জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিই কি সমাধান?
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সরকার গতকাল ৫ আগস্ট মধ্যরাত থেকে দেশে সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করেছে। দাম বেড়েছে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রোলে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর একজন ক্রেতাকে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকায়, কেরোসিন ১১৪ টাকায়, অকটেন ১৩৫ টাকায় ও প্রতি লিটার পেট্রোল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে।
আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা। শুক্রবার রাত ১২টার পর এ দাম কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করেছিল সরকার। তবে সে সময় অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তেলের দাম পুনরায় বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের উপরে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে। আকস্মিকভাবে দেশে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি তেল ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলে ও দরিদ্র মানুষের জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে ভোগ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আরেকদফা বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে। আমাদের জানা যে, দেশের অধিকাংশ গণপরিবহন বিশেষ করে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও নৌযান ডিজেল চালিত। সুতরাং ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে পুনরায় সকল প্রকার গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই সড়কে বা মহাসড়কে পড়তে শুরু করেছে।
যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। অবশ্য ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া তাদের কোন উপায়ও নেই। দেশের প্রান্তিক জনপদের গরিব মানুষ ও চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরাই বলতে গেলে কেরোসিন তেল ব্যবহার করে। কেরোসিনের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি খেটে খাওয়া গবীর মানুষের জীবন মানের ব্যয় বৃদ্ধি করবে। তাদের চলমান অভাব ও দুঃখ কষ্টকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে। কেরোসিন ধনিক শ্রেণীর মানুষেরা মোটেই ব্যবহার করে না বা তাদের ব্যবহার করার প্রয়োজনও পড়ে না। তাই কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি জনদুর্ভোগ বাড়াবে।
কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। তাছাড়া কেরোসিনের এই মূল্যবৃদ্ধি দিন আনা দিন খাওয়া গরিব শ্রেণির মানুষদের জীবনমান কে আরো নিম্নমুখী করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যে কোন সংকটকালে কৃষিখাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মহামারি করোনা কালে দেশের কৃষিখাত অনেকটা ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে জ্বালানি তেলের দামসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের কৃষিজপণ্য উৎপাদনে সর্বাধিক পরিমাণের ডিজেল ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি কৃষিজপণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেচের জন্য ব্যবহৃত অধিকাংশ যন্ত্র ডিজেল চালিত। কয়েক মাস পরেই বোরো মৌসুম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বোরো চাষের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। এমনিতেই বর্তমানে চাল-ডালসহ নিত্যব্যবহৃত প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম নিম্ম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষের আয় না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এই পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে দিতে পারে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্নআয়ের মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পাবে।
আমরা জানি করোনাকালে বহু মানুষ চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই পেশা বদল করেছে। তাদের কেউ কেউ আবার কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এখন ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বিকাশমান কৃষিখাতকে বড় ধরনের একটি সংকটের মধ্যে ফেলে দিবে। আমাদের দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের ওপরে অনেকটা নির্ভরশীল। গ্যাসের অপ্রতুলতা বিদ্যুৎ এবং ডিজেলের উপর নির্ভরশীলতাকে অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছে। সুতরাং জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি বিদ্যমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাত্রাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পপণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাবে।
কর্মহারা মানুষগুলো বিকল্প কর্মের সন্ধানে দিশেহারা। করোনার ফলে দেশে উল্লেখ করার মত কোন বিনিয়োগ হয়নি। বহু প্রবাসী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তাদের সবাইকে পুনরায় কর্মস্থলে ফেরানো যায়নি। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন সঙ্কটের সময় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
এমনিতে গত দু'বছরে মানুষের আয় না বাড়লেও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যয় বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখি। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ম আয়ের মানুষকে জীপনযাপনের ব্যয় মিটাতে হিমসিম খেতে হবে। দেশের অধিকাংশ নৌযান ডিজেল চালিত। ফলে নৌ-পথে চলাচলকারী লঞ্চ ও স্টিমারের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। ফলে যাত্রীদের ওপরও বাড়তি খরচের চাপ পড়বে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের কৃষি অর্থনীতি ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকার বা সংশ্লিষ্টরা এর নেতিবাচক দিক বিবেচনা করে দেখেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিত করেই জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আমাদের দেশের অর্থনীতি এখনো অনেকটা কৃষিনির্ভর। কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি কোন সুখকর বিষয় নয়, হতে পারে না। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দু'দুবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কপালে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। এদিকে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যয়ও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। মোটা দাগে বলতে গেলে জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।
মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যাতাযাতের জন্য মানুষকে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হবে। সার্বিক বিচারে জনগণের জীবনমানের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। সরকার নিশ্চয় বিষয়টি ভেবে দেখবে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি এমুহূর্তে কিছুটা চাপে। চাপ সামাল দিতে লোডশেডিং, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস, তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার চাপ সামাল দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ (৭.৫৬ শতাংশ)। রপ্তানি আয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে স্বস্তিদায়ক সংবাদ থাকলেও রপ্তানি পণ্যের ক্রয়াদেশ কমে গেছে।
ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কার্যকরে বিলম্ব করতে বলেছে। দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কর জিডিপি অনুপাত দীর্ঘদিন ধরে ১০ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আমদানি ব্যয় মিটাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এমনিতেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখি ধারা মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে দিনদিন সংকুচিত করে দিচ্ছে। অনেক পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দেশে নতুন কর্মসংস্থান যে খুব একটা বেশি সৃষ্টি হয়েছে সেটিও বলা যাবে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ মোটেই সন্তোষজনক নয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের অভাব, আর্থিক সেক্টরের অনিয়ম-দুর্নীতি, টাকা পাচার, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে অনেকটা সমালোচনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, ইতিমধ্যেই নতুন করে আরো দশটি প্রাইভেট ব্যাংককে তাদের সার্বিক অর্থনৈতিক সূচক বিবেচনায় দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শেয়ারবাজারের টালমাটাল অবস্থায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুনরায় পুঁজি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। যদিও গতমাসে আমদানি ব্যয় খানিকটা কমেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক ধারা বিদ্যমান। তবে গতমাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে খানিকটা গতির সঞ্চার হয়েছে।
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য নতুন নতুন বাজার তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। করোনাকালে অধিক সংখ্যক মানুষ চাকুরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের সবাইকে নতুন করে বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয় বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই জরুরি। তবে এক্ষেত্রে দালাল বা সিন্ডিকেট চক্র যেন মানুষের পকেট কাটতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা না করে শুধু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে মনে হয় না। দেশে যে হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ আয়ের সাথে বাজার দরের সমন্বয় করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি গ্রামীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং উৎপাদনমুখি শিল্প-কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে যখন ডিজেল চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে যেখানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তখন নতুন করে জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি সার্বিক বিচারে দেশের অর্থনীতির উপরে আরেকটি বড় ধরনের নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি করবে। দেশে কর জিডিপির হার বৃদ্ধি করা না গেলে উন্নয়নসহ সরকারের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। নতুন নতুন করদাতা চিহ্নিত করতে হবে। আয় বাড়াতে হবে। কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে ভূর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ কমাতে হবে। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা ও সুবিধা ভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। আশা করি সরকার জনগণের কষ্টের কথা মাথায় রেখে দফায় দফায় তেল গ্যাস, বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি না করে জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করে নিবে।
লেখক: আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]
এইচআর/জেআইএম