ভূরাজনীতি: পাকিস্তান-ইসরায়েল সম্পর্ক
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি অনেকটাই যেন স্ববিরোধী। সে একইসাথে সেক্যুলার, একইসাথে মৌলবাদ। একইসাথে দেশপ্রেমী আবার একইসাথে বিদেশি হস্তক্ষেপপ্রত্যাশী। একটু পাকিস্তানের হিসাবটা মেলানো যাক। দেশটির জন্ম যে কেবল ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছে তাই নয়, এই ধর্মীয় ঢাল আর ভারত বিরোধিতা দেশটির রাজনীতির একটি বড় অঙ্গ। ফলে ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান’ এর ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি বড় অবকাশ থেকেই যায়।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানটা এরকম – ১. দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্ব তথা প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েলকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় পাকিস্তান, ২. কেবল প্যালেস্টাইনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেই ইসরায়েলকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে মেনে নেওয়া হবে, ৩. কেবল প্যালেস্টাইনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দিলেই হবে না, সেই সাথে পূর্ব জেরুজালেমকে প্যালেস্টাইনের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে হবে এবং ৪. ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তরেখা মেনে চলতে হবে।
আপাত দৃষ্টিতে ইসলামাবাদের এমন অবস্থান বেশ কঠোর মনে হতে পারে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যারা পাকিস্তানে বসবাস করেন এমন মুসলিম, সেই সাথে ভারত এবং বাংলাদেশেরও অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমের কাছে পাকিস্তানের এই অবস্থান দেশটির প্রতি একটি প্রচ্ছন্ন শ্রদ্ধাবোধের জন্ম দেয়। দেখার বিষয়, এই ‘শ্রদ্ধাবোধ’ বিষয়টিই আসলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এবং ভূরাজনীতির একটি হাতিয়ার কি না। একটু খতিয়ে দেখা যাক।
সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ এবং জর্দানে সংঘটিত ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর সংঘাতের সময় পাকিস্তান– ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ গোপন সমন্বয় এবং সহযোগিতার একাধিক উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় ইতোমধ্যে লেখা হয়ে গেছে। তুরস্কের আঙ্কারা এবং ইস্তাম্বুলে অবস্থিত দুই দেশেরই কূটনৈতিক মিশন প্রায় নিয়মিত ভাবেই নানা ‘ভাবের’ আদান প্রদান করে। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত প্রাচীন সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে পরিষ্কার করেই বলা হয়, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স– আইএসআই, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য তাদের আঙ্কারায় অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছে হস্তান্তর করে।
এই ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি’ ছিল ভারতের মুম্বাইয়ের একটি ইহুদি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সম্ভাব্য হামলা প্রসঙ্গে। খবরটি ডন প্রকাশ করলেও এ বিষয়টি প্রথম ফাঁস করে উইকিলিকস। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার আক্রমণের পরপরই এ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। অর্থাৎ নিজ দেশের সংগঠন চিরশত্রু আরেক দেশে হামলা চালাচ্ছে জেনেও সেটি বেশ হৃষ্টচিত্তে বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে ‘মুসলিম জনগোষ্ঠীর বন্ধু নয়’ এমন দেশটির কাছে রীতিমতো রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা পর্যায়ে তথ্য দিয়ে জানিয়েছে।
আরেকটু পূর্বে চোখ ফেরানো যাক। আশির দশকের শুরুর মুহূর্ত। শীতল যুদ্ধে বিশ্ব তখন মোটাদাগে দুই ভাগ। অমন সময়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক আইএসআইকে মোসাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের নির্দেশ দেন। এরপরই দুই দেশেরই ওয়াশিংটন দূতাবাসে গোয়েন্দা কার্যালয় গড়ে তোলা হয়। শুরু হয় ভূরাজনীতির নতুন খেলা।
