ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

যুদ্ধকেন্দ্রিক বিশ্ব ও আমাদের অর্থনীতি

দুর্নীতিবাজ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

প্রণব মজুমদার | প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অর্থনীতি কোন পথে যাবে এ নিয়ে সঠিক অনুমান করার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি আছে মার্কিন অর্থনীতিবিদ নুরিয়েল রুবিনির। পরপর কয়েকটি বিশ্ব মন্দার সঠিক অনুমান করেছিলেন তিনি। নুরিয়েল রুবিনির নতুন অনুমান হচ্ছে ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি।

কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা এখনো কাটেনি। ২০২০ সালের মন্দার পরে, যদিও ২০২১ সালে উত্তরণের কিছু লক্ষণ ছিল। কিন্তু নতুন বছরের দুই মাস না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন করে সংকটে ফেলে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, আর এটাই সবচেয়ে ভয়ের কথা। কেননা অর্থনীতির বড় শত্রু অনিশ্চয়তা।

ইউক্রেন সংকট বাংলাদেশকেও দীর্ঘমেয়াদে সংকটে ফেলবে। আশঙ্কা আছে রফতানি ও বিনিয়োগ নিয়েও। বাংলাদেশের পোশাক যায় ইউরোপে। আবার বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করে। ফলে খাদ্য আমদানিতে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে আমাদের। উচ্চমূল্য শুধু নয়, সরবরাহ যথাসময়ে না পাওয়া একটি সংকট!

সামরিক যুদ্ধের বিপরীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো শুরু করেছে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। আরোপ করা হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। এতে কেবল রাশিয়া বা ইউক্রেন সংকটে পড়বে তা নয়, প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি আগে থেকেই ছিল, এখন যুক্ত হচ্ছে নিম্ন প্রবৃদ্ধি নতুন এক মন্দার মুখে সারা বিশ্ব। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলা চলছেই। অবিস্ফোরিত গোলা খুঁজছে ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনকে উসকানি দিচ্ছে কোন কোন দেশ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেদিকে পা বাড়িয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে।

মোড়লগিরি চলছে। আধিপত্য বিস্তারের খেলা। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে অনেক আগে। তা ছিল প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী দেশের কৌশল এবং দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। চলমান যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে এক সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনও শেষ হয়ে যাবে।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক নুরিয়েল রুবিনি ক্লিনটন প্রশাসনের অন্যতম অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। রুবিনির প্রতিটি অনুমানই সঠিক হয়েছে। মার্কিন এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। এমনিতেই কোভিডের সময় সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। এখন তা আরও বাড়বে। এতে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ ঋণের সুদহার বৃদ্ধিসহ যেসব ব্যবস্থা নেবে, তাতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি কমবে। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি অতি উচ্চ মূল্যস্ফীতি-নিম্ন প্রবৃদ্ধির দিকেই যাচ্ছে। অর্থনীতির এই মন্দাবস্থাকে অর্থনীতির ভাষায় ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বলা হয়। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে, আবার কর্মসংস্থানও তৈরি হয় না। সংকট উভয় দিকেই।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল মিত্র শক্তি। যুদ্ধের পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দুই দেশ ঠান্ডা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা অব্যাহত ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধ এখন চলছে চীনের সঙ্গে, মূলত বাণিজ্য নিয়ে। অন্যদিকে ইউক্রেন আক্রমণ করে ইউরোপে ‘গরম’ যুদ্ধ আবার ফিরিয়ে আনল রাশিয়া।

নুরিয়েল রুবিনি বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মতো করে একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সেই ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জ জানানো শুরু করে মূলত চারটি দেশ। যেমন চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। এ রকম এক অবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত কেবল এই দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তা বিশ্ব অর্থনীতি ও আর্থিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের আঘাত হানবে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে যে প্রতিবেদন লিখেছে, তার শিরোনাম হচ্ছে ‘কিছুদিনের মধ্যেই, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় চাপে ফেলবে’।

সামরিক খাতে বড় খেলোয়াড় হলেও রাশিয়া অর্থনীতির মাঠে বড় শক্তি নয়। রাশিয়ার অর্থনীতির আকার এখন ১ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ডলার (১০০ কোটিতে ১ বিলিয়ন, ১ হাজার বিলিয়নে ১ ট্রিলিয়ন)। তুলনা করলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া (২ দশমিক ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার), টেক্সাস (১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন) এবং নিউইয়র্কের (১ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন) চেয়েও ছোট অর্থনীতি রাশিয়ার। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আকারই ২০ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার। মোট বৈশ্বিক উৎপাদনে রাশিয়ার অংশ এখন মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

তবে রাশিয়া জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তি। দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল উৎপাদক। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরেই রাশিয়া। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও রাশিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে, শীর্ষস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপ মূলত রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে ইউরোপের কলকারখানা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হার এখন সাড়ে ৭ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক খুব বেশি নয়। তারপরও যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত তারা। বিশেষ করে সুদহার বাড়ানো হলে এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর।

