ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নজরুলের শব্দ রঙ্গ

জাফর ওয়াজেদ | প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ২৫ মে ২০২৩

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যকর্মে আরবি-ফার্সি শব্দের বেশ ব্যবহার করেছেন। অবশ্য তার আগেও বেশকিছু লেখক কবি আরবি-ফার্সি শব্দ ব্যবহার করেছেন। তবে তা সীমিত, সীমাবদ্ধস্তরে। নজরুল তার পদ্যে-গানে আরবি-ফার্সি শব্দের ব্যবহার অন্যদের তুলনায় বেশি করেছেন। ওই দুটি ভাষা শুধু নয়, উর্দু ও হিন্দি শব্দের ব্যবহারও করেছেন। তার ব্যবহৃত অনেক শব্দই বাংলাভাষায় নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। আবার কিছু শব্দ আছে কোনোভাবেই বাংলার সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অব্যবহৃত থেকেই গেছে।

কবি নজরুল শব্দের ‘মহফিলে’ হরেক ‘কিসিমের’ শব্দের ‘ঝুলঝাপ্পুর’ দেখিয়েছেন বলা হয়। শব্দের রঙ্গনির্মাণ যেমন করেছেন, তেমনি কঠিন কঠিন আরবি-ফার্সি শব্দের ‘গুলমোহর’ও বানিয়েছেন এবং উর্দু হিন্দি শব্দ ব্যবহার করেছেন। সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে, নজরুল মোল্লা-মৌলভীদের মতো ভালো আরবি-ফার্সি না জানলেও কাব্যের রস আস্বাদন করতে পেরেছিলেন। তার ব্যবহৃত অনেক শব্দই বাংলাভাষায় যুৎসইভাবে ঠাঁই নিয়েছে। আবার কিছু আরবি-ফার্সি শব্দ ‘সুকৌশলে’ ব্যবহার করলেও তা বাংলা হয়ে ওঠেনি। বরং আরবি-ফার্সিই রয়ে গেছে। ‘হিম্মত, জাহান্নাম, ঈমান, জানাজা, আসমান, ইনসান, আহাদ, মুর্দা-ইত্যাদি নজরুল ব্যবহৃত শব্দ এখন পুরোদস্তুর বাংলা। অবশ্য বাংলার বাগ্বিধিকে নজরুল উপেক্ষা করেন নি, বরং সুসমঞ্জস্যভাবে আরবি-ফার্সি শব্দের বিন্যাস ঘটিয়েছেন। তাই লিখেছেন, ‘নীলিম প্রিয়ার নীলা গুলরুখ লাজুক নেকাবে ঢাকা’, ‘ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ।’

নজরুলের আরবি-ফার্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। প্রমথ চৌধুরী বাংলাভাষার জাতপাত সম্পর্কে বলেছিলেন, বাংলা সাহিত্য থেকে আরবি-ফার্সি শব্দ বহিষ্কৃত করতে সেই জাতীয় সাহিত্যিকই উৎসুক যারা বাংলাভাষা জানেন না।”

দীনেশচন্দ্র সেন এ বিষয়টি গভীর ভাবে অনুধ্যান করে বলেছিলেন ‘গত পাঁচ ছয়শত বৎসরের মধ্যে বাংলাভাষাটা হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই হইয়া গিয়াছে। মুসলমানের ধর্মশাস্ত্র ও সামাজিক আদর্শ অনেকটা আরবি ও ফার্সি সাহিত্যে লিপিবদ্ধ। সেই সাহিত্যের জ্ঞান তাহাদের নিত্যকর্মের জন্য অপরিহার্য। আমাদের যেমন সংস্কৃতের সহিত সম্বন্ধ, আরবি ও ফার্সির সঙ্গে তাহাদের কতকটা তাই।’

এই গভীর ঐতিহাসিক ও সমন্বয়ের সূত্রটি কাজী নজরুলের ভেতরে ভেতরে কাজ করেছে । সে জন্য তিনি বহুভাষাবিদ গবেষক পন্ডিত প্রবরের মতো একদিকে যেমন সংস্কৃত ছন্দ অধ্যয়ন করেছিলেন, তেমনি আরবি-ফার্সি ভাষা থেকেও প্রচুর শব্দ ছন্দ ও সুর আনয়ন করে বাংলার কাব্যলক্ষীকে মুসলিম ঢঙ্গে সাজানোর প্রয়াসী হয়ে ইরারি ‘জেওরে’ ভূষিত করতে চেয়েছিলেন।

