ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

উত্তরখান দক্ষিণখান...

মোকাম্মেল হোসেন | প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২২

ঘাড়ের নিচে হাতের আলতো স্পর্শ পেয়ে পেছন ফিরলেন উত্তর নগরপাল। দেখলেন, দক্ষিণের নগর অধিপতি দাঁড়িয়ে আছেন। উত্তর অধিপতি অবাক হলেন। বললেন,
: আপনে!
: হ।
: কোমল হাতের পরশ পাইয়া আমি আরও ভাবছিলাম হাঃ হাঃ হাঃ...
উত্তর নগরপালের হাসি থামলে দক্ষিণ নগরপাল মুচকি হেসে বললেন,
: কবুল করতে দ্বিধা নাই-আপনের মতো একজন কঠিন হ্যান্ডসাম লোকের ঘাড়ে-গালে সুন্দরী মেয়েদের হাত পড়া অতি স্বাভাবিক বিষয়। তবে বুঝতে পারতেছি না, আমার হাতটারে আপনের কাছে লেডিচ্যা মনে হইল ক্যান! আমার হাত কি আসলেই সিদ্ধ বেগুনের মতো লাগছে, নাকি গুল মারলেন?

: গুল মারতে যাব কোনে দুঃখে!
: আজব কারবার! আইজকাল প্রায়ই শাবল-কোদাল-ঝাড়– হাতে লইতেছি, তারপরও হাতের তালু শক্ত হয় নাই?
সড়কে বেজায় ভিড়। উত্তর নগরপাল ভিড় এড়িয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় এসে দক্ষিণ নগরপালের হাতের তালু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বললেন,

: শাবল-কোদাল-ঝাড়– হাতে লইয়া আপনে তো আর কামলা খাটেন না। জাস্ট ফটোসেশন করেন। ফটোসেশনে কী আর হাত শক্ত হয়!
: আপনের কথা মাইন্যা নিলাম। এইবার বলেন, বাজার থেইকা কী-কী কিনলেন?
: অনেককিছু কিনছি। এর মধ্যে বাংলায় তরজমা করা আলিফ লায়লাও আছে।

: আচানক কারবার। কাঁচাবাজারে আপনে বই পাইলেন কেমনে?
: কাঁচাবাজার শেষ কইরা পাশের একটা লাইব্রেরি থেইকা...
: বুঝছি; কিন্তু ব্যাপার কী! এই বয়সে আলিফ লায়লা বগলে লইছেন; অসময়ে গাঙে আবার জোয়ার আসছে নাকি?
: জোয়ার-ভাটার বিষয় না রে ভাই! বইটা কিনছি অন্য একটা কারণে।
: কী কারণ?

: আলিফ লায়লা বইয়ে বাদশা হারুনর রশিদের ছদ্মবেশ নৈশভ্রমণ সম্পর্কিত কাহিনীর বর্ণনা আছে।
: তাতে কী হইছে?
: হারুনর রশিদের মতো আমিও ছদ্মবেশে নৈশভ্রমণে বাইর হওয়ার নিয়ত করছি। নগরপিতা হিসেবে নগরবাসীর বাস্তব অবস্থা নিজের চোখে অবলোকন করতে চাই।
: একলা একলা রাইতের বেলা রাজধানীতে ঘুইরা বেড়াবেন! যদি বিপদ হয়?

: একলা বাইর হব না; নৈশভ্রমণকালে বাদশার সঙ্গী হইতেন তার বিশ্বস্ত উজির জনাব জাফর। আমার সঙ্গেও সেই রকম একজন বিশ্বস্ত মানুষ থাকবে।
: ভাই, একটা কথা বলি?
: কী কথা?
: আমি কি কোনো দোষ করছি? আপনে আমারে সঙ্গে নেন। দুই ভাই এক সঙ্গে রাত্র নিশিকালে রাজধানীর এই মাথা থেইকা ওই মাথা পর্যন্ত গাড়িতে চইড়া ফরফরাইয়া ঘুইরা বেড়াব।

: গাড়িতে চড়বেন মানে? আপনে কি ভাবছেন, এইটা পিকনিক?
: তাইলে ব্যবস্থা কী?
: হাঁটাবাবা সাজতে হবে।
: হাঁটতে হাঁটতে রাজধানীর এক মাথা থেইকা আরেক মাথায় যাব?
: সমস্যা কী?
: কিন্তু পাজেরো না চালাইয়া পাজোড়া চালাইতে হইলে তো আমার খবর হইয়া যাবে।
: কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে...
: তা তো বুঝলাম। কিন্তু শরীরে না কুলাইলে কী করব! আইচ্ছা, এক কাজ করলে কেমন হয়?

