সৎকাজে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ
প্রতিনিয়ত জেনে বুঝে বা অজান্তে কত পাপইনা কাজে আমরা করে চলেছি। আমরা যেহেতু দূর্বল, তাই আমাদের দ্বারা সচারাচর কিছু না কিছু পাপ হয়েই থাকে। তাই বলে কি আমরা সারা জীবন পাপ করেই যাব? নিজকে সংশোধনের কোনো চেষ্টাই কি করবো না? আল্লাহপাক যেহেতু মানুষকে দূর্বল করে সৃষ্টি করেছেন, তাই মানুষের ভুল করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো ভুল হয়ে গেলে তা থেকে তওবা করে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমার দ্বারা এ ধরণের ভুল বা পাপ আর সংঘটিত হবে না। হৃদয় থেকে যদি তওবা এবং ইস্তেগফার আর সৎকাজ করা হয় তাহলে আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করে তার প্রিয়দের মাঝে স্থান দিবেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘যারা বলে হে আমাদের প্রভুপ্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা ঈমান এনেছি অতএব, তুমি আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা কর এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে রক্ষা কর। এ জান্নাত তাদের জন্যে, যারা ধৈর্যশীল, এবং সত্যবাদী, আনুগত্যকারী এবং (আল্লাহর পথে) খরচকারী এবং রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬-১৭)
সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ, কিন্তু মানুষ দুর্বল আর দুর্বল প্রকৃতি দিয়েই আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, যাতে সে গুনাহ করে আর তার এ গুনাহ ক্ষমা করার জন্য মানুষ আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। মানুষ যদি গুনাহ না করত, তাহলে আল্লাহ মানুষকে উঠিয়ে নিতেন এবং এমন এক জাতিকে আবার এই পৃথিবীতে প্রেরণ করতেন, যারা গুনাহ করতো এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতো এবং আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করতেন। মানুষ কিভাবে খোদার নিকট ক্ষমা চাইবে এবং আল্লাহ যে ক্ষমা করবেন এবিষয়ে মহানবী (সা.) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমরা গণনা করে দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) একই বৈঠকে এই দোয়াটি একশবার পড়েছেন, ‘রাব্বীগ ফিরলি ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম।’ অর্থাৎ আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তওবা কবুল করুন, আপনি নিশ্চয় তওবা কবুলকারী ও দয়াময় (আবুদাউদ)।
আল্লাহপাকের কাছে ইস্তেগফার ও ক্ষমা চাওয়ার ফলে বান্দা দুঃশ্চিন্তা থেকে যেভাবে মুক্তিলাভ করে, তেমনি ক্ষমা চাওয়ার কারণে মহান আল্লাহ রিযকের ব্যবস্থাও করে দেন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সদাসর্বদা গুনাহ মাফ চাইতে থাকে (আস্তাগফিরুল্লাহ্ পড়তে থাকে) আল্লাহ্ তাকে প্রতিটি সংকীর্ণতা, আযাব, কষ্টকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেন, প্রতিটি দুশ্চিন্তা থেকে তাকে মুক্ত করেন এবং এমন সব উৎস থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করে দেন, যা সে (বান্দা) কল্পনাও করতে পারে না’ (আবুদাউদ)। হজরত রাসূল করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলে ‘আসতাগ ফিরুল্লাহাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহে’ অর্থাৎ আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি আল্লাহর কাছে, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী আর আমি তার কাছেই তওবা করছি’, তাহলে তার গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। এমন কি, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করার মত গুনাহ করলেও (আবুদাউদ)।
আধ্যাত্মিক সকল উন্নতির চাবিকাঠি হচ্ছে-ইস্তেগফার। এর দ্বারা কেবল মৌখিক ক্ষমা প্রার্থনা করাই বুঝায় না বরং এর পাশাপাশি সেসব কাজ করাকেও বুঝায়, যা দ্বারা মানুষের সব দুর্বলতা ও পাপ দূর হয় বা ঢেকে যায়। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘সম্মান ও মর্যাদার প্রভু আল্লাহ বলেন, যে কেউ একটি ভালো কাজ করে, আমি তাকে দশগুণ পুরস্কার দিব বা তার চেয়েও বেশি দিব। আর যে ব্যক্তি একটি অন্যায় কাজ করবে, সে ঠিক সেই পরিমাণ শাস্তি ভোগ করবে অথবা আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। যে আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার প্রতি একগজ অগ্রসর হই। যে আমার দিকে এক গজ অগ্রসর হয় আমি তার দিকে দুই গজ অগ্রসর হই’ (মুসলিম)।