নজরুলের আরবি-ফার্সির ব্যবহার যে ভাবসম্পদ বৃদ্ধির জন্য, হিন্দুর দেব-দেবীর নাম গ্রহণ যে হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ দূর করার জন্য-সমকালীনরা তা উপলব্ধি করতে পারেন নি। তাই ‘শনিবারের চিঠি’ থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কিছুটা অসহিঞ্চু হয়ে ওঠেছিলেন। এমনকি নজরুল সতীর্থরাও তার আরবি-ফার্সি শব্দ প্রয়োগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেন। ‘স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য পত্রিকার সম্পাদক মিস্টার ওয়ার্ডওয়ার্থ সম্পাদকীয় লেখেন।

তিনি উল্লেখ করেন, “কোন একটা ভাষায় অন্যভাষার শব্দ প্রবেশ করবে কি না; তা লেখকের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। যে সাহিত্যিকরা অন্য ভাষার শব্দ চয়ন করে নিজের ভাষার মধ্যে মিলিয়ে দিতে পারবেন তিনি ততো বড় শক্তিশালী সাহিত্যিক। নিজের সাহিত্য ভাণ্ডার এমনি করে পূর্ণ করেছেন ইংরেজ সাহিত্যিকরা। তারা ডাকাতের মতো অন্য ভাষার সুন্দর শব্দগুলি একরকম কেড়ে এনেছেন নিজেদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য।”

এটি প্রকাশের পর দেখা গেছে, সমসাময়িক অনেকের লেখায় হরহামেশা উর্দু ও ফার্সি শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। বাংলা সাহিত্যের ভাববৈচিত্র্যের জন্যই বুঝি নজরুল হাবিলদার কবি থাকাকালীন পারস্যের কবি হাফিজের কবিতা অনুবাদে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন। এ যেন ‘বাংলার শ্যামকোয়েলার কণ্ঠে ইরানের গুলবাগিচার বুলবুলির বুলি’ তিনিই দেন। নজরুল বাংলার শাপলা-শালুক পদ্মের সঙ্গে বসরাই গোলাপ-জুঁই-নার্গিস একাকার করে দিয়েছেন। নজরুলের কবিতায় ‘খুন’ রক্ত অর্থে ব্যবহারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। সে সবার জানা।

নজরুলের একটি হাসির গান আছে ‘রসঘন রসুনের গন্ধতুতো দাদা’। এই গন্ধতুতো শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গন্ধ সম্পর্কিত। অনেকটা পাড়াতুতো, জেঠতুতো অনুসরণেই তৎসম শব্দের সঙ্গে আটপৌরে শব্দ ‘তুতো’র মিতালি ঘটিয়েছেন নজরুল। এই ‘তুতো’ এসেছে কোত্থেকে, সে প্রশ্ন জাগবেই। মূলত ‘তুতো’ শব্দটিই এখানে প্রত্যয়ে পরিণত হয়েছে। যেমন খুল্লতাত, খুড়াতো বা খুড়তুতো। কিংবা খুল্লতা+উয়া (খুড়তাতুয়া< খুড়তুতুয়া) খুড়তুতো। আর তুতো সহজেই পাড়া সম্পর্কীয় বিষয়ে জড়িয়ে হয়ে গেছে পাড়াতুতো। নজরুল তাকে ‘গন্ধতুতো’ করে বেশ চমৎকার একটি শব্দে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। নজরুল ব্যবহৃত আরেকটি শব্দ ‘হনুকরণ’।

অর্থ হচ্ছে হনুমান বা বাঁদরের মতো অনুকরণ (‘অনুকরণ’ এর ব্যঙ্গাত্মক হনুকরণ-হনুমানের মতো করণীয়)। নজরুলের বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রথমগ্রন্থ প্রবন্ধ সংকলন ‘যুগবাণী’। তাতে ‘জাতীয় শিক্ষা’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ রয়েছে, ‘যাহা দিগকে মুখ ভেঙচাইয়া বাহির হইয়া আসিয়াছি, আবার তাহাদেরই অনুকরণ করিতেছি।’ নজরুলের ‘ফণীমনসা’ কাব্যগ্রন্থের ‘সাবধানী ঘণ্টা’ কবিতার একটি লাইন ‘লাল বাংলার হুমকানি, ছি ছি, এত অসহ্য ও মা।’ ‘হুমকানি’ এসেছ ধমকানির সাদৃশ্যে। ধমককে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া গেলেও হুমকানিকে সমীহ করতেই হয়। না হলে যে জীবন রাখা দায়। অবশ্য এই ‘হুমকানি’ শব্দটি বাঙালির ব্যবহারের ধোপে টেকেনি। হুমকিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে, হুমকানির ভয়ে।

