্ষক বা বড়দের কাছ থেকে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, যা শিশুকে অস্থির, বিমর্ষ ও নিঃসঙ্গ করে তুলছে। শিশু হয়ে উঠছে সুইসাইডাল ও অপরাধী মানসিকতার বা দুর্বল চিত্তের।

আনন্দ নদীর স্বপ্ন চোখে নিয়ে যে জুনায়েদরা আজ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, আসুন তাদের পাশে দাঁড়াই, তাদের স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করি। জুনায়েদ এখন স্বপ্ন দেখছে যে সে একদিন পাইলট হবে, বিমান চালাবে। সবার কাছে সে সহায়তাও চেয়েছে। আমরা কি পারি না জুনায়েদের এই অসম্ভব চাওয়াকে সম্ভব করে তুলতে? পারি সমবেত শক্তির জোর অনেক বেশি।

শিশুকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে কখনো তাকে মানুষ করে তোলা সম্ভব হয় না। বরং এ ব্যবস্থা শিশুর মনোজগতে এতটাই বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে যে, শিশুটি বড় হবে একজন অপরাধী, নয়তো অমানবিক ও অসামাজিক মানুষ হিসেবে। প্রতিদিনের খবর আমাদের জানাচ্ছে যে শিশু অপরাধীর সংখ্যা ও শিশুর মাদক গ্রহণের হার বাড়ছে। শিশুর পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে নির্দয় আচরণ শিশুকে শিক্ষা দেবে, শিশু তার জীবনে সেই আচরণই গ্রহণ করবে।

এই যে পরিবারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, পাড়া বা মহল্লায় এবং কর্মক্ষেত্রে শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, এটা তাদের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণাম বয়ে আনছে, তা কল্পনাও করা যায় না। শিশুর মনে বড়দের প্রতি তৈরি হচ্ছে অবিশ্বাস, ঘৃণা ও অশ্রদ্ধা। সে কারও কাছে কিছু বলতে পারে না, তাই নিজেকে অপরাধী বলে মনে করতে থাকে। শিশু যে ব্যবহার পেয়ে বড় হবে, ঠিক সেই ব্যবহারই তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেবে। এ আচরণের পাশাপাশি পরিবারের ভিতরে অপরাধী বা অপরাধের উপস্থিতি শিশুকে বিপদের মুখে এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

যাক ফিরে আসি শাহজালাল বিমানবন্দরের ‘কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ প্রসঙ্গে। এখানে যারা পা রেখেছেন, তারা জানেন চেকিং শুরু হয় রাস্তা থেকে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রবেশমুখে মালামাল ও পাসপোর্ট স্ক্যানিং হয়। অজস্র ব্যাজধারী সরকারি লোক ঘুরছেন, সন্দেহজনকভাবে যাত্রীদের দিকে তাকাচ্ছেন। ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে দিয়ে একটা পোকাও প্রশ্ন ছাড়া যেতে পারে না, সেখানে জুনায়েদ চলে গেলো।

বোর্ডিং গেটের সামনের ফাইনাল নিরাপত্তার চেকিং এত কঠিন যে, রীতিমতো ভয় ভয় লাগে। জুতা, বেল্ট ঘড়ি খুলে, ফোন ও ব্যাগ রেখে যেতে হবে। পাসপোর্ট দেখবে, বোর্ডিং কার্ড দেখবে। তারপর উড়োজাহাজে ঢুকতে পারবেন। এতগুলো নিরাপত্তা তল্লাশি পার হয়ে গ্রামের শিশু জুনায়েদ বিমানে চড়ে বসেছিল। এটাই সবচাইতে বিস্ময়কর ঘটনা। তাহলে বোঝা যাচ্ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটাই বজ্র আঁটুনি, ফস্কা গেঁড়ো।

শেষে বলতে চাই শিশুকে ভালোবাসুন, তার কথা শুনুন। বন্দিজীবন শিশুকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। মওলানা জালালউদ্দীন রুমি বলেছেন, ‘যখন তুমি প্রাণ থেকে, আত্মা থেকে কোনো কাজ করো, তখন তুমি অনুভব করবে একটি নদী তোমার ভেতরে তিরতির করে বইতে শুরু করেছে। সেই নদীর নাম আনন্দ’। রুমি ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ধর্মবেত্তা এবং সুফী ছিলেন। সেই আনন্দ নদীর স্বপ্ন চোখে নিয়ে যে জুনায়েদরা আজ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, আসুন তাদের পাশে দাঁড়াই, তাদের স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করি। জুনায়েদ এখন স্বপ্ন দেখছে যে সে একদিন পাইলট হবে, বিমান চালাবে। সবার কাছে সে সহায়তাও চেয়েছে। আমরা কি পারি না জুনায়েদের এ অসম্ভব চাওয়াকে সম্ভব করে তুলতে? পারি সমবেত শক্তির জোর অনেক বেশি।

লেখক: যোগাযোগকর্মী ও কলামিস্ট।

এইচআর/ফারুক/জেআইএম