: কী কাজ?
: যদি ঘোড়ার গাড়িতে চইড়া নৈশভ্রমণে বাইর হই?
: ধুরউ! আপনের মাথায় আসল জিনিসটাই ঢোকে নাই। শুরুতেই একটা কথা বলছি- ছদ্মবেশ। নৈশভ্রমণকালে পরিচয় গোপন রাখা জরুরি। গাড়ি-ঘোড়া লইয়া রাস্তায় বাইর হইলে পরিচয় গোপন থাকবে?
: না।
: ছদ্মবেশ ধারণের পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মানতে হবে।
: বলেন।

: নৈশভ্রমণ সম্পর্কে আগাম কোনো কথা বলা যাবে না। এমনকি নিজের স্ত্রীর কাছেও না। নিউজ ফাঁস হইয়া গেলে নৈশভ্রমণের কোনো আউটপুট আমরা পাব না।
: ভাই, আমাদের যাত্রা কোনখান থেইকা শুরু হবে?
: আমরা উত্তর হয়ে দক্ষিণে প্রবেশ করব। একটা স্টার্টিং পয়েন্ট থেইকা স্টার্ট কইরা সামনের দিকে অগ্রসর হব। আরেকটা কথা...
: বলেন।

: আমরা দুইজনেই ছদ্মনাম ধারণ করব। আমার নাম হবে উত্তরখান। আর আপনের নাম হবে দক্ষিণখান। খানে-খান; খান-খানান...
রাত ১২টার পর যাত্রা শুরুর পর কিছুদূর যাওয়ার পর উত্তর খান বললেন,
: ভাই দক্ষিণখান, ওই যে চায়ের দোকানের সামনে এক যুবকের হাতে ওষুধের বোতল দেখা যাইতেছে। ছেলেটার নিশ্চয়ই বড় রকমের কোনো অসুখ হয়েছে। তা না হলে হাতে অষুধের বোতল থাকবে কেন!

উত্তরখানের কথা শুনে দক্ষিণখান নিঃশব্দে হাসলেন। বললেন,
: ভাইজান, আপনার অনুমান সঠিক নয়। যুবকের হাতে যে বোতল শোভা পাইতেছে, তা কোনো ওষুধের বোতল নয়; ডাইলের বোতল।
দক্ষিণখানের কথায় অবাক হয়ে উত্তরখান বললেন,
: এক সময় দেশে ‘ডাল-ভাত’ কর্মসূচি চালু করেছিল সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাইল কি এখন বোতলজাত কইরা সরবরাহ করা হইতেছে?

: আরে না! বোতলে মুগ-মশুরি, মাষ কিংবা খেসারি ডাইলের কোনো অস্তিত্ব নাই। ওই বোতলে আছে ফেন্সিডিল, নেশাখোররা আদর কইরা যারে ডাইল নামে অভিহিত করে। নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের মূল হোতা নূর হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই ডাইল কর্মসূচি বাস্তবায়ন কইরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা রোজগার করত। রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ ডাইল বেচাকেনা হয়, তার বেশিরভাগই ঢুকে সামনের বাস টার্নিমাল দিয়া।

একটা ট্রাক থেকে মালামাল খালাস হচ্ছিল। দক্ষিণখানের উদ্দেশে উত্তরখান বললেন,
: চলেন তো দেখি, ট্রাক থেইকা কী নামানো হইতেছে!
দু’জন ট্রাকের সামনে গিয়ে দেখলেন, একজন কুলি বস্তা মাথায় নিয়ে একটা ছোট্ট ঘুপচি ঘরের দিকে যাচ্ছে। উত্তরখান কুলির উদ্দেশে বললেন,
: এই মিয়া, দাঁড়াও।
এসময় একটু দূরে চেয়ারে বসে থাকা এক লোক উঠে এসে বিনয়ের সঙ্গে বলল,
: স্যারের কি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেইকা আসছেন?
: না।

: তাইলে কি আপনেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী?
: না। আমরা পাবলিক। তোমাদের এই কাজটা যদি অন্যায় কোনো কাজ হয়, তাইলে সেই ব্যাপারে বাধা দেওয়ার অধিকার দেশের পাবলিকের আছে।
উত্তরখানের কথা শুনে ডানহাতের তালু দিয়ে নাক ঘষল লোকটা। তারপর একজনের নাম ধরে ডেকে বলল,
: রুবেইল্যা রে! এদিকে আয়, দেখ- এই নাটকির পুতেরা অধিকার ফলাইতে আইছে!

