ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর শিক্ষা

মাহমুদ আহমদ | প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২১

সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলাম ধর্মকে আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে তার প্রিয় নবী, বিশ্বনবী, সর্ব জাতির নবী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শান্তির অমিয় বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমরা জানি, বিশ্বনিয়ন্ত্রণকর্তা সর্বদা মানুষকে শান্তির পথে আহ্বান করে থাকেন। প্রকৃত শান্তির ধারক ও বাহক ইসলাম ধর্মের নিষ্ঠাবান, শান্তিপ্রিয় অনুসারী মুসলমান কখনো সমাজের ও দেশের অশান্তির কারণ হতে পারে না। আল্লাহতায়ালা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গীন দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন আর রাসুলুল্লাহ (সা.)কে বানিয়েছেন সকলের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ।

আল্লাহতায়ালা স্বয়ং এই মহান রাসুলের উত্তম চরিত্রের সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন: নিশ্চয় তুমি মহান চারিত্রিক গুণাবলীর ওপর অধিষ্ঠিত (৬৮: ৪)। হযরত রাসুল করিম (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির জীবন হতে পারে শান্তিময়, হোক সে ইহুদি, খৃষ্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মের অনুসারী। আর আল্লাহতায়ালা মহানবীকে (সা.) কোনো বিশেষ জাতি বা সম্প্রদায়ের জন্য পাঠাননি বরং তার (সা.) আগমন সবার জন্য, তিনি সমগ্র মানব জাতির রাসুল।

অথচ আজ আমরা লক্ষ্য করছি ধর্মের নামে সমাজ ও দেশে করা হয় নৈরাজ্য। মহানবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণে সকলকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘হে মানবমন্ডলী! সাবধান, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না। কেননা তোমাদের পূর্বের জাতিগুলি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে’ (ইবনে মাজা)। তাই আজকে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিদায় হজের ভাষণের ওপর আমল করার বিকল্প নেই। এজন্যই পাঠকের উদ্দেশ্যে মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণের কয়েকটি দিক এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

হিজরী নবম বর্ষে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় এলেন। সেদিন তার উপরে কুরআন করিমের যে প্রসিদ্ধ আয়াতটি নাযিল হয় তা হচ্ছে ‘আমি আজ তোমাদের ধর্মকে তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ করে দিলাম: এবং যে সব আধ্যাত্মিক পুরস্কার খোদাতায়ালার পক্ষ থেকে তার বান্দাগণের জন্য অবতীর্ণ হতে পারে তা সমস্তই তোমার উম্মতের জন্য দান করলাম। তাছাড়া এটাও ফয়সালা করে দেওয়া হলো যে, তোমাদের ধর্ম শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার আনুগত্যের ওপরে স্থাপিত’ (সুরা মায়েদা: ৩)।

এই আয়াত তিনি (সা.) মুজদালেফার ময়দানে হজের উদ্দেশ্যে সমবেত সমস্ত লোকের সামনে উচ্চস্বরে পাঠ করে শোনান। মুজদালেফা থেকে ফেরার পরে হজের রীতি অনুযায়ী তিনি মদীনাতে থামেন এবং ১১ই যিলহজ তারিখে তিনি (সা.) সমবেত সমস্ত মুসলমানদের সামনে দাঁড়িয়ে এক ভাষণ দান করেন। এই ভাষণে তিনি (সা.) বলেন: ‘হে লোক সকল! আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা, আমি জানি না যে, এই বৎসরের পর আর কখনও আমি এই ময়দানে তোমাদের সাথে দাঁড়িয়ে আর কোনোও বক্তৃতা দিতে পারবো কিনা।

আল্লাহতায়ালা তোমাদের জীবন ও তোমাদের সম্পদ একে অপরের হামলা থেকে কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র ও নিরাপদ করে দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির উত্তরাধিকারের অংশ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। এ ধরনের কোনো ওসিয়্যত বৈধ হবে না, যা কোনো বৈধ উত্তরাধিকারীর ক্ষতির কারণ হয়।