‘মুসলিম সেন্টমেন্ট’ আর ‘ইহুদি বিদ্বেষ’র জায়গায় পুনঃস্থাপিত হলো আঞ্চলিক শক্তি প্রদর্শন আর প্রমাণের খেলা; তবে পুরোটাই গোপনে, আসল রূপ প্রকাশ পেলে যে ‘সাড়ে-সব্বেনাশ’। যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপিত দুই দেশের গোয়েন্দারা যুক্তরাজ্যের এমআইসিক্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএর সাথে মিলেমিশে এক যুগ ধরে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী অপারেশন পরিচালনা করেছে। এর সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন সাইক্লোন’।
এই অপারেশনে পাকিস্তান– ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতা ছিল দারুণ রকমের বেশি। এসময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী গোপনে সোভিয়েত সামরিক আকাশযান ভূপাতিত করেছে আফগান গেরিলাদের ছদ্মবেশে। আর সত্যিকারের গেরিলাদের সরবরাহ করেছে অর্থ এবং অস্ত্র– দুটোই। বিনিময়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে পেয়েছে দেশটির সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র এবং নানা সহায়তা।
২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস, ইনোভেশন অ্যান্ড স্কিলস জানায় ইসরায়েল ‘তাদের না মানা’ রাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক প্রযুক্তি রপ্তানি করেছে।
পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডেইলি জং। এর একাধিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে, পাকিস্তানের বহু শীর্ষ নেতা এবং প্রতিনিধির ইসরায়েল সফরের খবর। দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরি সরাসরিই পাকিস্তান এবং ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়ে গেছেন। দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের অবস্থানও এ বিষয়ে ছিল খোলামেলা। মোশাররফ ছিলেন প্রথম পাকিস্তানি যাকে ইসরায়েলের শীর্ষ সংবাদপত্র হাটর্জ -এ সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায়।
২০১৮ সালে মোটামুটি বিশ্বের প্রায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতে বলা হয়, পাকিস্তানে এক দিনের জন্য একটি ইসরায়েলি যাত্রীবাহী বিমান অবতরণ করেছে। মোটামুটি এমন একটি ধারণা ছড়িয়ে পরে যে ইসরায়েলের কূটনীতিকদের একটি গোপন কিন্তু আনুষ্ঠানিক মিশন ছিল এটি পাকিস্তানে। সেসময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ইমরান খান। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ নিজেই গত মে মাসে জানিয়েছেন, ১৭ সদস্যের একটি পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল ইমরানের আমলেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। কিন্তু পাকিস্তানের দ্বিচারিতার বিষয়টি এখানেই যে বিষয়গুলো স্বীকার করার মতো নৈতিক অবস্থানে তারা নেই।
খোদ ইমরান খান নিজেই মন্তব্য করেছেন, ইসরায়েল, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ২৮ মে খাইবার পাখতুনখাওয়ার চরসাদ্দায় তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের সম্মেলনে দলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে। তাই তারা সাক্ষাৎ করেছে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। যদিও পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, ‘সরকারি বা আধাসরকারি কোনো প্রতিনিধি দল ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি।’
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ইমরান খান অভিযোগ করে চলেছেন, তার সরকারকে হঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ভারত ও ইসরায়েল। অথচ বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট, জনগণকে অন্ধকারে রেখে তিনিই ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ২১ মে জিও টিভির এক প্রতিবেদনে ইসরায়েল সফরের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য তথা আমেরিকান মুসলিম ও মাল্টিফেইথ উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট কাউন্সিলের নেত্রী আনিলা আলীও ফাঁস করে দিয়েছেন ইমরানদের গোপন সম্পর্কের কথা।
তিনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের সঙ্গে দুজন ইহুদি পাকিস্তানির ইসরায়েল সফরের অনুমতি মেলায় প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসলমাবাদকে। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি পাসপোর্টে বেনখাল্ড নামে এক পাকিস্তানি ইহুদি ‘ইহুদি’ হিসেবেই ইসরায়েল সফরের অনুমতি পেয়েছিলেন। এজন্য আনিলা ইমরানকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সামাজিক গণমাধ্যমে।
