ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

প্রাগ অমিক্রন মহামারি এবং করণীয়

সম্পাদকীয় ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

ড. মো. হাসিনুর রহমান খান

আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা, জিতা, ইটা, রিটা, থিটা, সাই, ফাই,পাই, কাই, কাপ্পা, ল্যামডা, ওমেগা, সিগমা, মিউ, নিউ, টাউ, রো, এপসাইলন, অমিক্রন এগুলো সব গ্রিক লেটার| বিজ্ঞানের উচ্চতর বিভিন্ন বিষয়ে এই অক্ষরগুলিকে কনস্ট্যান্ট বা ধ্রুব, কিংবা কখনো কখনো প্যারামিটার হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখেছি| গণিত এবং পরিসংখ্যানে এগুলি ব্যবহার হরহামেশাই চোখে পড়ে| উচ্চতর বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আজ এই অক্ষরগুলির অনেকগুলি আবার সারা বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের কাছে ইতিমধ্যে করোনা মহামারীর কল্যাণে অনেক পরিচিতি লাভ করেছে| বিশেষত আলফা, বিটা, এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর নাম এখন মুখে মুখে| এর বাইরে রয়েছে গামা| এবং সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে অমিক্রন| এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পাঁচটি ভেরিয়েন্ট অফ কন্সার্ন এর নামকরণ করেছে| এছাড়াও ল্যামডা (পেরুর) এবং মিউ (কলম্বিয়ার) নামে দুটি ভেরিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট এর নামকরণ করা হয়েছে|

মিউটেশনের কারণে সৃষ্ট করোনা ভাইরাসের অসংখ্য ভেরিয়েন্ট এর মধ্যে শুধুমাত্র দুধর্ষ এবং ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে এবং সংক্রমণ করার ক্ষমতাধর সব ভেরিয়েন্ট এর গ্রিক লেটার দিয়ে নামকরণ করা হয়| এদের আসল বৈজ্ঞানিক নাম থাকলেও তা সহজে বোধগম্য না হওয়ায় সাধারণত এসব নামকরণ করা হয়| এই নামকরণের পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অন্য যে কারণটি আছে তা হল ভেরিয়েন্ট এর সম্ভাব্য উৎস বা উৎপত্তিস্থল বা উৎপত্তি কোন দেশ কিংবা জাতির প্রতি বিতৃষ্ণা, বিরাগ, কটু দৃষ্টি কিংবা কোন ধরনের অভিঘাতের প্রকাশ না ঘটে| এজন্য করোনা ভাইরাসের ইউকে ভেরিয়েন্টকে আলফা, দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্টকে বিটা, ব্রাজিলের ভেরিয়েন্টকে গামা, ভারতীয় ভেরিয়েন্টকে ডেল্টা এবং বতসোয়ানা-দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্টকে অমিক্রন নামে ডাকা হয়|

একশত বছরেরও আগে ১৯১৮ সালে ছড়িয়ে পড়া ফ্লু মহামারির স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি নামে পরিচিত| এভাবে নামকরণের কারণে স্পেনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষদের ভাইরাসটির উৎসস্থল হিসাবে এখনো অজ্ঞতাবশত কিছু ভ্রান্ত ধারণা বা অপবাদের এর জন্ম নিচ্ছে| যদিও এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ছিল আমেরিকা এবং নামকরণের পিছনে একটি মজার কাহিনী জড়িত ছিল| প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়ে পড়লে দেশগুলির অ্যালায়েন্স এই খবর প্রচার করত না, কিন্তু অনেকটা নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে তখন স্পেন এবং স্পেনের সংবাদ মাধ্যম এই খবর ঢালাওভাবে প্রচার করে| এই প্রচারের কারণে সারা বিশ্ব এই ফ্লুর নামকরণ করে স্প্যানিশ ফ্লু যা এক ধরনের অপবাদ এবং মর্যাদাহানিকর ব্যাপার হিসেবে স্পেনের নিকট ধরা দেয়|

গত বছর করোনা মহামারির অধিকাংশ সময় জুড়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় প্রথমত সাউথ আফ্রিকার বা বিটা ভেরিয়েন্ট, যেটির উদ্ভব হয় গত বছরের মে মাসে এবং দ্বিতীয়ত ইউকে বা আলফা ভেরিয়েন্ট, যেটির উদ্ভব হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, সংক্রমণ ঘটাতে থাকে এবং ছড়িয়ে পড়ে| অক্টোবর ২০২০ ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর উদ্ভব ঘটলে তা গত বছরের শেষের দিকে দ্রুত বিস্তার করতে থাকে| একই সময়ে ব্রাজিলের গামা ভেরিয়েন্টও বিস্তার করতে থাকে| কিন্তু ডেল্টা ভেরিয়েন্ট অতিমাত্রায় সংক্রমিত এবং বিস্তারের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ায় তা পূর্বের আলফা, বিটা এবং গামা কে সহজেই হারিয়ে সারা বিশ্বে মূলত এককভাবে অতি দ্রুত বিস্তার করতে থাকে| ২০২১ সালে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে বার বার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর ঢেউ আসতে থাকে| যে কারণে বৈশ্বিক ভাবে এ বছরের জানুয়ারি, মে এবং আগস্ট মাসে তিনটি বড় বড় ঢেউ আসে| এর কারণে বাংলাদেশেও এবছরের এপ্রিল এবং জুলাই-আগস্ট মাসে সবচেয়ে বড় দুটি ঢেউ আসে|