লোকটার কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুপচি ঘরের ভেতর থেকে কয়েকজন একসঙ্গে চিৎকার করে উঠল,
: ধর শালাদের...

অনেকটা পথ দৌড়ে একটা স্কুলের সামনে এসে থামলেন দুই নগরপাল। পেছনে এখন আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। নিজেদের নিরাপদ মনে হওয়ার পর তারা নিশ্চিন্ত মনে স্কুলের মাঠে প্রবেশ করলেন। উত্তর খান বললেন,
: খুবই আশ্চর্য হইলাম!
: কোন বিষয়ে?

: কিছুদিন আগে একজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বিদ্যালয়ের মাঠে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে বৃক্ষ রোপণ করা হইছিলো। আমি সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আজ এইখানে একটা গাছও দেখতেছি না! গাছগুলা গেল কোথায়?

: কিছু কলমজীবী আমাদের দেশরে সব সম্ভবের দেশ বইলা থাকে। তারা যে একেবারে মিথ্যা বলে না, বোধহয় সেইটা প্রমাণ করার জন্য গাছগুলা আচানকভাবে উধাও হইয়া গেছে।

বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুজির পর স্কুলের নাইটগার্ডকে পাওয়া গেল। তার নাম করম আলী। উত্তরখান করম আলীকে জিজ্ঞেস করলেন,
: ভাই করম আলী, কয়েকদিন আগে আপনাদের এই বিদ্যালয়ের মাঠে নানান জাতের গাছের চারা লাগানো হইছিলো না?

: জে, হইছিলো।
: গাছের চারাগুলা দেখতেছি না কেন?
: কেমনে দেখবেন! গাছের চারাগুলা যে নার্সারি থেইকা আনা হইছিলো, সেইখানে আবার ফেরত পাঠানো হইছে।
: মানে?
: বিবাহ উপলক্ষে মানুষ যেমন দোকান থেইকা শেরওয়ানি, পাগড়ি ভাড়া কইরা আনে, ঠিক তেমনি আমাদের স্যারেরাও একটা নার্সারি থেইকা গাছগুলা ভাড়া আনছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর নার্সারির লোকজন গাছগুলা ফেরত লইয়া গেছে।

বিষয়টা হজম করতে উত্তরখানের সময় লাগল। তিনি বিমর্ষ ভঙ্গিতে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন, এমন সময় হঠাৎ কী মনে হতেই দক্ষিণখানকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলেন,
: ইউরেকা! ইউরেকা!
: বিষয় কী?
: বিষয় মারাত্মক। আমি আসলেই একটা রামবোকা। জিনিসটা এতক্ষণ মনে ছিল না। এইমাত্র মনে পড়ছে।

: কী মনে পড়ছে?
: স্কুলের মাঠে কোনো গাছ না থাকলেও ক্ষতি নাই। গাছ লাগানো উৎসবের যে ভিডিও চিত্র ওইদিন ধারণ করা হইছিলো, সেইটার একটা ডিভিডি আমি সংগ্রহ কইরা রাখছি। কাজেই চিন্তার কোনো কারণ নাই।

একজন চিন্তামুক্ত হওয়ার পর অন্যজন ভারমুক্ত হতে ফুটপাতে উঠলেন। জল নিষ্কাশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তা ত্যাগ করতে যাবেন, এমন সময় সামনে অপরূপ সাজে সজ্জিতা এক নারীমূর্তি উদয় হলো। দক্ষিণখান প্রাণপণ চেষ্টায় ব্রেক কষলেন। নারী দক্ষিণখানের সামনে এসে বলল,

: এতক্ষণে তোমার আসার টাইম হইল? আমি সেই কখন থেইকা তোমার জন্য অপেক্ষা করতেছি!
: তুমি কে?
: আমি মমতাজ।
: কিন্তু আমি তো শাহজাহান না!
: সমস্যা নাই। আমার প্রেমদরিয়ায় ডুব দিলেই তুমি শাহজাহান হইয়া যাবা।

: তোমার কথা মানলাম। শাহজাহান হইতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবে তার আগে আমি জোরে একটা দৌড় দিতে চাই...
দক্ষিণখানকে প্রবল বেগে দৌড়াতে দেখে উত্তরখান জিজ্ঞেস করলেন,

 