সাপ্তাহিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৯২৩ সালে লেখা ‘চানাচুর’ শীর্ষক নিবন্ধে নজরুল লিখেছিলেন, ‘তখন কি আর ফোকলাদন্তী চুপসায়িত – ককোল অষ্টাবক্রীয় কটি বুড়োদের ওরা বিয়ে করতে চাইবে?’-এখানে চুপসায়িত অর্থ চুপসে গিয়েছে এমন অথবা তোঁবড়ানো। অনেকটা তরলায়িত। আলুলায়িত ইত্যাদির সাদৃশ্যে নজরুল লিখলেন চুপসায়িত। প্রকৃত বাংলা চুপসা ধাতুর সঙ্গে ইত প্রত্যয়যোগে সংস্কৃতায়নে বাক্যটিতে নজরুল এক ধরনের রসায়ন ঘটিয়েছেন। সাধু ‘অষ্টাবক্রীয়’-এর চেয়ে অসাধু ‘চুপসায়িত’-এর ওজন ভারী।

সংস্কৃতের সঙ্গে আছে ইঙ্গায়ন। যেমন কেলেঙ্কারি+ ড়ঁং= কেলেঙ্কারিয়াস। ‘ধুমকেতু’তে লিখেছেন নজরুল ‘কেলেঙ্কারিয়াস কাণ্ড!’ আবার ‘বাঁধনহারা’য় লিখেছেন, ‘আমি হলে তোর এ বর্র্ষাস্নাতা সাগর সৈকতবাসিনী করাচির বর্ণনাটা কি রকম কবিত্বপূর্ণ ভাষায় করতাম অবধান কর, যদিও বর্ণনাটা আন্দাজিক্যালি হতো’। ‘আন্দাজ’ ফার্সি শব্দ, তার সঙ্গে ইংরেজি ইক্যালি যুক্ত করে নতুন শব্দ তৈরি করেছিলেন নজরুল।

নজরুলের কবিতায় আছে, ‘মদলোভীরে মৌলভী কন,’-পান করে এই শরাব যারা।’ মৌলবীরূপধারী মৌলোভী অর্থাৎ মদলোভী ব্যক্তি (মৌলভী শব্দের ধ্বনি সাদৃশ্যে)। নজরুল মৌলভী শব্দটিকে যুৎসই প্রয়োগ করেছেন। বারোয়ারি সাদৃশ্যে নজরুল লিখেছেন মালোয়ারি। ম্যালেরিয়া রোগের নয়া নামকরণ যেন। ‘বাঘা শীত কাঁপি থরথর, যেন গো মালোয়ারি।’

এভাবে নজরুল সেই ট্রাডিশন সমানে চালিয়েছেন। নজরুল আরবি-ফার্সির অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করেছেন অনায়াসে। এ যে তার একক কৃতিত্ব। ‘সুবে- উম্মেদ’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “তোমাদের এই ‘ইখাওয়ৎকে’ কেন্দ্র করিয়া আমাদের অন্তরের সত্য স্বাধীন শক্তিকে যেন কোনোদিন বিসর্জন না দিই’। আরবি শব্দ ইখাতওয়ৎ অর্থ ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি। আরবি আখ্ অর্থ ভাই। আখাওয়াৎ-ইখাওয়াৎ দুই উচ্চারণই করা হয়। বাংলায় এ শব্দটি খাপ খাওয়ানো যায়নি বলে নজরুলের পরে তার কোন ব্যবহার মেলে না।

নজরুলের কবিতার লাইন ‘কিশমিশ ছেঁচা অধর আজিকে আলাপ মুখত্সর’। শেষোক্ত শব্দটির অর্থ সংক্ষিপ্ত, ভাষা ফার্সি। এর অস্তিত্ব রক্ষা হয়নি বাংলা শব্দভাণ্ডারে। ঈদ মোবারক কবিতায় ‘সুজদা এনেছে সুখে ডগমগ মুকুলীমন’ লাইনের প্রথম শব্দটি অর্থ হচ্ছে শুভবার্তা বা সুসংবাদ। আবার সুবেহ্ উম্মেদ রচনায় দেখি ‘পাহাড়ি তরুর শুকনো শাখায় গাহে বুলবুল খোশ এলান । এই শেষোক্ত শব্দটির অর্থ মধুর স্বর। বুলবুল পাখির মধুর স্বর বোঝাতে এই ফার্সি শব্দের ব্যবহার।