যার ঘরে যে সন্তান জন্ম দিবে, সে তারই সন্তান হবে এবং কেউ যদি এই সন্তানের পিতৃত্বের উপরে দাবি উত্থাপন করে, তাহলে সে শরীয়ত মোতাবেক প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করবে। যে ব্যক্তি অন্য কাউকে নিজের পিতা বলে দাবি করবে, কিংবা কাউকে নিজের মালিক বলে মিথ্যা দাবি করবে, তার উপরে খোদার এবং ফেরেশতাদের এবং সকল মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হবে।

হে লোক সকল! তোমাদের স্ত্রীদের উপরে তোমাদের যেমন হক (অধিকার) আছে তেমনি তোমাদের উপরেও তোমাদের স্ত্রীদের হক (অধিকার) আছে। তাদের উপরে তোমাদের অধিকার হচ্ছে যে, তারা সতীত্ব বজায় রেখে জীবন যাপন করবে এবং তারা এমন অশালীন কিছু করবে না, যাতে মানুষের সামনে তাদের স্বামীদের কোনোও সম্মানহানি ঘটে। এ জাতীয় কিছু যদি তারা করে, তাহলে তোমরা (কুরআন করীমের নির্দেশ অনুযায়ী তা যাচাই করবে এবং আদালতের ফয়সালা মোতাবেক) তাদেরকে শাস্তি দিবে, কিন্তু তাতে কোনো বাড়াবাড়ি করবে না। কিন্তু, যদি তারা এমন কিছু না করে, যা তাদের স্বামী ও বংশের জন্য অবমাননার কারণ হয়, তাহলে তোমাদের কর্তব্য হবে, তোমাদের সাধ্যমত তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদির সুবন্দোবস্ত করা।

মনে রাখবে যে, সর্বদাই নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে হবে। কেননা, আল্লাহতালা তাদের দেখাশুনা করার দায়িত্ব তোমাদের উপরে ন্যস্ত করেছেন। নারীরা দুর্বল, তারা তাদের অধিকার নিজেরা রক্ষা করতে পারে না। কাজেই, তোমরা যখন তাদেরকে বিবাহ করো, তখন আল্লাহতালা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য তোমাদেরকে জামিন নিযুক্ত করে দেন। আল্লাহতায়ালার আইন মোতাবেক তোমরা তাদেরকে তোমাদের ঘরে নিয়ে আস। অতএব, আল্লাহতায়ালার অর্পিত সেই জামানতের কখনই খেয়ানত করবে না এবং স্ত্রীদের অধিকার রক্ষার প্রতি সর্বদাই সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

‘হে লোক সকল! তোমাদের হাতে এখনও কিছু যুদ্ধবন্দী রয়ে গেছে। আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা তাদেরকে তা-ই খাওয়াবে যা তোমরা নিজেরা খাও এবং তাদেরকে তা-ই পরতে দিবে, যা তোমরা নিজেরা পর। যদি তারা এমন কোনো অপরাধ করে ফেলে, যা তোমরা ক্ষমা করতে পার না, তাহলে তাদেরকে অন্যের কাছে দিয়ে দিবে। কেননা, তারা খোদারই বান্দা। তাই, কোনোও অবস্থাতেই তাদেরকে কোনোরূপ কষ্ট দেওয়া বৈধ হবে না।

‘হে লোক সকল! আমি তোমাদের যা বলছি, তা শোন এবং ভালভাবে মনে রেখো। প্রত্যেক মুসলমান প্রত্যেক মুসলমানের ভাই। তোমরা সবাই সমান। সব মানুষ, তা তারা যে কোনো জাতিরই হোক আর যে ধর্মেরই হোক, মানুষ হওয়ার কারণে, পরস্পর সমান। এই কথা বলার সময় তিনি (সা.) তার উভয় হাত উপরে তুললেন এবং এক হাতের আঙ্গুলগুলিকে অপর হাতের আঙ্গুলগুলির সঙ্গে মিলালেন এবং বললেন) যেভাবে দুই হাতের আঙ্গুলগুলি পরস্পর সমান, সে ভাবেই সকল মানুষ পরস্পর সমান।

‘তোমাদের কোনো অধিকার নেই যে, তোমরা একে অন্যের উপরে কোনো শ্রেষ্ঠত্বের দাবী কর। তোমরা পরস্পর ভাই।’

