ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কুসিকের চেয়ে ভালো নির্বাচন আর সম্ভব কি?

বিভুরঞ্জন সরকার | প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২১ জুন ২০২২

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কু-এ ধরেছিল। ২০১২ এবং ২০১৭ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় কেউ কেউ মনে করছিলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর না হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে কুমিল্লা সিটিতে জয় পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু গত ১৫ জুন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জয়লাভ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটে গেছে?

কুমিল্লার রাজনীতি সম্পর্কে যারা খোঁজখবর রাখেন তারা বলছেন, না, কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ এখনো স্পষ্ট দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগের নেতৃত্ব দেন আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তিনি সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বলা হয় কুমিল্লা নাকি চলে তার নির্দেশে। তার প্রতিপক্ষ আফজল খান। তিনি আর জীবিত নেই, তার হয়ে লড়ছেন নারী সংসদ সদস্য ও আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সীমা আগের বার সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। বিরোধ মীমাংসা না হলেও এবার আওয়ামী লীগ তাহলে জিতলো কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিরোধ কাটাকাটি হয়েছে বিএনপির কোন্দলে।

তার মানে, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরের বিরোধ প্রকাশ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখছে। একদলের বিরোধ আরেক দলের জন্য সুবিধা এনে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরোধ সুযোগ করে দেয় বিএনপিকে আবার বিএনপির বিরোধ সুবিধা করে দেয় আওয়ামী লীগের। যেমন- আগের দুই নির্বাচনে বাহার-আফজল বিরোধের ফাঁকে জয় পেয়েছেন বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু। এবার বিএনপির বিরোধের জন্য জয় পেলেন আওয়ামী লীগের রিফাত। এজন্যই কি আমাদের দেশে বড় দুটি দলের অভ্যন্তরীণ গোলমাল না মিটিয়ে জিইয়ে রাখা হয়? এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিবিষয়ক কোনো গবেষক গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করতে পারেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে এবার নানা কারণে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমছে না বাড়ছে সেটা দেখার আগ্রহ ছিল। দেখার আগ্রহ ছিল নতুন নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা।

ভোট নিয়ে ভোটারদের মনোভাবও দেখার বিষয় ছিল। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এসব ‘দেখা’র বিষয়গুলো কতটুকু ‘আপ টু দ্য মার্ক’ হয়েছে, তা বলা যাবে না। তবে সাধারণভাবে এটা বলা যায়, যেহেতু আওয়ামী লীগ জিতেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে, সেটা বলা যাবে না। তবে চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলোও স্পষ্ট হয়েছে।

অনেক দিন পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও কুমিল্লায় ভোটের মাঠে ছিল এবং ভালোভাবেই ছিল। তবে দলীয় প্রতীক থাকলে বিষয়টি যতটা জমজমাট হয়, স্বতন্ত্র হলে তা আর হয় না।

এবার কুমিল্লার আগের তিনটি নির্বাচনের রেকর্ড একটু দেখে নেওয়া যাক। ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। এরপর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আফজল খানকে তিনি ২৯ হাজার ১০৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেন মনিরুল হক সাক্কু। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানার বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন ১১ হাজার ৮৫ ভোটের ব্যবধানে। তবে এবার আর হ্যাটট্রিক করা হলো না মনিরুল হক সাক্কুর। কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটে নৌকার প্রার্থীর কাছে সাক্কুর পরাজয়ের কারণ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা। দেখা যাচ্ছে মেয়র পদে যত ভোটে জিতেছেন, দ্বিতীয়বার ভোটের ব্যবধান কমেছে। এবার হেরেছেনও সামান্য ভোটে। দায়িত্বে থাকলেই জনপ্রিয়তা কমে বলে যে ধারণা প্রচলিত সব সময় তা যে ঠিক নয়, সাক্কু কি তার প্রমাণ নন?

এবার সাক্কুর হার ও রিফাতের বিজয়ের পেছনে যে কারণগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে সেগুলো হলো- সাক্কুর নিজ দলের আরেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার এবার প্রার্থী হয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৯৯ ভোট। নির্বাচনী মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পাশাপাশি সাক্কুকে লড়তে হয়েছে কায়সারের সঙ্গেও। বিএনপির ভোট দুই ভাগ হয়ে যাওয়ায় মূলত সাক্কুর পরাজয়। দুজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে সেই ভোট দুজনের বাক্সে ভাগ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোট এভাবে ভাগ না হলে অধিকাংশ ভোট যেত সাক্কুর বাক্সে। সে ক্ষেত্রে তার পাওয়া ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোটের সঙ্গে আরও ভোট যুক্ত হতো।

কুমিল্লায় প্রচার আছে, সারাদেশ চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; আর কুমিল্লা চলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নেতৃত্বে। তার কথার বাইরে কুমিল্লায় কোনো কথা চলে না। এর আগে দুবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজ দলের প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে সাক্কুকে জিতিয়েছেন তিনি। সাক্কুর মাথায় ছিল বাহারের আশীর্বাদের হাত। এবার আশীর্বাদের হাত বদল হয়ে যায় রিফাতের মাথায়। তাই জয়ের মালাও রিফাতের। ফলে কপাল পুড়ে সাক্কুর।

কুমিল্লা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গৃহদাহ অনেক পুরোনো। এবারের নির্বাচনেও শুরুর দিকে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ ছিল নীরব-নিষ্ক্রিয়। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে সবাই নৌকার পক্ষে দায়সারাভাবে মাঠে নামলেও বাহারবিরোধী গ্রুপের আন্তরিকতার ঘাটতির জন্য রিফাত মারজিনাল ভোটে জয় পেয়েছেন।

