রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও মাঠের বাস্তবতা
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে দেশের মধ্যে সরকারবিরোধী মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। সরকারের কিছুই যাদের ভালো লাগে না তাদের সরকার প্রধানের কথাও ভালো লাগবে না, তা তিনি ভালো বলুন আর মন্দ বলুন। এবার দেখা যাক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।’ এখানে শেখ হাসিনা অসত্য কিছু বলেছেন কি? আওয়ামী লীগ কখনো নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় গেছে? পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গদিতে বসার রেকর্ড আওয়ামী লীগের নেই।
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, জনগণ নির্বাচনে অবাধে তাদের ভোট দেবে এবং একই সঙ্গে বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি যে ক্ষমতায় থাকতে ভুয়া ভোটারে ভরা তালিকা করেছিল, এটা কি অসত্য? ভোট নিয়ে শঙ্কা ছিল বলেই তো এমনটা করা হয়েছিল, নাকি ভুয়া ভোটার তালিকা করার পেছনেও বিএনপির কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিল?
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। এরপর তিনি আরও বলেছেন, ‘তারা জানে যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে বিএনপি এখনও সিদ্ধান্তহীন। তারা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। যদি এই দাবিতে বিএনপি অনড় থাকে তাহলে তো ২০১৪ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। একতরফা নির্বাচন হবে অথবা বিএনপি ছাড়া অন্য দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। নির্বাচন বন্ধ করার মতো শক্তি যে বিএনপির নেই আর দেশের মানুষও যে অকারণ রক্তক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা চায় না, সেটা নিয়েও বিতর্ক করা অর্থহীন।
বিএনপি নির্বাচনের প্রশ্নে কেন দ্বিধায় আছে? অনেকে মনে করেন, বিএনপির বড় সমস্যা হলো, দলের প্রধান দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একজনও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন।
তাছাড়া খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার পক্ষে দলের নেতৃত্ব দেওয়া কিংবা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের পরিস্থিতি হলে সরকারের নেতৃত্ব দেওয়াও সহজ হবে না। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। তিনি ঝুঁকি নিয়ে যদি আগেই দেশে ফিরতেন, তাহলে হয়তো তার প্রতি কিছু মানুষের সহানুভূতি তৈরি হতো। বিদ্যমান বাস্তবতায় খালেদা কিংবা তারেক– কাউকে দেখেই মানুষের মনে এই বিশ্বাস ও উদ্দীপনা তৈরি হচ্ছে না যে, এরা ক্ষমতায় ফিরলে দেশ আরও ভালোভাবে চলবে। মানুষ পরিবর্তনের জন্য তখনই মরিয়া হয়ে ওঠে যখন দেখে বর্তমান অবস্থা আর সহ্য করা যাচ্ছে না এবং ক্ষমতার পরিবর্তন হলে ব্যবস্থাপনাও ভালো হবে। অর্থাৎ ভালো বিকল্প না দেখলে মানুষ মন্দের ভালোর সঙ্গেই চলতে চায়।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত হলে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে মারাত্মক অস্থিরতা তৈরি হবে বলেই অনেকের ধারণা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রচারণা চালিয়ে কর্মী-েসমর্থকদের তাতিয়ে রেখেছেন বিএনপি নেতারা। ফলে ক্ষমতার হাতবদল হলে নিয়ন্ত্রণহীন বাড়াবাড়ির কারণে দেশজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার কথা নিশ্চয়ই অনেকের স্মৃতিতেই আছে।
এবার আসা যাক রাজনীতির মাঠের বাস্তবতায়। গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার চেষ্টাসহ মাঠেও কড়া দৃষ্টি রেখেছে দলটি, নিয়েছে নানা কৌশল। কম যাচ্ছে না তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিও। সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে মাঠ দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
প্রধান দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগ্রহভোগী বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে দেখা দিয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। অন্য রাজনৈতিক দলগুলেও ভোট ও মাঠের লাভের হিসাব কষতে শুরু করেছে। জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। বিএনপি যেমন জোটের পরিধি বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে, তেমনি বসে নেই আওয়ামী লীগও। দল ভাঙার খেলাও চলবে বলে ধারণা করা যায়।