কলম্বোয় ঝড়, ঢাকা-দিল্লিতে সতর্ক সংকেত
ক্ষমতার লিপ্সা এতো যে, পিটিয়ে না নামানো পর্যন্ত চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়ে থাকতে চায় আমাদের অঞ্চলের শাসকরা। শ্রীলঙ্কার সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যথাসময়ে বিদায় নিলে তার এবং দেশটির পরিণতি হয়তো ভিন্ন হতো।
২০০৫ সালে ছয় বছর মেয়াদে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কখনো রাষ্ট্রপতি, কখনো প্রধানমন্ত্রী, কখনো সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা- এভাবেই ক্ষমতা ভোগ করে আসছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। নানা সময়ে তার জোট সরকারকে নিয়ে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে, নিজের দল ভেঙেছেন তিনি, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর তার ছোট ভাই গোটাবায়া রাজাপাকসে আবার তাকে প্রধানমন্ত্রী বানান। এর ক’দিন আগে গোটাবায়া নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
রাজাপাকসের সরকারের ব্যর্থ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছিল অনেক দিন ধরে। কারফিউ সত্ত্বেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বেড়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং গত ৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ব্যতীত ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। দক্ষিণ এশীয় ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের মুখে যারা পদত্যাগ করেছিলেন তাদের মধ্যে শক্তিশালী রাজাপাকসে পরিবারের আরও তিন সদস্য ছিলেন। এরা হচ্ছেন রাজাপাকসের কনিষ্ঠ ভাই অর্থমন্ত্রী বাসিল, সবচেয়ে বড় ভাই কৃষিমন্ত্রী চামাল এবং পরিবারের সন্তান ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল।
লক্ষ্য করুন দেশ শাসনে রাজাপাকসের পরিবার কীভাবে পরিবারতন্ত্র চালু করেছিল। তাই মাথা টিকে থাকলে শাখা-প্রশাখার পদত্যাগে কিছু আসে যায় না বলে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভ থামেনি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসা রাজাপাকসে পরিবারের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার লোক কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভে অংশ নেয়। মাহিন্দ্রা এবং গোটাবায়া ভ্রাতৃদ্বয় পদত্যাগ না করায় দেশটি বিশ্ব শিরোনামে চলে আসে। এর মধ্যে গত ৩ মে বিরোধীদলীয় নেতারা রাজাপাকসে এবং তার মন্ত্রিসভাকে লক্ষ্য করে একটি অনাস্থা প্রস্তাবের ঘোষণা দেয়।
কলম্বোতে নাগরিক অস্থিরতা সহিংস রূপ ধারণ করে এবং দ্বীপরাষ্ট্রের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় সংকট আরও খারাপ হয়ে পড়ে। ৯ মে সোমবার, রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে এবং একটি জাতীয় ঐক্য সরকারের সম্ভাবনা অন্বেষণের লক্ষ্যে তার ভাই মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাহিন্দার অনুগামীরা পূর্বের দিকে এগিয়ে যায় এবং পুলিশের সামনে গালে ফেস-এ নাগরিক বিক্ষোভের জায়গায় আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশোধ আসে। বেসামরিক ব্যক্তিরা, যারা তাদের বিক্ষোভে প্রশংসনীয়ভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল, তারা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ায় এবং পরে বাড়িঘর ও স্থাপনা জ্বালিয়ে দেয়।
হাম্বানটোটার কাছে রাজাপাকসেদের পারিবারিক বাড়ি—এখন পার্টি অফিস— আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মাহিন্দা এবং পরিবারকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে পালাতে বাধ্য করা হয়। ৯ মে থেকে সহিংসতায় শাসক দলের একজন সাংসদসহ সাতজন মারা যান এবং ২০০ জন আহত হন কারণ বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি গোটাবায়ার পদত্যাগ দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিভক্তবিরোধী দল গোটাবায়ার আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে। সজিথ প্রেমাদাসার নেতৃত্বাধীন বৃহত্তম বিরোধী দল সামগী জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) চায় বিরোধী দল সরকারকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বের করে দিতে, বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে এবং নির্বাহী রাষ্ট্রপতির পদ বাতিল করতে। এই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এই আন্দোলনের ঘটনায় রাজাপাকসেদের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের মাত্রা ও তীব্রতা অনুভব করা যায়। প্রকৃতপক্ষে, রাজাপাকসেরা শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। পুঞ্জীভূত বিদেশী ঋণ, সম্পদের অব্যবস্থাপনা, ভোটের রাজনীতির জন্য জনদরদী নীতি এই সংকট তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। ফলে খাদ্যশস্য, ওষুধ, দুধের গুঁড়া এবং রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।
