প্রযুক্তির বরপুত্রের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
আমাদের অনেকের অজান্তে বদলে গেছে দেশের প্রযুক্তি তথা যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো। ডিজিটাল বাংলাদেশের অবয়ব কী, এখন আর কাউকে বোঝাতে হয় না। হাতের মোবাইলের বাটনে এখন গোটা বিশ্ব, বিশ্ব যোগাযোগ আর গতিময় জীবনযাপনের পথনকশা। আমাদের আইসিটি সেক্টরে যে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে তার প্রমাণ করোনাকালে অব্যাহত অনলাইনভিত্তিক যোগাযোগব্যবস্থা।
বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে, অর্জন করছে সক্ষমতা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার অমিত অর্জন ও সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি ও অর্জনের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর বিচক্ষণ, সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব এবং জনমানুষের সাগরসম ভালোবাসা ও আস্থাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের নেপথ্য শক্তি।
বঙ্গবন্ধু আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীন মানচিত্র, সার্বভৌম পতাকা। তিনি আমাদের স্বাধীনতার রোল মডেল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন উন্নয়ন ও অর্জনের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি। তিনি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। আর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার স্বপ্ন এগিয়ে বাস্তবে রূপ দিতে যিনি বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় দেখিয়ে যাচ্ছেন বিস্ময়কর সাফল্য, লাখ লাখ তরুণের প্রাণে বপন করে চলেছেন স্বপ্নজয়ের বীজ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যিনি নেপথ্য কারিগর তিনি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন এবং জীবিকার অধিকারী সজীব ওয়াজেদ জয় অনন্য একজন। সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটের আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক শিশু। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় দৌহিত্রের নাম রাখেন জয়।
দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।
জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয় তাকে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।
২০১৪ সালে দায়িত্ব নেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন তিনি। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধনসহ অনলাইনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনন্য। যার সুফল আজ ভোগ করছে কোটি বাঙালি। কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থমকে গেলেও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পেয়েছে বাড়তি সুবিধা।
সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে চলেছে বাংলাদেশ। যার নেতৃত্বে থাকবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর তাই তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বেই।
শ্রমনির্ভর অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলতে জাতীয় পর্যায়ে চলমান কর্ম-প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দুতে সজীব ওয়াজেদ জয়। যার নেতৃত্বে দেশের উত্তরণ ঘটেছে অফলাইন থেকে অনলাইনে। প্রযুক্তির বরপুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের এই রূপকারের হাত ধরেই আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাবে তারুণ্য।
প্রযুক্তির পরিবর্তনের হাওয়ায় বদলে গেছে আয় ও কর্মসংস্থানের গতানুগতিক ধারা। যেসব তরুণ একসময় হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজেছে, তারা এখন অন্যকে চাকরি দেয়। দেশের লাখ লাখ তরুণ এখন ঘরে বসে আয় করছে। প্রতিযোগিতা করছে গোটা বিশ্বের সঙ্গে। শুধু একটি ল্যাপটপ আর একটি সংযোগ, সঙ্গে তারুণ্যের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। অযুত-নিযুত তরুণপ্রাণে এ সতত স্বপ্ন বুনে চলেছেন স্বপ্নবান সজীব ওয়াজেদ। টেকবিশ্বের নতুন নতুন উন্নয়ন ধারণা, প্রযুক্তি আর কনটেন্ট এখন এ দেশের তরুণদের আঙুলের ডগায়। এ মেধাবী তারুণ্যের হাত ধরেই সমৃদ্ধির সোনালি সোপানে পৌঁছবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
লেখক: সাংবাদিক।
এইচআর/ফারুক/জেআইএম