তিনি (সা.) আবার বলেন : ‘তোমরা কি জান, এখন কোন্ মাস? এই এলাকা কোন্ এলাকা? তোমাদের কি জানা আছে, আজকের দিন কোন্ দিন?’ লোকেরা উত্তর দিল, ‘হ্যা, এই মাস পবিত্র মাস। এই এলাকা পবিত্র এলাকা। আজকের দিন হজের দিন।’

তাদের সকলেরই উত্তর শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতে থাকলেন, ‘যেভাবে এই মাস পবিত্র মাস, যেভাবে এই এলাকা পবিত্র এলাকা, যেভাবে এই দিন পবিত্র দিন, তেমনিভাবে আল্লাহতায়ালা প্রতিটি মানুষের জান, মাল ও সম্মান পবিত্র করে দিয়েছেন এবং কারো জানের উপরে কিংবা মাল ও সম্মানের উপরে হামলা করা ঠিক তেমনি অবৈধ যেমন অবৈধ এই মাসের এই এলাকায় এই দিনের অমর্যাদা করা। এই হুকুম শুধু আজকের জন্যই নয়, শুধু কালকের জন্যই নয়, বরং সেই দিন পর্যন্ত প্রত্যেক দিনের জন্য যেদিন তোমরা খোদার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হবে’।

তিনি (সা.) আরও বললেন, ‘এই সমস্ত কথা যা আমি আজ তোমাদেরকে বলছি তা তোমরা পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছে দিও। কেননা, এমনও হতে পারে যে, যারা আজ আমার কথা আমার কাছ থেকে শুনছে, তাদের চাইতে যারা আমার কাছ থেকে আমার এই কথা শুনছে না, তারা এই সকল কথার উপরে বেশি আমল করবে, বেশি বেশি পালন করবে।’

এই সংক্ষিপ্ত ভাষণ বলে দিচ্ছে যে, মানুষের মঙ্গল এবং তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মহানবী (সা.) কত বেশী উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং নারীজাতি ও দুর্বলের অধিকার রক্ষার প্রতি কত বেশি আন্তারিক ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতেন যে, তার ইহজীবনের দিন শেষ হয়ে আসছে। হয়তোবা আল্লাহতায়ালা তাকে জানিয়েছিলেন যে, তার জীবনের সময় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই, তিনি চাননি, যে নারীদেরকে মানব জন্মের আদি থেকেই পুরুষদের দাসী বানিয়ে রাখা হয়েছে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আদেশ-নির্দেশ দেওয়ার পূর্বেই তিনি জগৎ ছেড়ে চলে যান। তিনি চেয়েছিলেন, ঐ সকল যুদ্ধবন্দী যাদেরকে মানুষেরা ক্রীতদাস বলে আখ্যায়িত করে এবং যাদের উপরে নানা প্রকার অত্যাচার চালাতে থাকে, তাদের অধিকার সুরক্ষিত করার পরই তিনি যেন দুনিয়া চেড়ে চলে যান। মানুষে মানুষে যে প্রকাশ্য প্রার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে, কাউকে পাতালে নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা ঘুচিয়ে দেওয়ার আগে তিনি যেন পৃথিবী থেকে বিদায় না নেন।

তিনি চাননি যে, সকল কারণে, জাতিতে, জাতিতে দেশে দেশে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং যুদ্ধ বিগ্রহের সৃষ্টি হয়, তা সব সাকল্যে দূরীভূত করার আগে তিনি এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। একে অপরের হক আত্মসাৎ করা বা অধিকার খর্ব করা সব সময়েই বর্বর যুগের এক অভিশাপ বলে গণ্য করা হয়, তার অশুভ বাসনাকে যতক্ষণ না হত্যা করা হয়, ততক্ষণ তিনি পৃথিবী ছেড়ে যেতে চাননি। যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের জান ও মালকে সেই পবিত্রতা সেই নিরাপত্তা দান না করা হয়, যা খোদাতায়ালার পবিত্র মাসগুলোকে এবং পবিত্র ও কল্যানমন্ডিত স্থানসমূহকে দান করা হয়েছে, ততক্ষণ তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাননি।