ইভিএমের ভোটে অনেক ধীরগতি ছিল। এই অভিযোগ প্রতিটি প্রার্থীই করেছেন। অনেক ভোটার ভোট না দিয়ে ফেরত গেছেন, যার বেশির ভাগই সাক্কুর ভোটার ছিলেন বলে মনে করা হয়। দুবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাক্কুর বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে ব্যর্থতা, নতুন ভোটারদের কাছে টানতে না পারা তার পরাজয়ের কারণের তালিকায় আছে।

এছাড়া সাক্কুর পরাজয়ের অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে নিজের পক্ষের ঘনিষ্ঠ নেতাদের প্রকাশ্যে মাঠে না নামাতে পারা, সাংগঠনিক ব্যর্থতা, ভোটকেন্দ্রে কমসংখ্যক কর্মী থাকা, কোথাও কোথাও এজেন্ট না থাকা, নির্বাচনী প্রচারণায় কিছুটা পিছিয়ে থাকা, দলীয় সমর্থন না পাওয়ার মতো বিষয়। নির্বাচনে ফল ঘোষণার শেষ সময়ে এসে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রিফাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কুর সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।

ফল ঘোষণার আগে দুই প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার গুজব ছড়িয়ে এ হট্টগোল হয়।এ হট্টগোলের কারণে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। পরে রিফাতকে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। সাক্কুর চেয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী দেখানো হয়েছে তাকে। সাক্কু ও তার সমর্থকদের দাবি, পরিকল্পিত ঘটনার মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পরই তা প্রত্যাখ্যান করে সাক্কু বলেছেন, নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। তার ফল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে গেছে- এমন অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ভোটগ্রহণ চলাকালে বৃষ্টি হয়েছে, বিদ্যুৎ চলে যায়। এছাড়া চারটি কেন্দ্রের ফল আসতে দেরি হয়েছে। এ কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ফল তৈরিতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি দুই পক্ষের নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ফলাফল ঘোষণায় দেরি হয়েছে। তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার একপর্যায়ে সেখানে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও তার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। পরে সেখানে আরেকজন মেয়র প্রার্থীর অনুসারীরাও চলে আসেন। স্লোগানের কারণে কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না। এসব কারণেই মূলত ফলাফল ঘোষণা বিলম্ব হয়েছে।

রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। এরপর ফলাফল ঘোষণায় কিছুটা দেরি হচ্ছিল। একপর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইকে ঘোষণা করেন, চারটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা বাকি। এসব কেন্দ্রের ফলাফল তার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তার এ ঘোষণার পর মিলনায়তনে উপস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর অনুসারীরা হইচই শুরু করেন, স্লোগান দেন। তারা এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। রিটার্নিং কর্মকর্তা আশ্বাস দেন, মেয়র প্রার্থীর ফলই আগে ঘোষণা করা হবে।

এরপরই ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে উপস্থিত হন গত দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। দর্শক সারিতে বসা সাক্কুকে ঘিরে তখন ফটোসেশন করতে ভিড় করেন অনেকেই। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে নৌকার স্লোগান দিয়ে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে আসে একদল তরুণ। এরপর রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুই মেয়রের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়। এ উত্তেজনা আশপাশের রাস্তায়ও ছড়িয়ে পড়ে। ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মিলনায়তনের সামনে নৌকার হাজারো সমর্থক রাস্তা দখল করে স্লোগান দিতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বাকি থাকা চারটি কেন্দ্রের ফল আলাদা করে ঘোষণা না করে সাড়ে ৯টার দিকে মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ফলাফল একসঙ্গে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে ৩৪৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

ফল পাল্টানোর যে অভিযোগ সাক্কু করেছেন সে সম্পর্কে পরে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ভোট শেষে চারটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারচুপি করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট গণনার পর তা ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। সেই রেজাল্ট শিটে প্রার্থীর এজেন্টদের স্বাক্ষর থাকে। তাদের উপস্থিতিতেই কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার। একটা কপি তাদের দেন।

একটা মালপত্রসহ পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে। আরেকটা কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে থাকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা শুধু একীভূত করেন। তার কাজ হলো কেবল পড়ে শোনানো। তাহলে তিনি কীভাবে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করবেন? রিটার্নিং অফিসার কেবল বেসরকারি ফলাফলে যোগ-বিয়োগ ঠিক আছে কি না, স্বাক্ষর আছে কি না, ইভিএমের সঙ্গে মিল আছে কি না দেখেন। এরপর আমাদের কাছে পাঠান। আমরা গেজেট প্রকাশের আগে দেখি, সেখানে ভুল থাকলে আমরা আবার ফেরত পাঠাই। রিটার্নিং অফিসারের কাছে রেজাল্ট হেরফের করার সুযোগ নেই। কারণ প্রার্থীর এজেন্টদের কাছে কপি আছে। এরপরও কারও সন্দেহ থাকলে ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। কোনো সন্দেহ থাকলে পাসওয়ার্ড দিয়ে ইভিএম খুলে দেখা যাবে।

অনেকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপপ্রচার চালায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০৫টি কেন্দ্রের রেজাল্টই ঠিক আছে।

সারাদিন উৎসবমুখর ও অভিযোগমুক্ত পরিবেশে নির্বাচন হলেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ মুহূর্তে এসে মানুষের মনে কিছু খটকা তৈরি করেছে। কিন্তু এর চেয়ে ভালো বা সুন্দর নির্বাচন দেশের বর্তমান বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসাময় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত করা সম্ভব কি?

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট।

এইচআর/ফারুক/জিকেএস

আরও পড়ুন