ঈদের চাঁদ কবিতায় লিখেছেন, ‘জুলমের জিন্দানে জনগণে আজাদ করিতে চাই’। জিন্দান অর্থ কারাগার। নজরুলের আরেক কবিতায় আছে, ‘না শিখে আদব এলি বেহেশ্তে/ কোন বন হতে রে মনহুশ ?’এই আরবি শব্দটির অর্থ হতভাগা। নজরুলের গদ্যে আছে, ‘বাপ বলত হালার পো, মা আদর করে বলত- ‘আফলাতুন’। এই আফলাতুন অর্থ দুর্দান্ত বা জাঁহাবাজ। এছাড়া ব্যবহৃত হয় পরিবর্তিত অর্থে। নজরুলের গদ্যে এমন শব্দের ব্যবহারও দেখা যায়।

অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের মোর্হরম কবিতায় আছে, ‘শমশের নাও হাতে, বাঁধো শিরে আমামা’ -এই আমামা অর্থ পাগড়ি। ফার্সি এই শব্দটি বাংলার পাগড়ির নিচেও ঠাঁই পায়নি। মূলত বাঙালির পাগড়ি প্রিয়তা যৎসম্মান্য থাকায় এ ধোপে টেকেনি। নজরুল অনূদিত হাফিজের রুবাইয়াতে মেলে, ‘মুলতুবি আজ সাকী ও শরাব্ / দীওয়ানে হাফিজ জুজ্দানে।’ এই শেষ শব্দটির অর্থ মূলতঃ গ্রন্থ আবরণী বা মলাট। জুজ্দানে বাংলাভাষার কোনো দানছত্রের ভেতরও আশ্রয় নিতে পারেনি। নজরুল ব্যবহৃত অনেক শব্দই না বোঝা থেকে গেছে। আবার সে যুগে নতুন মনে হয়েছে, এমন শব্দ এযুগে বাংলায় ঠাঁই পেয়েছে। তবে অনেক শব্দের অর্থ বুঝে নিতে হয়, ‘আন্দাজিক্যালি।’

এসব শব্দের তাৎপর্য জানা থাকলে কাব্যশব্দ তৃপ্ত হয়। নজরুল আরবি-ফার্সি শব্দের পাশাপাশি উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি এবং সংস্কৃত শব্দের ব্যবহারও করেছেন। যখন যেখানে যা পেয়েছেন তা আত্মস্থ করে নতুন উদ্ভাসনে বাংলা গদ্যে-পদ্যে সংযোজন করে শব্দের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। ‘দজ্জাল, জালিম, খুনিয়াদের’ বিরুদ্ধে এই শব্দাস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

‘হায়দরি হাঁক’ হেঁকেছেন মোনাফেকদের বিরুদ্ধে। হিন্দু -মুসলিম দুই সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করে সরব ছিলেন নজরুল । শব্দ নিয়ে খেলেছেন ছন্দ তালে লয়ে তানে । নজরুল প্রাচ্য থেকে যে সব শব্দ তার সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে অনুরণিত করেছেন, তাতে প্রাণের স্পর্শ প্রবাহিত করতে সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। নজরুল কোনো ‘কেলেঙ্করিয়াস’ ঘটনা ঘটাননি। যদিও সমালোচনার তোড়ে মাঝে মাঝে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিও ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন।

নজরুল অভিধান শব্দসূত্রে মুসলিম সংস্কৃতির মনন- চিন্তনের দিকেই শুধু নয়, হিন্দু সংস্কৃতির গভীর দ্যোতনার দিকে বাঙালিকে উন্মুখ করে তুলতে পেরেছিলেন। শব্দের বাহারে কিংবা জুৎসই শব্দাঞ্জলি দিয়ে পাঠকের ‘দিল ওহি মেরা ফাঁস গেয়ি’ করেছেন। শব্দগুলো নজরুলের ভাষাতেই বলা যায়- “আমাদের যেন জিজ্ঞেস করছে ‘হাঁদাইবা নি’ অর্থাৎ তুমি কি সাঁদাইবা? অর্থাৎ ভিতরে ঢুইক্যা দেখবা। যদি তাই করনের খাইস থাকে তবে হীরা জহরত পাইবা।”

লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও মহাপরিচালক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

এইচআর/ফারুক/এএসএম

আরও পড়ুন