 

এখন পর্যন্ত একমাত্র ডেল্টা ভেরিয়েন্টই সারা বিশ্বকে অত্যন্ত দাপটের সাথে সংক্রমণ ঘটিয়ে চলছে| এবং এ পর্যন্ত সোয়া ৫২ লাখ মৃত্যুর এবং সোয়া ২৬ কোটি শনাক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ঘটেছে এই ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর কারণে| মাঝে মাঝে ভারতীয় ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কার কথাও শোনা যাচ্ছে| আমেরিকাসহ ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশে ব্যাপক টিকাদানের অগ্রগতি সত্বেও আরেক দফা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর ঢেউয়ে পড়তে শুরু করেছে|

প্রতিদিন বিশ্বে এখনো ছয়-সাত লক্ষ আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে এবং ছয়-সাত হাজার মানুষ মারা পরছে এই ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর কারণে| এমন অবস্থার পরিপেক্ষিতে নভেম্বর ২০২১ মাসের মাঝামাঝিতে প্রথমে বতসোয়ানায় এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েটিং প্রদেশে বি.১.১.৫২৯ নামের একটি মিউটেশনের খোঁজ পাওয়া যায়| যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা জিনোম সিকোয়েন্স করে এযাবতকালের সর্বাধিক মিউটেশন সম্পন্ন একটি বিপদজনক এবং ভয়ঙ্কর ভেরিয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত করে| যা নভেম্বর ২৬, ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অমিক্রন নামকরণ করে| বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে সম্ভবত এই ভেরিআন্টটি এমন একজন একক ব্যক্তির দেহ থেকে এসেছে যে ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল|

মোট ৫০ টিরও বেশি মিউটেশনবা পরিবর্তন ঘটেছে এই অমিক্রণ ভেরিয়েন্ট এ, যার ৩০ টির বেশি ঘটেছে স্পাইক প্রোটিন অংশে যেটাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ব্যবহৃত সব ভ্যাকসিন উদ্ভাবিত হয়েছিল| কেবলমাত্র একারণে বিজ্ঞানীরা চলমান ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে কিনা সে ব্যাপারে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে| এছাড়াও দশটির মত মিউটেশন হয়েছে ভাইরাসের শরীরের বাইন্ডিং অংশে যার মাধ্যমে ভাইরাস প্রথমে মানবদেহের সেলের সংস্পর্শে আসে| অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অংশে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর ক্ষেত্রে মাত্র তিনটি মিউটেশন হয়েছিল| যে কারণেও বিজ্ঞানীরা অমিক্রন নিয়ে আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন| ভাইরাসের মিউটেশন হওয়া একটি প্রত্যাশিত ব্যাপার, যা নির্ভর করে এই ব্যাপারটি উপর যে ভাইরাস বেশি বেশি ছড়ালে বেশি বেশি মিউটেশন ঘটবে| উহানের করোনাভাইরাস এর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার ছোট ছোট মিউটেশন ঘটেছে তবে সেগুলির প্রায় সবগুলি কোন ধরনের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি| শুধু উপরোক্ত ভেরিয়েন্ট গুলি (ভেরিয়েন্ট অফ কন্সার্ন) বিপদজনক ছিল|

৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বের ১৯ টি দেশে এই অমিক্রণ আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে| দেশ গুলি হল অস্ট্রেলিয়া (৬ জন), অস্ট্রিয়া (১ জন), বেলজিয়াম (১ জন), বতসোয়ানা (১৯ জন), কানাডা (৩ জন), চেক রিপাবলিক (১ জন), ডেনমার্ক (২ জন), ফ্রান্স (১ জন), জার্মানি (৪ জন), হংকং (৩ জন), ইসরায়েল (২ জন), ইতালি (৪ জন), জাপান (১ জন), নেদারল্যান্ড (১৪ জন), পর্তুগাল (১৩ জন), দক্ষিণ আফ্রিকা (৭৭ জন), স্পেন (১ জন), সুইডেন (১ জন), ইউকে (১৪ জন)| এখন পর্যন্ত অমিক্রণ এর কারণে মৃত্যু ঘটেছে এমনটিই জানা যায়নি| নেদারল্যান্ড এবং ইউকে সহ কিছু কিছু দেশে প্রত্যাশার আগেও এই ভারিয়ান্টটি চলে এসেছে বলে বিজ্ঞানীরা প্রমান পাচ্ছেন| S-জিন ড্রপ আউট বৈশিষ্ট্যের কারণে জিনোম সিকোয়েন্স ছাড়াই আগের মতই সাধারণ আর-টি-পিসি-আর মেশিনের মাধ্যমে আক্রান্তকারী কে শনাক্ত করা যায়| এর বাইরে অমিক্রণ এর ব্যাপারে প্রায় সব তথ্যই এখনো অজানা রয়েছে| বিজ্ঞানীরা আশা করছেন আগামী দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ভারিয়ান্টটির ব্যাপারে অনেক কিছু জানা যাবে|