হামলার শুরুতে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছিলেন রাশিয়া ছোট অর্থনীতির দেশ বলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারবে না। ধারণা ছিল সরাসরি যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতি হবে ইউক্রেনের, আর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাশিয়া। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা এখন স্বীকার করছেন যে তাদের আগের ধারণা ছিল ভুল। আসলে এর প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার অভিজ্ঞতা রাশিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভ্লদিমির পুতিন ৬৩০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত গড়ে তুলেছিলেন। এই অর্থ তাদের দুই বছরের আমদানি ব্যয়ের সমান। সম্ভবত, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে টিকে থাকতেই পুতিন মজুত বাড়িয়েছেন। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা থাকলেও লেনদেনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে দেশটির বড় ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয় লেনদেনের পদ্ধতি বা সুইফটের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য বড় আঘাত। ফলে সংকটে পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি। বেড়েছে সুদের হার। বন্ধ রাখা হয়েছে শেয়ারবাজার। রুবেলের দরপতন ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব মিলিয়ে বেশ ঝামেলায়ই আছেন পুতিন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য পরিবহনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক জাহাজকে ঘুরে যেতে হবে। ফলে কনটেইনার পরিবহন ব্যয়ও বাড়বে। এমনকি বেড়ে যাবে বিমানে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও। পরিবহন ব্যয় মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে।

আশঙ্কা আছে খাদ্যশস্য ও বেশ কিছু ধাতব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম গম ও ভুট্টা উৎপাদন এবং রফতানিকারক। গমের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অনেকখানি নির্ভর করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর। আবার প্যালাডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও নিকেলের জন্যও অনেক দেশ রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এসব ধাতব মুঠোফোন থেকে শুরু গাড়ি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য।

সুতরাং বাড়ছে সবকিছুই, কমবে কেবল আস্থা ও জীবনযাত্রার মান। উন্নত দেশ সতর্ক থাকলেও আশঙ্কা অন্য দেশ নিয়ে, যাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সাইবার হামলায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত একবার হারিয়েছে। সুতরাং সব দেশকেই সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখন ৯ শতাংশের ওপরে। ৩ মাস আগে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ২ মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানিয়েছিলেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত ২৪ অক্টোবর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির হিসাব ওয়াবসাইটে প্রকাশ করে।

এতে দেখা যায় চলতি বছরের আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ ধশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ১০ শতাংশে। আগস্ট মাসে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে! ইউক্রেন সংকট বাংলাদেশকেও সংকটে ফেলবে। আশঙ্কা আছে রফতানি ও বিনিয়োগ নিয়েও। বাংলাদেশের পোশাক যায় ইউরোপে। আবার বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করে।

বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা বিপদে ফেলবে বাংলাদেশকেও। মূল্যস্ফীতির চাপ সীমিত আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে। রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিনিয়োগও কমবে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, যুদ্ধ যদি বেশি দিন চলে তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি একটি ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যাবে। বাংলাদেশও এ থেকে মুক্ত থাকবে না।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তার কাছে এর ইতিবাচক প্রভাব নেই। আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নিতে গিয়ে শর্ত হিসেবে বাড়ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামও। এর প্রভাবে বাড়বে সারের দামে। মার্কিন ডলারের দাম ১০০ অতিক্রম করেছে অনেক আগেই। বোরো ফসলের ক্ষেত্রে সারের দাম যদি বাড়ে, তাহলে তা ভয়াবহ সংকট হিসেবেই দেখা দেবে। ভর্তুকি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। পরের শঙ্কাটি ব্যাংকিং লেনদেনে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত।

এর প্রভাব পড়তে পারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে। এ যুদ্ধের কারণে ইউরোপে চাহিদা কমে গেলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সহায়তা সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। অতিমারির সংকট মোকাবিলা করা গেলেও পরের সংকট থেকেছেই! চাপের মধ্যে ছিল দেশ। আমাদের অর্থনীতিতে যুদ্ধ বাড়তি সংকট যুক্ত করেছে। অনেকদিন ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সেই চাপকেই আরও ঘনীভূত করবে।

জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক বারবার ঘোষণা করছে ২০২৩-২৪ সাল মহামন্দার কবলে পড়বে। অনেক দেশেই মন্দাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা যেন কিছুতেই আমাদের গ্রাস করতে না পারে সেজন্য দেশের টাকা দেশে রাখার কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থপাচার রোধ করে অর্থনৈতিক মন্দা রোধ করা সম্ভব। যারা দুর্নীতিবাজ, যারা টাকা পাচারকারী, ব্যবসার কথা বলে যারা দুইশ’ শতাংশ মূল্যে বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করছে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ছাড় দিলে আর্থিক মন্দা সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, কবি ও অর্থকাগজ সম্পাদক।
[email protected]

এইচআর/ফারুক/এএসএম

আরও পড়ুন