শ্রীলঙ্কার আজকের যে অর্থনৈতিক দুর্গতি তার মূলে ক্ষমতাসীনদের লুটপাট, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার সঙ্গে ভোটের রাজনীতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রদায়িকতার চাষাবাদকেও দায়ী করা যায়, যা এখন দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারতেও ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকার উগ্র সিংহলি জাতীয়তাবাদকে চাষ করেছেন কারণ ৭০ শতাংশ ভোট বৌদ্ধদের। ডিভাইড এন্ড রুল নীতিতে বৌদ্ধ ভোট পেলে তাদের জয় নিশ্চিত হয়। তারা সংখ্যালঘুদের দমনের নীতি নিয়েছিলেন, বিশেষ করে মুসলমানরা সেখানে নিষ্পেষিত। যার ফলে ২০১৯ সালে দেশজুড়ে আত্মঘাতী বোমা হামলাও হয়েছে, যদিও রাজাপাকসে পরিবার তখন ক্ষমতায় ছিল না। সংখ্যালঘু তামিল হিন্দুরাও সেখানে বৈষম্যের শিকার। রাজাপাকসে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করে আগে থেকে সিংহলিদের চোখে হিরো ছিলেন।
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা ছিল বিশ্বের পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। সেই সালে তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডের ২৩ লাখ ট্যুরিস্ট শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করেছে। শ্রীলঙ্কার জিডিপির ১২ থেকে ১৩ শতাংশ জোগান দেয় পর্যটন খাত। এর মধ্যে আসে এপ্রিল ২০১৯। একসঙ্গে তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলকে টার্গেট করে বোমা হামলা করা হয় পৃথক পৃথক শহরে। মোট ২৯০ জন লোক এই হামলায় নিহত হয়, যার মধ্যে ৪৫ জন ছিল বিদেশি। আত্মঘাতী ৮ হামলাকারীর সবাই ছিল শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং স্থানীয় একটি ইসলামী সন্ত্রাসী দলের সদস্য। এ ঘটনার পর মাসজুড়ে সারাদেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। এন্টি-মুসলিম সন্ত্রাসে মুসলমানদের বাড়িঘর, দোকানপাট পুড়ে দেওয়া হয়। সরকার কারফিউ ঘোষণা করে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রকৃতপক্ষে এর আগে ২০১৮ সালেও এন্টি মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে ক্যান্ডি এবং আরেকটি শহরে, ইস্টার বোমা হামলা ঘটনারও আগে। তখনও সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করেছিল। সেবার মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়েছিল একটি উগ্র সিংহলি বুড্ডিস্ট গ্রুপ।
শুধু পর্যটন খাতের বিপর্যয় তো এতো বেহাল দশা হওয়ার কথা নয়। ২০১৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকালে গোটাবায়া রাজাপাকসে ভ্যালু এডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট অর্ধেক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই আশায় যে জনগণ বেশি বেশি কেনাকাটা করবে যার ফলে অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। এই যুক্তি কাজ করে বটে কিন্তু সঠিক সময় ও পরিস্থিতি দেখা দরকার। শ্রীলঙ্কা এটা করে ১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। তার তিন মাস পর শুরু হয় করোনা। লোকজন বাজার করবে কীভাবে লকডাউনের মধ্যে। ফলে এটি ব্যর্থ হয়। সরকারি খরচ বেড়ে চলে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ বাড়তেই থাকে। ২০১৯ সালে ঋণ ছিল জিডিপির ৯৪ শতাংশ, ২০২১ পর্যন্ত এটা ছিল ১১৯ শতাংশ।
এর চেয়ে বড় বিপর্যয় ছিল কৃষিনীতি। নির্বাচনকালে গোটাবায়া প্রতিশ্রুতি দেন যে পুরো দেশের কৃষি উৎপাদন তিনি অর্গানিক করবেন। ১০ বছরের পরিকল্পনা ছিল তা পূর্ণ বাস্তবায়নের। কিন্তু ক্ষমতায় এসে হঠাৎ করে সিন্থেটিক সার এবং কীটনাশক নিষিদ্ধ করে পুরো দেশে। এটার পেছনে আরেকটি যুক্তি ছিল যে বিদেশি সার ও কীটনাশক কেনা খাতে বার্ষিক ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেচে যাবে।
শুনতে এটি ভালোই লাগে যে সারাদেশে অর্গানিক খাদ্য পাওয়া যাবে, যা সত্যিকার অর্থেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু এটাকে রাতারাতি করা যায় না, পর্যায় ক্রমে করতে হয়। গোটাবায়া সেটি রাতারাতি করতে গিয়ে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশটিকে চাল সংকটে ফেলেছেন কারণ ধান উৎপাদন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যায়। এই ঘাটতি পূরণ করতে সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে চাল আমদানি করতে ব্যয় করতে হয় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চা উৎপাদনে বিখ্যাত ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানেও উৎপাদনে ধস নামে, বাজার হারায় তারা।