ইমরান খান নিজের সরকার বাঁচানোর তাগিদেই গোপনে ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশের সাহায্য নিয়েছিলেন। জমিয়ত উলেমা ইসলাম (ফজলুর) ও পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) বহু আগেই এই অভিযোগ তুলেছিল। ইমরানের বিরুদ্ধে ইহুদি বা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এখন তিনি অবশ্য ইসরায়েলের সমালোচনা করে নিজেকে ইহুদিবিরোধী হিসাবে প্রমাণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে স্যার জেমস গোল্ডস্মিথের কন্যা জেমিমাকে বিয়ে করার পর থেকেই ইমরানের গায়ে ‘ইহুদিদের দালাল’ তকমা লেগে যায়। গত বছরও করাচিতে ইসরায়েলবিরোধী জনসভায় ফজলুর রহমান অভিযোগ করেছিলেন, ইমরান খানের পাকিস্তান সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজনীতিতে প্রবেশের সময় থেকেই ইমরান নিজেকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে ভাব রাখলেও তাই সেটি গোপন করে রাখার তাগিদ ছিল তার। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সোচ্চার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান নিজেকে কলঙ্কমুক্ত রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অথচ গত বছরই সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি পাকিস্তানে ইমরানের শাসনে ইসরায়েলের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হন। ইহুদিরাই অর্থনৈতিক কারণে পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এখন পিটিআইয়ের সম্মেলনে নিজের ভাষণে হুবহু একই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে ইমরান খানের গলায়। শুধু ইসরায়েলের সমালোচনাই নয়, ইমরানের ভাষণে উঠে আসছে ভারত বিদ্বেষও। তার আশঙ্কা, বর্তমান পাকিস্তান সরকার কাশ্মিরের জনগণের বিনিময়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হতে পারে। ইমরান বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বর্তমান সরকার বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত। তার সরকারের পতনে ভারত খুশি হয়েছিল বলে মন্তব্য করে অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের দায় দিল্লির কাঁধে চাপানোরও চেষ্টা মরিয়া চেষ্টা করেন তিনি। সেই সঙ্গে ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষকে উসকে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরান খান।
জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, পাকিস্তানকে নাকি টুকরো টুকরো করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ইসরায়েল। অথচ ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি নিজেই ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সখ্য বজায় রেখেছিলেন। এখন মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য ইহুদি বিদ্বেষকে হাতিয়ার করতে চান গদিচ্যুত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন ওঠে, গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কি তাহলে ইসরায়েল নিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চাইছেন?
অবশ্য শুধু ইমরান খান একা নন, পাকিস্তানে ইসরায়েল নিয়ে দ্বিচারিতা অন্যদের মধ্যেও একইরকম বিদ্যমান। গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠক করলেও অনেকেই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনায় মগ্ন। ফজলুর রহমানের জেইউআইসহ (এফ) থেকে শুরু করে বহু সংগঠনই অন্য দেশে গিয়ে ইহুদিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে প্রকাশ্যে তারা ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা চালিয়ে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সহ বহু মুসলিম-প্রধান দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে এখন বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক স্থাপনে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রকাশ্যেই। শুরু হয়েছে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যোগাযোগ। কিন্তু পাকিস্তানে দ্বিচারিতা থেকে বেরিয়ে আসার কোনো লক্ষণ নেই। জনগণের ধর্মীয় আবেগকে উসকে দিয়ে মৌলবাদীদের মতো সরকারও ব্যস্ত প্রকাশ্যে ইসরায়েলের বিরোধিতায়। যদিও গোপনে দল ও ব্যক্তিস্বার্থে তাদেরও যোগাযোগ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে।
লেখক: সাংবাদিক।
এইচআর/ফারুক/জেআইএম