আল্লাহ্ তার বান্দাকে ক্ষমা করেন যদি ক্ষমা চাওয়ার শর্তাবলী মেনে ক্ষমা চাওয়া হয়। আমরা সেই মহান আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠসৃষ্টি, যিনি না চাইতেও অগণিত নেয়ামত দান করেন আর বিশ্ব নিয়ন্তা আল্লাহ এমন যে, বান্দা গুনাহ করবে আর তিনি ক্ষমা করবেন, যতবার গুনাহ করবে ততবার ক্ষমা করবেন, তবে শর্ত হচ্ছে গুনাহ স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেই গুনাহ যেন দ্বিতীয়বার আর তার দ্বারা সংঘটিত না নয়, এই অঙ্গীকার করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন গুনাহ স্বীকার করে আর মাফ চায়, আল্লাহ মাফ করেন বা কবুল করেন। রাসূল করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার অন্তরে মরিচা পড়ে আর সে মরিচা সাফ হওয়ার জন্য দৈনিক একশ বার ‘আসতাগফিরুল্লাহ্’ বলি (মুসলিম)। যার কোনো পাপ নেই, যিনি নবীকুল শ্রেষ্ঠ, যার জন্য স্বয়ং আল্লাহপাক দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি (সা.) যদি দৈনিক শতবার ইস্তেগফার করেন, তাহলে আমাদের কতবার ইস্তেগফার করা প্রয়োজন, তা ভেবে দেখা উচিত।
হজরত নবী করিম (সা.) নামাজ শেষ করে তিন বার ইস্তিগফার (আল্লাহ ক্ষমা করুন) পড়তেন। তারপর পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ওয়া মিনকাস সালামু, ওয়া তাবারাকতা ইয়া যাল জালালে ওয়াল ইকরাম। ‘হে আল্লাহ তুমিই শান্তি, তোমারই নিকট থেকেই শান্তি ও নিরাপত্তা পাওয়া যায়; আর তুমি বরকত ও কল্যাণময়, হে গৌরব ও সম্মানের মালিক’ (মুসলিম)।
উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মৃত্যুর পূর্বে নবী করিম (সা.) অধিক সংখ্যায় এই দোয়া পড়তেন, ‘সুবহানাল্লাহে ওয়া বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়াতুবু ইলাইহি’। আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আল্লাহর কাছেই তওবা করি (বুখারি)। বান্দার ক্ষমা প্রার্থনায় মহান আল্লাহতায়ালা খুশী হন আর বান্দা যদি পাহাড় সমান
গুনাহও করে এবং খোদার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
মানুষকে অসৎপথ থেকে সৎপথে আনার জন্যই মহান আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে অসংখ্য নবি-রাসূলদের পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবি-রাসুলদের মূল যে কাজ ছিল, তা হল সবাইকে সৎপথে আনা। তারপরও বেশির ভাগ মানুষ অসৎ পথকেই বেছে নিয়ে জীবন যাপন করে। আজ আমরা দেখতে পাই, যত প্রকারের অসৎকর্ম রয়েছে, সবই মানুষ করে যাচ্ছে। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ‘সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব’ আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু আমাদের কর্ম এতই জঘন্য হয়েছে যে, এটা ভাবতেও ঘৃণা লাগে, আমরা মানুষ নাকি অন্য কিছু। যত প্রকারের অসৎকাজ আছে তার সবই আজ আমরা করে যাচ্ছি। কাউকে হত্যা করতেও পিছপা হচ্ছি না, নিষ্পাপ এক শিশুর বুকে গুলি ছুড়তেও বাধে না। মনে যখন যা অসৎ চিন্তা আসছে, তাই করছি।
যে উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তা আমরা ভুলে গেছি। আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী না করে আমরা ছুটছি শয়তানের পিছনে। আমাদের কর্মময় জীবনের বেশির ভাগই চলছে অসৎভাবে, যার ফলে আজ দু:খ-কষ্ট আমাদের পিছু ছাড়ছে না। সমগ্র বিশ্ব যেন আজ অবক্ষয়ের অতল গহবরে নিমজ্জিত। আমরা যদি সৎভাবে জীবন যাপনের চিন্তা-ভাবনা করতাম, তাহলে পৃথিবীতে এতো অশান্তি দেখা দিত না। আমরা যদি নিজেরা সৎভাবে চলি আর অন্যদেরকেও সৎপথে চলার নির্দেশ দিতে থাকি, তাহলেই একটি আদর্শ সমাজ ও দেশ গড়তে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভালো উপদেশ ঠিকই দেন, কিন্তু নিজেই তা পালন করেন না। এমন যদি হয়, তাহলে সে উপদেশ কখনো কাজে আসবে না। তাই প্রথমেই আমাদের নিজেদেরকে সৎ ও পবিত্র হৃদয়ের অধিকারী হতে হবে।
আমরা যদি সৎকাজ করতে থাকি এবং অসৎকাজ থেকে লোকদেরকে বিরত করি, তাহলে এর পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহতায়ালা জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, আমরা অবশ্যই তাদেরকে এমনসব জান্নাতে প্রবেশ করাবো, যার পাদদেশ দিয়ে নদ নদী বয়ে যায়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এ হলো আল্লাহ্র সত্য প্রতিশ্রুতি আর আল্লাহর কথার চেয়ে কার কথা অধিক সত্য হতে পারে? আর পুরুষ হোক বা নারী, যে-ই মু’মিন অবস্থায় সৎকাজ করে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি খেজুর বীচির ছিদ্র পরিমাণ অবিচারও করা হবে না’ (সূরা আন নেসা, আয়াত:১২১ ও ১২৪)।