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপ করে ১৪ সেপ্টেম্বর আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। এর আগে দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের কথা জানিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির প্রস্তুতির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে দল গোছানোর পাশাপাশি নানা কৌশল নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে মেনে মাঠেও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে দলটি। দলের নেতারা বলছেন, প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আমলনামা যাচাই-বাছাই চলছে। এমপিদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, যোগ্য, জনপ্রিয় ও দক্ষ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আগের দুটি নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮) নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এবার একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ রয়েছে। এই তাগিদ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে বিএনপির একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে গোপনে বৈঠক করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কতগুলো আসনে আওয়ামী লীগের ভালো অবস্থা, কতগুলোতে খারাপ ও কতগুলো আসনে ফিফটি-ফিফটি চান্স, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি খারাপ অবস্থা কীভাবে ভালো করা সম্ভব, সেই উদ্যোগও নেওয়া হবে।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে ক্ষুদ্র পরিসরে মাঠে থাকার সুযোগ দিয়ে তাদের ভোটে আনার চেষ্টা চলছে। তবে মাঠ দখলের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করারও পরিকল্পনা আছে।
শাসক দলের এমন ভাবনা থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান এখনো বদলায়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। তাদের দাবি, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরপেক্ষ ওই সরকার যে নির্বাচন কমিশন করবে, সেই কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে, সেখানে তারা অংশ নেবে।
এসব দাবি আদায়ে বর্তমান সরকারের পতনের বিকল্প কিছু নেই মেনে বিএনপি আন্দোলন করছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে সমমনাদের সমর্থনও রয়েছে। বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে কর্মসূচিতে হামলা করা হচ্ছে, মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির মাঠ দখলের সম্ভাবনা জোরালো হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই বলা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, আগামী দিনের রাজনৈতিক রূপরেখা প্রণয়নেও কাজ করছে বিএনপি। গত বছর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার মধ্য দিয়ে এই কাজ শুরু হয়। এরপর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথমে অনানুষ্ঠানিক এবং পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে দলটি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির চলমান সম্পর্ক নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির সমমনাদের অনেকে অস্বস্তিতে রয়েছে। এমন বাস্তবতায় বিএনপির জামায়াতকে নিয়ে ভাবনা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘জামায়াত তো বলেনি যে তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। তারা বলেছে, যুগপৎ আন্দোলন করবে। তার মানে সরকারের বিরুদ্ধেই তো তাদের অবস্থান। সেই অবস্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে যারা জামায়াতকে অপছন্দ করে, তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদৌ আন্দোলন করবে কি না—এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানের মাঝে রহস্যময় ভূমিকায় রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি মাঠে না থেকেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সরকারের সমালোচনা করে আলোচনায় রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, তারা কোনো জোটে নেই। তবে ভবিষ্যতে জোটে যাবেন কি না, সেটা না বলে বিষয়টা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টির নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সামর্থ্য নেই দলটির। কারও না কারও ভরসায় বরাবরের মতো নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ইচ্ছা। সে কারণে জোটে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয়টি ইচ্ছা করেই পরিষ্কার করা হচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক দলের অবস্থা ও অবস্থান নির্বাচন আরও কাছাকাছি এলে আরও বদলাবে।
বিদেশি শক্তির কাছে ধরনা দিয়ে বিএনপি খুব সুবিধা করতে পারবে বলেও মনে হয় না। দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হোক– এটা অনেক বিদেশি শক্তি চাইলেও আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় কেউ বসাতে চায়, এমন ইঙ্গিতের কথা কোনো রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে আছে বলে শোনা যায়নি।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট।
এইচআর/ফারুক/জেআইএম