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা যা যা অনেকটাই জানতে পারবেন তারমধ্যে হল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর তুলনায় অমিক্রণ কতটা আলাদা, অমিক্রণ এর সংক্রমণ এবং বিস্তার ক্ষমতা কতটুকু (আর-নট বা প্রজনন সংখ্যা কতটুকু), নতুন কোন উপসর্গ দেখা যায় কিনা, দ্রুত সংক্রমণ এবং ছড়াতে পারলেও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় কিনা কিংবা অতিমাত্রায় গুরুতর অসুস্থ করে ফেলে কিনা, হসপিটালে বা আই সি ইউ তে ভর্তির হার বাড়ায় কিনা, টিকার কারণে অথবা আক্রান্ত হওয়ার কারণে অর্জিত প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ডিঙিয়ে আবারও মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে কিনা অর্থাৎ আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অক্ষুন্ন থাকে কিনা বা লোপ পেলে কতটুকু পাবে, প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ কিংবা বুস্টার ডোজ টিকা অমিক্রণকে কতটুকু প্রতিরোধ করতে পারবে, একাধিক রোগবালাই থাকার পাশাপাশি অন্যান্য বায়োলজিক্যাল কিংবা ডেমোগ্রাফিক ফ্যাক্টর এর কারণে বাড়তি সংক্রমণ এবং মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করছে কিনা, কত দ্রুত একটি দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে কয়েক সপ্তাহ কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে কয়েক মাস লাগতে পারে| তবে তার জন্য অপেক্ষায় না থেকে অনেকগুলি জরুরি পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য এক্ষুনি নেয়া দরকার| সর্বত্রই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি এগুলো মানার ব্যাপারে বিরামহীন প্রচার এবং কঠোর নজরদারি প্রণয়ন করা, বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য ১৯ টি (যে যে সমস্ত দেশে বিস্তার ঘটেছে) দেশ থেকে আগত সকল যাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলক rt-pcr টেস্ট করা এবং প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন এ রাখা, অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীদেরকেও কঠোর স্ক্রিনিং এর আওতায় নিয়ে আসা, ওইসব দেশে সংক্রমণ বেড়ে গেলে ট্রাভেল রেস্ট্রিকশন করা কিংবা বন্ধ করে দেওয়া, অমিক্রন এ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হলে কন্টাক্ট ট্রেসিং করে সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন এ রাখা, দক্ষিণ আফ্রিকা হতে গত এক মাসে ফেরত সকলকে কার্যকরী কোয়ারেন্টাইন এ রাখা|

অমিক্রন বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না কিংবা এর মহামারি দেখা দিবেনা এসব অমূলক চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে বরং অমিক্রন মহামারি আসবেই এবং তা ঠেকানো যাবে না তা ভেবেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে| মহামারি আসলে যেন তা ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর না হয় এবং হসপিটাল ও হেলথকেয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেন না ভেঙে পড়ে সেই ব্যবস্থাপনা ঠিক করে রাখতে হবে| করোনার সকল হাসপাতাল, নার্স, ডাক্তার, বয়, অক্সিজেন সাপ্লাই, আইসিইউ বেড, স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর পর্যাপ্ততা এবং প্রস্তুতি এক্ষুনি নিয়ে রাখতে হবে| টেস্টের সংখ্যা অতি দ্রুত যেন বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে| জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনসম্পৃক্ততা যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণ হওয়ায় এই অস্ত্রটির যথাযথ ব্যবহারের পরিকল্পনা এখনই নিতে হবে|

প্রতিমাসে ৪ বা ৫ কোটি টিকা দিয়ে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে টার্গেট গ্রুপের সমস্ত লোককে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং এর মধ্যে টার্গেট গ্রুপের অন্তত ৫০ শতাংশ লোককে দ্বিতীয় ডোজ টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে| ষাটোর্ধ্ব ১৩ মিলিয়ন কিংবা সম্ভব হলে পঞ্চাশোর্ধ তিরিশ মিলিয়ন লোকের জন্য বুস্টার ডোজ এর ব্যবস্থা করতে হবে| মানুষদের মধ্যে টিকা দিয়ে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যতটা সম্ভব বাড়ানো যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে|

এখানে বলে রাখা দরকার যে, অমিক্রন আসার প্রাক্কালে উন্নত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ এই মুহূর্তে প্রথমত এই ব্যবস্থাটির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করছে| অমিক্রন ভেরিয়েন্টকে প্রতিরোধ করবার জন্য মডিফাইড ভ্যাকসিন এর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি (কন্টিনজেন্সি প্লান) নিয়েও রাখছে তারা| আমাদেরও প্রয়োজন এইসব টিকার সংস্থান এবং মজুদের পাইপলাইনের একটি কন্টিনজেন্সি প্লান তৈরি করে রাখা|

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ফলিত পরিসংখ্যান আই এস আর টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, আই এস আর টি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী কমিটি।

এইচআর/এমএস