বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের পররাষ্ট্র নীতি ও ইন্দিরা গান্ধী
'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি'- গোবিন্দ হালদারের লেখা এই গান আপেল মাহমুদের সুরে ঝংকার তুলছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এমন অসংখ্য গান রয়েছে যা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধাসহ এ দেশের কোটি কোটি অসহায় মানুষের মনে। কিন্তু সম্মুখ এই যুদ্ধের বাহিরেও আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রে যুদ্ধ করে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্ব মঞ্চে একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের সেই যুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলো ভারত ও তৎকালীন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। আজও ভারত সেই বন্ধুত্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। ভয়াবহ এই রাতের কথা কখনো ভুলতে পারবে না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অস্ত্রহাতে সেই রাতে ঢাকার রাজপথে নেমেছিলো গণহত্যার মহোৎসবে মাততে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন। এ ছাড়াও পথে যাকে সামনে পেয়েছে, তাকেই হত্যা করেছে পাকিস্তানের সৈন্যরা। এমনই এক অবস্থায় ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, 'ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।' মূলত এ সময়ই বাংলাদেশের মানুষকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলেছিলেন দূরদর্শী এই নেতা। কিন্তু শুধু মানসিক শক্তি দিয়ে যুদ্ধ জয় সম্ভব নয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশের সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এপ্রিল থেকে। এপ্রিলের ১৭ তারিখ ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার ঘোষণার পর বাংলাদেশের মানুষের জন্য অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও শরণার্থীদের নিরাপত্তাসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। অবশ্য ভারতের সবচাইতে বড় সহায়তার বিষয়টি আজও রয়েছে আলোচনার বাহিরে। যেখানে সবচাইতে বড় ভূমিকা গ্রহণ করেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
বাংলাদেশ নামটি তখনও সৃষ্টি হয়নি। যুদ্ধ চলছে এই নামটিকে প্রতিষ্ঠার জন্য। এমন এক সময় বাংলাদেশ নামটি বিশ্বের বুকে পরিচিত করতে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে সবচাইতে বড় উদ্যোগটি গ্রহণ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিশ্বের সকল দেশে ভারত তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইকমিশনার মাধ্যমে আলোচনা শুরু করে। এই দেশের বুকে চলমান গণহত্যার বিষয়ে বিশ্বকে অবহিত করে। ভারতের এই উদ্যোগের কারণে বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
অবশ্য ভারতেই এই উদ্যোগে মোটেও খুশি ছিলেন না তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার। ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে তার ভারত সফর বেইজিংয়ে গিয়ে শেষ হয়। যেখানে নিক্সন প্রশাসন চীনের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিলো পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টির। হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে সেখানে চীন যদি ভারতকে আক্রমণ করে বা পাকিস্তানকে সহায়তা করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সহায়তা করতে পারবে না।
তার এই উক্তির সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিলো। এর প্রতি উত্তরে রাশিয়ার সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করে ভারত। নয়ই অগাস্ট ভারতের রাজধানী দিল্লীতে ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরন সিং এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো। এই চুক্তির নয় নম্বর ধারায় বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ দুটো কখনো হুমকির মুখে পড়লে সেটি দূর করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ছিলো দারুণ মমত্ববোধ। আর এ কারণেই বাংলাদেশে চলমান মুক্তিযুদ্ধ পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে, বাংলাদেশের রণাঙ্গণে জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে প্রচারণা চালাতে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন তিনি। তার উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানিদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার লাখ লাখ বাঙালির আর্তনাদ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীদের চিৎকার সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয়া। তিনি চেয়েছিলেন, পাকিস্তানিদের অমানুষিক নির্যাতনের কারণে বাংলার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া প্রায় এক কোটি বাঙালির মানবেতর জীবনের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে।
এজন্য ১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯ দিনের জন্য বিশ্ব সফরে বের হন ইন্দিরা গান্ধী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের কাছে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তিনি যথাক্রমে ভ্রমণ করেন সোভিয়েত ইউনিয়ন, লেবানন, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং পশ্চিম জার্মানি। দেখা করেন এ সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। তাদের কাছে তুরে ধরেন বাংলাদেশের দুর্দশার কথা। এ সময় অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন তিনি।
এটি ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কূটনৈতিক সফর। তাঁর লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের অভিমত তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে উদগ্রীব পাকিস্তানের যুদ্ধ–হুমকি নিয়ে কথা বলা। ইন্দিরা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা বিদেশি নেতাদের বোঝাতে সক্ষম হন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র প্রাভদা ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ করে। নিবন্ধে পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানের সামরিক দখলদারি রাজত্বের নিন্দা করা হয়।
লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলে, ৯০ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের জীবনধারণের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হয়তো শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে। তবে ইন্দিরার তিন সপ্তাহের বিশ্ব সফরকালে চলবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নাও হতে পারে। বিশ্বশান্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে শরণার্থীদের দেশে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পাকিস্তানের সরকারকে বাধ্য করতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
৪ ও ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। কিন্তু নিক্সন বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ বলে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বৈঠকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রীমতী গান্ধী।
পরের দিন ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে আমেরিকার জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি সামরিক সরকার ২৫ মার্চ পূর্ব বাংলায় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। পাকিস্তানিদের চরম অত্যাচারের মুখে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। পূর্ব বাংলার মানুষ এখন স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার, তাদের নেতা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে চালান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার অনিবার্যতা তাদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনে বাধ্য করছে।'
৭ নভেম্বর তার ফ্রান্স সফরের আগে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানি জান্তা ইয়াহিয়া খান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন মিসেস গান্ধী। বাংলার অকুতোভয় তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুগ্ধতা এবং নিপীড়িত বাঙালি জাতির প্রতি ভারতবাসীর গভীর ভালোবাসার বহি:প্রকাশ ছিল এটি। মূলত ভারতের সরকার প্রধানের এই বিশ্ব সফরের কারণেই বিশ্ববাসী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের পাশবিকতা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে উঠতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় এটি।
এ ছাড়া এর আগে ও পরে জাতিসংঘ, বিশ্ব শান্তি সংঘ এবং রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) নেতাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের কারণেই পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় পরাশক্তি রাশিয়া। ফলে চীন অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে ভীত হয়।
ইন্দিরা গান্ধীর এই সফরের কল্যাণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের পথ বেশ সহজ হয়।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ কোটির বেশি শরণার্থী ভারতের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। প্রায় এক কোটি এই শরণার্থীকে ভারতের জনগণ ও সরকার হাসিমুখে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। শুধু তাই নয়-মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। এসব কাজে তখন ভারতকে খরচ করতে হয়েছিল সাত হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ভূমিকা রাখতে ভারতকে হারাতে হয়েছিল বহু অফিসার ও সৈনিককে। ১৯৭১ সালে পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গন মিলে শহীদ ভারতীয় সৈন্যের সংখ্যা নিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে ভাষণদানকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, ভারতের ১৪ হাজার জওয়ান বাংলার মাটিতে রক্ত দিয়ে বাংলার মানুষকে বাঁচিয়েছিল। (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল, পৃষ্ঠা-৩৩৩)।
ভারতীয় বাহিনী, এপ্রিলের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনীর পক্ষ হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তার কিছুটা বিবরণ জেনারেল জ্যাকব তার বইয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র থেকেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় বাহিনীর লড়াই করার কথা জানা যায়।
উদাহরণ হিসেবে দলিলপত্রের নবম খণ্ডে মুদ্রিত একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। নবম খণ্ডের ২৩৩ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ল্যান্সনায়েক সোনা মিয়ার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, সিলেটের চিকনাগুলে এপ্রিলের ২০ তারিখ ইপিআরের পাশাপাশি বিএসএফ অবস্থান গ্রহণ করে এবং ২৪ তারিখ পাকিস্তান বাহিনীর হামলার মুখে ইপিআরকে না জানিয়েই তাদের অবস্থান ছেড়ে ভারতে ফেরত চলে যায়। ফলে ইপিআরের শ’খানেক জওয়ান নিহত হন।
বাংলাদেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের যেই মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়িত হয়েছে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, 'আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।'
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠেছে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এমন সময়ে আরো বেশি করে স্মরণ করছি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতকে। যারা বিশ্ব মহামারীর সময়েও সবার আগে ভ্যাক্সিন তুলে দিয়েছে প্রতিবেশীর হাতে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোভিড ভ্যাক্সিন বিষয়ক চুক্তির জন্য ভারত এগিয়ে আসে। রক্তের বন্ধনে গড়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার এই দৃঢ় সম্পর্ক আজও উদাহরণ হয়ে রয়েছে বিশ্বের সকল দেশের কাছে।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট।
এইচআর/এমএস