শ্রীলঙ্কার বিশৃঙ্খলার জন্য আরেকটি বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে। সেটা বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সঙ্গে খুব মিল আছে। খাদ্যের কালোবাজারি। ফুড মাফিয়ারা যেভাবে এখানে তেল, পেঁয়াজ, খাদ্য গুদামজাত করে সংকট তৈরি করে শ্রীলঙ্কায়ও তা ঘটেছে।
শ্রীলঙ্কার বিপর্যযের সবচেয়ে যে বড় কারণ সেটি হচ্ছে ঋণ করে বড় বড় প্রকল্পে হাত দেওয়া। ২০১৭ সালে তার ঋণ ছিল ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকারের আয়ের ৯৫ শতাংশ চলে যেত এই ঋণ পরিশোধ করতে। ২০২০ সালে ঋণ ছিল ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তা পরিশোধের জন্য সরকার আমদানি বন্ধ করে দেয়। ফলে রাতারাতি তার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্য আরও বেড়ে যায়।
এখানে চীনের ওপরও কিছু দোষ দেওয়া যায়। বলা হয় যে চায়না ‘ঋণ-ফাঁদ ডিপ্লোমেসি’ করে বিভিন্ন দেশকে হাইওয়ে, এয়ারপোর্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে আর যখন ওই দেশগুলো এই ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তারা তখন ওই স্থাপনা কিনে নেয়। তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা সমুদ্র বন্দর। ২০১০ সালের নভেম্বরে সেটি চায়না তৈরি করে দেয় কিন্তু ঋণ পরিশোধ করতে পারে না বলে শ্রীলঙ্কাকে এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে তৈরি বন্দরটি চায়নার কাছেই বিক্রি করে দিতে হয়।
আসল ঘটনা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা ঋণ পরিশোধ করার জন্য বন্দরটির ৮০ শতাংশ বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা করে এবং নিলামে তা একটি চাইনিজ কোম্পানি কিনে নেয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কা নেগোসিয়েশন করে ৯৯ বছরের লিজে ওই চাইনিজ কোম্পানিকে ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে সম্মত হয় এবং বিনিময়ে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়। ‘দেশ বিক্রির জন্য’ সরকার সমালোচিত হয়। এতো সব কারণে শ্রীলঙ্কার মুদ্রা নিম্নগামী হতে থাকে। গত মার্চে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় ছিল ২০০ শ্রীলঙ্কান রুপি, আজ সেটা ৩৬০ রুপি।
শ্রীলঙ্কা চায়না থেকে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার প্রতিশ্রুত ছিল। কথা ছিল আইএমএফ- বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে তাদের বসার। শ্রীলঙ্কাকে চায়নামুখী হওয়া থেকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা রয়েছে প্রতিবেশী ভারতেরও। শ্রীলঙ্কার সংকটে তাকে আরও মাথা ঘামাতে হচ্ছে কারণ বিপুল সংখ্যক তামিল নয়তো শরণার্থী হওয়ার আশংকা রয়েছে সীমান্তবর্তী তামিলনাড়ু রাজ্যে।
ভারত অর্থ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিল। এই বছর সাডে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য এবং কলম্বোর জন্য একটি বেলআউট প্যাকেজের জন্য আইএমএফ- এর সঙ্গে আলোচনা করছে তারা৷ কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে, এটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমান পরিবেশে পর্যটন বাড়ানোর সম্ভাবনা কম এবং বিনিয়োগকারীরা দূরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে অর্থনৈতিকভাবে ভারতের দশাও শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে তাদের কোনো কোনো নেতা আশংকা প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ সরকার এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে কিন্তু নিজেই অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারেন আশংকা করে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করার ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধন নীতি নিয়েছে। তার উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজাপাকশের পরিণতিতে বিরোধী শিবিরের অনেকে আনন্দে আছেন যে শেখ হাসিনা সরকারেরও এমন পরিণতি হতে পারে, যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটি হওয়ার কোনো কারণ দেখেন না।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট। ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত। [email protected]
এইচআর/এএসএম