পুরস্কার লাভের ক্ষেত্রে আল্লাহর দৃষ্টিতে নারী পুরুষে কোনো ভেদাভেদ করা হয় নি। যে-ই ভালো কাজ করবে, সে-ই তার প্রতিদান পাবে। তাই নিজ নিজ কাজ অনুযায়ী পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারেও পুরুষ ও নারীদেরকে সমস্তরে রাখা হয়েছে। সৎকাজের জন্য নারী পুরুষ উভয়ই সমান পুরস্কার পাবে। সৎ কাজ যারা করবে, তাদের একটি সৎকাজের পরিবর্তে আল্লাহতায়ালা দশগুণ প্রতিদান দিয়ে থাকেন। যেভাবে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সৎকাজ যে করে, তার জন্য রয়েছে এর দশগুণ প্রতিদান। আর যে মন্দকাজ করে, তাকে কেবল এর সমান প্রতিফলই দেয়া হবে আর তাদের ওপর কোন অবিচার করা হবে না’ (সূরা আনআম, আয়াত: ১৫৯)।
আসলে সৎকর্ম এক উৎকৃষ্ট শস্য বীজের মত। একটি উৎকৃষ্ট বীজ যেমন দশগুণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, এমন কি আরো অধিক, সৎকাজের প্রতিদানও তেমনি।
অনেকে মনে করেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পাপ করে ফেলেছি, এখন কি খোদা তা’লা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন? যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন, তাদের কোনো চিন্তা নেই, কারণ মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি বার বার ক্ষমা করেন। তবে আমাদেরকে নিজেদের ভুলকে উপলব্ধি করে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তওবা করতে হবে। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে যেভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘তবে যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তার কথা ভিন্ন। অতএব এরাই সেইসব লোক, যাদের মন্দ—কাজগুলো আল্লাহ উত্তম কাজে বদলে দিবেন আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও বার বার কৃপাকারী। আর যে ব্যক্তি তওবা করে এবং সৎকাজ করে, নিশ্চয় তওবা করার মাধ্যমে সে পুরোপুরি আল্লাহর দিকে বিনত হয়’ (সূরা আল ফোরকান: ৭০-৭১)।
তওবার অর্থ হল অনুশোচনা করা, অর্থাৎ অতিতের সমস্ত পাপের জন্য অনুশোচনা করা এবং সকল মন্দকাজ সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে চলা এবং একই সাথে সৎকর্ম করা। ব্যক্তি জীবনে এর উপমা হচ্ছে অতিতের প্রতি সম্পূর্ণভাবে পিঠ ফিরিয়ে নিজ জীবনে পূর্ণ নেক-পরিবর্তন সাধন করা। অতিতের সমস্ত গুনাহর জন্য আমরা যদি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তাহলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। আমরা শুধু নিজেরাই সৎপথে চলব না, বরং পথহারা মানুষকেও সঠিক পথে আনার চেষ্টা করব, যেভাবে হজরত নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! যদি তোমার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা কোনো এক লোককে হেদায়েত দান করেন, তাহলে তা তোমার জন্য মূল্যবান রক্তবর্ণের উট থেকেও উত্তম’ (মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল)। ঐ সময় আরববাসীদের কাছে রক্তবর্ণের উট অধিক মূল্যবান সম্পদ ছিল, আর রাসূল করিম (সা.) সেই উটের সাথে এর তুলনা করেছেন। আমরা যদি সৎকাজে নিয়োজিত থাকি, তাহলে আমাদের ঈমান দৃঢ় হবে এবং বিপদের সময় এটা আমাদেরকে শক্তি দান করবে।
আজ চতুর্দিকে তাকালে এ বিষয়টি পরিষ্কার হয় যে, নৈতিক অধঃপতনের এক চরম সীমায় আমরা পৌঁছে গেছি। যে দিকেই তাকাই, মানুষকে শুধু মন্দকর্মই করতে দেখি। ঈমানহীনতা আজ সর্বত্র বিদ্যমান। পার্থিব জগতের মোহে আজ আমরা খোদার অসন্তুষ্টির পথে অগ্রসর হচ্ছি। এ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য করে পূর্বাহৃেই আল্লাহ এবং তার রাসূল (সা.) আমাদেরকে এ বলে সতর্ক করে গেছেন যে, ‘তোমরা সৎ কাজে লিপ্ত থাক’। ঈমানকে সংরক্ষণ করতে হলে সৎকাজ করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমরা যদি সৎকাজ করি, তাহলে আমরা আল্লাহপাকের হেফাজতে থাকব আর আল্লাহর হেফাজতে থাকলে দুনিয়ার কোনো বিপদ আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
তাই আসুন, আমরা আমাদের প্রিয় খোদার দরবারে আমাদের অপরাধ ও পাপসমূহ স্বীকার করি আর আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার ক্ষমা লাভের মাধ্যমে নিজেদেরকে খোদার প্রিয় বান্দায় পরিণত করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দিন, আমিন।
এইচআর/এমএস