নারীকে পুরুষের সমমর্যাদা দান, সব জাতির জন্য নিরাপত্তা ও শান্তি স্থাপনকরণ, মানবজাতির মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠাকরণ ইত্যাদির জন্য এত বেশি গভীর উদ্বেগ ও আন্তরিকতা পৃথিবীর আর কোনোও মানুষের মাঝে কেউ কি কখনও দেখেছে? হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মানবজাতির জন্য এত ভালোবাসা, এত আকুলতা, এত সংকল্প আর কোনো মানুষের মধ্যে কি কখনও দেখা গেছে? এসব কারণেই তো ইসলামের মধ্যে নারীরা তাদের সম্পত্তির মালিক করা হয়েছে। যে মালিকানা অর্জন করতে পেরেছে ইউরোপ ইসলামের তেরশ’ বছর পরে। এর কারণেই তো ইসলাম গ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তি অন্য সবার সমান হয়ে যায়, তা যত ছোট এবং যত নীচ জাতের লোকই হোক না কেন। পৃথিবীতে স্বাধীনতা ও সাম্যের শিক্ষা ও আদর্শ কেবল মাত্র ইসলাম, হ্যা, কেবল ইসলামই কায়েম করেছে এবং এমনভাবে কায়েম করেছে যে, আজ পর্যন্ত দুনিয়ার আর কোনো জাতি তা করতে পারেনি।

বিশ্বনবী (সা.) ন্যায়বিচারে এমন ছিলেন যে তার মসজিদে একজন সম্রাট কিংবা একজন সম্মানিত ধমীর্য় নেতা একজন সাধারণ মানুষের সমান। সেখানে তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য বা কোনো ভেদাভেদ নেই। অথচ, অন্যান্য ধর্মের উপাসনাগুলোতে বড় ও ছোটর মধ্যে ভেদাভেদ আজও অব্দি বজায় রয়েছে। যদি সেই জাতিগুলো স্বাধিকার ও সাম্যের কথা মুসলমানদের চাইতে অনেক বেশি জোর গলায় প্রচার করে চলেছে।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআন করিমে উল্লেখ করেছেন ‘নিশ্চয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মাঝে তোমাদের জন্য উত্তম নমুনা রয়েছে’। আল্লাহতায়ালা আমাদের জন্য ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন আর নবী করীম (সা.)-কে বানিয়েছেন সবার জন্য অনুসরণীয় ও আদর্শ স্বরূপ। আমরা সবাই এটা ঠিকই জানি যে, আল্লাহতায়ালর ভালোবাসা পেতে হলে সেই মহান ও শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণ ছাড়া সম্ভব নয়।

এ বিষয়টি আমাদের সবার জানা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু মহনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে চলছিনা আর এর ফলেই আমরা পদে পদে বিপদগামী হচ্ছি। আজ মনে হয় কোথাও শান্তি নেই। সমস্ত বিশ্বেই যেন আজ অশান্তি আর নৈরাজ্য। অথচ বিশ্বনবী, সমগ্র বিশ্বময় শান্তির বার্তা নিয়েই এসেছেন। আর তিনি নিজ কর্মময় দ্বারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছেনও। কিন্তু আজ সর্বত্র কেন অশান্তি? এর মূল কারণ হলো আমরা সেই মহান ও শ্রেষ্ঠ রাসুলের আদর্শ ভুলে গিয়ে জগতের মোহে ডুবে আছি আর এর ফলেই জগতময় বিরাজ করছে বিশৃঙ্খলা আর অশান্তি।

আমরা যদি হযরত রাসুল করিম (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে চলি তাহলে অবশ্যই পৃথিবীতে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো মাধ্যম আজ অবশিষ্ট নেই যা পৃথিবীর মানুষকে শান্তির ছায়াতলে আশ্রয় দান করতে পারে। আল্লাহতায়ালা কোরআন করিমে বলেছেন, ‘হে রাসুল! তুমি লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহতায়ালাকে ভালোবাস তবে আমার অনুসরণ কর। তবে আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসবেন (সুরা আলে ইমরান)। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবীর (সা.) পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের মাধ্যমে নিজেদেরকে কল্যাণ মণ্ডিত করা প্রয়োজন। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন, আমিন।

এইচআর/এমএস