: কী হইছে! পাগলের মতো দৌড় দিছেন কেন?
: এক নারীর হাত থেইকা বাঁচার জন্য।
: পুনরায় আশ্চর্য হইলাম! মানুষ নারীজাতিরে বুকের টাইন্যা নেওয়ার জন্য দুই হাত প্রসারিত কইরা রাখে। আর আপনে দৌড় দিছেন?
: ভাই, আর যাই বলেন; আমার ক্যারেক্টটার সার্টিফিকেটে লালকালির কোনো দাগ নাই।

দুই নগরপিতা হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে একটা পার্কে পৌঁছার পর এক জায়গায় বসলেন। এর একটু পরই মসজিদ থেকে ফজরের আজান ভেসে এলো। এসময় উত্তরখান বললেন,

: ভাই দক্ষিণখান, পিপাসায় কাতর হইছি। বলেন তো কী করি?
: এই সময় পানি পাবেন কোথায়?
: কোনো মসজিদে গেলে পাওয়া যাবে না?
: চেষ্টা কইরা দেখতে পারেন।
: চলেন যাই।
: ভাই, আমার শরীর ও মন দুইটাই অবসন্ন। আমি এই বেঞ্চে বইসা বিশ্রাম নিতে থাকি, আপনে পানি পান কইরা যদি সম্ভব হয়, আমার জন্যও আনবেন। প্লিজ...

উত্তরখান চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন তরুণ এসে দক্ষিণখানের চারপাশে দাঁড়াল। তাদের একজন বলল,
: মামা, আপনের কাছে একশ’ টাকার খুচরা হবে।
দক্ষিণখান পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে খুচরা টাকা তালাস করছেন, তরুণদের একজন ছো মেরে তার হাত থেকে মানিব্যাগটা নিয়ে বলল,

: বাহ! আপনের মানিব্যাগটা তো খুব সুন্দর। এইটা আমি নিয়া নিলাম।
এসময় পাশ থেকে অন্য এক তরুণ বলে উঠল,
: মামার গলায় দেখতেছি স্বর্ণের চেইনও আছে। আমার অনেকদিনের শখ, স্বর্ণের চেইন পরার। মামা, আপনের চেইনটা আমারে দিয়া দেন।
আরেক তরুণ বলল,

: মামার হাতঘড়িটা মনে হইতেছে খুবই দামি। ভাইগ্না হিসেবে আমি যদি এইটা আপনের হাত থেইকা খুইল্যা নেই, তাইলে কি খুব বেশি মাইন্ড করবেন?

সবশেষে এক তরুণ পোশাকের বায়না ধরল। এক খণ্ড বস্ত্র বাদে শরীরের বাকি সবকিছু হস্তগত করার পর তরুণরা বলল,
: মামা, আপনে আবার মনে করবেন না, আমরা ছিনতাইকারী। আমরা ছিনতাইকারী না। আপনেরে আমাদের পছন্দ হইছে, আপনের জিনিসগুলাও পছন্দ হইয়া গেল, সেইজন্য মামা-ভাইগ্নাদের মধ্যে সাধারণত যে ধরনের কারবার ঘটে, আমরাও খুশি মনে সেই কারবার ঘটাইলাম।

আপনে কিন্তু খুশি থাকবেন মামা। আমাদের ওপর বেজার হবেন না। আর একটা কথা, এর পরেরবার ফুর্তি করার জন্য যখন এই পার্কে আসবেন- শরীরে এত দামি জামা-কাপড় পরবেন না, সাধারণ পোশাক পরবেন। গলায় স্বর্ণের চেইন, হাতে দামি ঘড়ি আর মানিব্যাগে কড়কইড়া হাজার টাকা-পাঁচশ’ টাকার নোট রাখবেন না। সামান্য কিছু টাকা রাখবেন। পার্কে ফুর্তি করতে এত টাকা লাগে না। এইটা হইল রিকশাওয়ালাদের এরিয়া।

পানির বোতল হাতে উত্তরখান ফিরে এলেন। যে বেঞ্চটায় দক্ষিণ খান বসেছিলেন, সেখানে কাউকে না দেখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দক্ষিণখানের নাম ধরে চিৎকার করে উঠতেই পাশের জলাশয় থেকে মাথা তুলে কাঁপা-কাঁপা গলায় দক্ষিণ নগরপাল বললেন,
: ভাই, ভোর হইতে আর বেশি দেরি নাই। কান্নাকাটি পরে করলেও চলবে, আগে আমার জন্য কিছু কাপড়-চোপড় জোগাড় কইরা আনেন...

লেখক: সহকারী সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর।
[email protected]

এইচআর/জিকেএস